সিঙ্গুরের জমি-এবার আদালতে মমতার হার by সুব্রত আচার্য্য
রাষ্ট্রপতি পদে পছন্দের ব্যক্তিকে প্রার্থী করতে না পারার রাজনৈতিক ক্ষত শুকানোর আগেই সিঙ্গুরের জমি ফেরত দেওয়া নিয়ে আরেকটি ধাক্কা খেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরে কারখানা করার জন্য টাটা মোটরসকে ইজারা দেওয়া জমি ফেরতের আইনটিকে 'অবৈধ ও অসাংবিধানিক' ঘোষণা করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট।
গতকাল শুক্রবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ ও মৃণাল কান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ 'সিঙ্গুর ল্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট ২০১১' নামে তৃণমূল সরকারের করা আইনকে 'অবৈধ' এবং 'অসাংবিধানিক' বলে রায় দিয়েছেন; যদিও আগামী ৬০ দিন রায় 'স্থগিত' রেখে রাজ্য সরকারের জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তাও খোলা রেখেছেন দুই বিচারক।
গত বছর ঠিক এই দিনে অর্থাৎ ২২ জুন টাটা কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের নতুন আইনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। মামলার বছর পূর্তির দিনে এমন রায় বিষয়টি নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এরই মধ্যে হুগলির সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক এবং ইচ্ছুক জমিদাতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ফলে নতুন 'রাজনৈতিক সংকট' তৈরি হয়েছে। ইচ্ছুক জমিদাতারা এই রায় অনুকূলে গেলেও বিচারাধীন ইস্যুটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ছে না- সেটি মনে রেখেই রায়ের পরও তেমন উল্লাস দেখাননি।
অন্যদিকে সিঙ্গুরের কারখানায় 'অনিচ্ছুক' জমিদাতাদের কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মন খারাপ হলেও আইনি জটিলতায় তাঁরাও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে খুব শিগগির জমি ফেরত পাবেন। ফলে এ ক্ষেত্রে ইচ্ছুক ও অনিচ্ছুক জমিদাতাদের বিড়ম্বনা ভাগ্যে প্রায় একই ধরনের।
রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও জোট তৃণমূল এবং বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে রায় বেরোনোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
সিপিএম নেতা ও বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই রায়ে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পেল। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সূর্যকান্ত বলেন, সরকার বড্ড বেশি তড়িঘড়ি করছে সব বিষয়ে।
ক্ষমতাসীন তৃণমূলের বিধানসভার দল নেতা ও রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই রায় জনমানুষের স্বার্থ পরিপন্থী। তাই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে সরকার।
গতকাল সকাল ১১টায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় ঘোষণা করেন তাতে স্পষ্ট বলা হয়, 'নতুন এই আইনের ৩ থেকে ৫ নম্বর ধারার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের জমি অধিগ্রহণ আইনের কোনো মিল নেই। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সংবিধান মানা হয়নি। ফলে সিঙ্গুর ল্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট ২০১১ অবৈধ এবং অসাংবিধানিক।'
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও তৃণমূলের সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রায় ঘোষণার পর হাইকোর্টে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য সরকার।
তবে টাটার পক্ষে আইনজীবী সিপিএম নেতা ও কলকাতার সাবেক মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'সংবিধানের ২৫৪ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটি না করেই রাজ্য সরকার তাড়াতাড়ি আইন করে জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দিয়ে দিয়েছিল। বিচারকরা এসব ঘটনা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেই এমন রায় দিয়েছেন।'
ভারতের টাটা গোষ্ঠীকে 'ন্যানো' গাড়ির কারখানা গড়ার জন্য আগের বামফ্রন্ট সরকার ২০০৬ সালে ৯৯৭.১১ একর জমি লিজ দিয়েছিল। তখনকার বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস জমি নিয়ে তীব্র আন্দোলন শুরু করে। দলটির অভিযোগ ছিল, অবৈধ ও জোর-জুলুম এবং গুলি চালিয়ে খুন করে কৃষকদের কাছ থেকে তিন ফসলি এই চাষের জমি অধিগ্রহণ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। শিল্পের জন্য ৬০০ একর রেখে বাকি ৩৯৭.১১ একর জমি অনিচ্ছুক কৃষকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন মমতা। ওই দাবিতে টানা ২৬ দিন অনশন করে আলোচনার ঝড় তোলেন তৃণমূল নেত্রী। টাটার প্রকল্প গেটের সামনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটও করেন। তবে এসব দাবি বামফ্রন্ট সরকার না মানলেও টাটারা শেষ পর্যন্ত সিঙ্গুর থেকে ন্যানো কারখানা গুটিয়ে গুজরাটে চলে যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় গেলে সিঙ্গুরের জমি অনিচ্ছুক কৃষকদের হাতে ফেরত দেওয়া হবে। তৃণমূলের রাজনৈতিক এই প্রতিশ্রুতি পূরণে ২০১১ সালের ২০ মে শপথ নেওয়ার দিন 'মা-মাটি-মানুষের সরকারের' প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে সিঙ্গুরের জমি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা।
এর পরই ১৪ জুন রাজ্য বিধানসভায় 'সিঙ্গুর ল্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট ২০১১' নামের এই আইন পাস হয়। এর মাত্র সপ্তাহখানেকের মধ্যে ২১ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে টাটাদের দেওয়া জমি রাজ্য সরকার ফিরিয়ে নেয়। সেদিন রাতেই টাটার কারখানায় জমি ফেরতের নোটিশ টাঙানো হয়। সরকার জমি বণ্টনের প্রস্তুতি শুরু করে। ঠিক সে সময়ই ২৮ জুন রাজ্য সরকারের জমি বণ্টনপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে টাটারা আবেদন করে। পরদিনই সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে চলা টাটাদের আগের মামলার রায় রাজ্য সরকারের পক্ষে যায়। গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেন কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু ততক্ষণে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচার দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন। সেই হিসাবে আবার মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। গত বছর ৫ নভেম্বর থেকে বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ ও মৃণাল কান্তি চৌধুরীর এজলাসে মামলা শুনানি শুরু হয়। টানা পাঁচ মাস দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে তাঁরা রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ২২ জুন। সে মতেই গতকাল রায় ঘোষণা করা হয়, যাকে সিঙ্গুর নিয়ে আদালতে মমতার পরাজয় হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
গত বছর ঠিক এই দিনে অর্থাৎ ২২ জুন টাটা কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের নতুন আইনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। মামলার বছর পূর্তির দিনে এমন রায় বিষয়টি নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এরই মধ্যে হুগলির সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক এবং ইচ্ছুক জমিদাতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ফলে নতুন 'রাজনৈতিক সংকট' তৈরি হয়েছে। ইচ্ছুক জমিদাতারা এই রায় অনুকূলে গেলেও বিচারাধীন ইস্যুটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ছে না- সেটি মনে রেখেই রায়ের পরও তেমন উল্লাস দেখাননি।
অন্যদিকে সিঙ্গুরের কারখানায় 'অনিচ্ছুক' জমিদাতাদের কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মন খারাপ হলেও আইনি জটিলতায় তাঁরাও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে খুব শিগগির জমি ফেরত পাবেন। ফলে এ ক্ষেত্রে ইচ্ছুক ও অনিচ্ছুক জমিদাতাদের বিড়ম্বনা ভাগ্যে প্রায় একই ধরনের।
রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও জোট তৃণমূল এবং বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে রায় বেরোনোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
সিপিএম নেতা ও বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই রায়ে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পেল। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সূর্যকান্ত বলেন, সরকার বড্ড বেশি তড়িঘড়ি করছে সব বিষয়ে।
ক্ষমতাসীন তৃণমূলের বিধানসভার দল নেতা ও রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই রায় জনমানুষের স্বার্থ পরিপন্থী। তাই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে সরকার।
গতকাল সকাল ১১টায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় ঘোষণা করেন তাতে স্পষ্ট বলা হয়, 'নতুন এই আইনের ৩ থেকে ৫ নম্বর ধারার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের জমি অধিগ্রহণ আইনের কোনো মিল নেই। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সংবিধান মানা হয়নি। ফলে সিঙ্গুর ল্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট ২০১১ অবৈধ এবং অসাংবিধানিক।'
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও তৃণমূলের সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রায় ঘোষণার পর হাইকোর্টে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য সরকার।
তবে টাটার পক্ষে আইনজীবী সিপিএম নেতা ও কলকাতার সাবেক মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'সংবিধানের ২৫৪ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটি না করেই রাজ্য সরকার তাড়াতাড়ি আইন করে জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দিয়ে দিয়েছিল। বিচারকরা এসব ঘটনা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেই এমন রায় দিয়েছেন।'
ভারতের টাটা গোষ্ঠীকে 'ন্যানো' গাড়ির কারখানা গড়ার জন্য আগের বামফ্রন্ট সরকার ২০০৬ সালে ৯৯৭.১১ একর জমি লিজ দিয়েছিল। তখনকার বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস জমি নিয়ে তীব্র আন্দোলন শুরু করে। দলটির অভিযোগ ছিল, অবৈধ ও জোর-জুলুম এবং গুলি চালিয়ে খুন করে কৃষকদের কাছ থেকে তিন ফসলি এই চাষের জমি অধিগ্রহণ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। শিল্পের জন্য ৬০০ একর রেখে বাকি ৩৯৭.১১ একর জমি অনিচ্ছুক কৃষকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন মমতা। ওই দাবিতে টানা ২৬ দিন অনশন করে আলোচনার ঝড় তোলেন তৃণমূল নেত্রী। টাটার প্রকল্প গেটের সামনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটও করেন। তবে এসব দাবি বামফ্রন্ট সরকার না মানলেও টাটারা শেষ পর্যন্ত সিঙ্গুর থেকে ন্যানো কারখানা গুটিয়ে গুজরাটে চলে যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় গেলে সিঙ্গুরের জমি অনিচ্ছুক কৃষকদের হাতে ফেরত দেওয়া হবে। তৃণমূলের রাজনৈতিক এই প্রতিশ্রুতি পূরণে ২০১১ সালের ২০ মে শপথ নেওয়ার দিন 'মা-মাটি-মানুষের সরকারের' প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে সিঙ্গুরের জমি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা।
এর পরই ১৪ জুন রাজ্য বিধানসভায় 'সিঙ্গুর ল্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট ২০১১' নামের এই আইন পাস হয়। এর মাত্র সপ্তাহখানেকের মধ্যে ২১ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে টাটাদের দেওয়া জমি রাজ্য সরকার ফিরিয়ে নেয়। সেদিন রাতেই টাটার কারখানায় জমি ফেরতের নোটিশ টাঙানো হয়। সরকার জমি বণ্টনের প্রস্তুতি শুরু করে। ঠিক সে সময়ই ২৮ জুন রাজ্য সরকারের জমি বণ্টনপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে টাটারা আবেদন করে। পরদিনই সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে চলা টাটাদের আগের মামলার রায় রাজ্য সরকারের পক্ষে যায়। গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেন কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু ততক্ষণে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচার দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন। সেই হিসাবে আবার মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। গত বছর ৫ নভেম্বর থেকে বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ ও মৃণাল কান্তি চৌধুরীর এজলাসে মামলা শুনানি শুরু হয়। টানা পাঁচ মাস দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে তাঁরা রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ২২ জুন। সে মতেই গতকাল রায় ঘোষণা করা হয়, যাকে সিঙ্গুর নিয়ে আদালতে মমতার পরাজয় হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
No comments