রেলের ইঞ্জিন কেনা-সরকারকে ১৮০ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে by আরিফুর রহমান
যথাসময়ে দরপত্র আহবান ও সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত করতে না পারায় ১১টি মিটার গেজ (এমজি) লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংগ্রহ করতে সরকারকে ১৮০ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে ১১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহের কথা ছিল। এখন ৪৮০ কোটি টাকা দিয়ে সেগুলো কিনতে হচ্ছে।
চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। গত এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মাত্র ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ প্রকল্পে নির্ধারিত সময়ে দরপত্র আহ্বান ও সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কারণ, লোকোমোটিভ সংগ্রহের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ (২৭৩ কোটি টাকা) দিয়ে ১১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করতে কোনো প্রতিষ্ঠান রাজি হয়নি। এরই মধ্যে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। পরে প্রায় ২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। এ ছাড়া প্রকল্পের সিডি-ভ্যাট খাতে প্রায় ৫৪ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে জাপানি ইয়েনের মূল্যমান এবং ২০০৯ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী জনবল খাতে বেতন বাড়ায় প্রকল্পের সার্বিক ব্যয় বেড়েছে। ঋণদাতা সংস্থা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে ঋণচুক্তির শর্ত অনুসারে প্রতিটি ধাপে তাদের সম্মতি গ্রহণ করতে যাওয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি সময় লাগছে। এসব কারণে এ প্রকল্পে ১৮০ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের চাহিদা পূরণে ১১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করতে ২০০৭ সালে জাইকার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয় ৩০০ কোটি টাকা। জাইকা ২১২ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়ার কথা। ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। অথচ গত এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মাত্র ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জাইকার জোগান থেকে ৪৫ লাখ টাকা এবং সরকারি কোষাগার থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ইতিমধ্যে প্রকল্পটি সংশোধন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংশোধিত প্রকল্প ২০১৬ সালে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পে সরকারি কোষাগার থেকে ৮৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও এখন তা বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। জাইকা ২১২ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল; এখন তা বাড়িয়ে ৩৩৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পে ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ প্রকল্পে নির্ধারিত সময়ে দরপত্র আহ্বান ও সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কারণ, লোকোমোটিভ সংগ্রহের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ (২৭৩ কোটি টাকা) দিয়ে ১১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করতে কোনো প্রতিষ্ঠান রাজি হয়নি। এরই মধ্যে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। পরে প্রায় ২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। এ ছাড়া প্রকল্পের সিডি-ভ্যাট খাতে প্রায় ৫৪ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে জাপানি ইয়েনের মূল্যমান এবং ২০০৯ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী জনবল খাতে বেতন বাড়ায় প্রকল্পের সার্বিক ব্যয় বেড়েছে। ঋণদাতা সংস্থা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে ঋণচুক্তির শর্ত অনুসারে প্রতিটি ধাপে তাদের সম্মতি গ্রহণ করতে যাওয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি সময় লাগছে। এসব কারণে এ প্রকল্পে ১৮০ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের চাহিদা পূরণে ১১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করতে ২০০৭ সালে জাইকার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয় ৩০০ কোটি টাকা। জাইকা ২১২ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়ার কথা। ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। অথচ গত এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মাত্র ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জাইকার জোগান থেকে ৪৫ লাখ টাকা এবং সরকারি কোষাগার থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ইতিমধ্যে প্রকল্পটি সংশোধন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংশোধিত প্রকল্প ২০১৬ সালে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পে সরকারি কোষাগার থেকে ৮৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও এখন তা বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। জাইকা ২১২ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল; এখন তা বাড়িয়ে ৩৩৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পে ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
No comments