তরুণসমাজকেই নেতৃত্ব দিতে হবে-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা
কোনো সমস্যা যখন সর্বগ্রাসী রূপ নেয়, তখন তা সারাতে নানামুখী উদ্যোগের বিকল্প নেই। দুর্নীতি এখন বাংলাদেশের এমনই এক সমস্যা। সরকারি নানা উদ্যোগ বা আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দুর্নীতি মোকাবিলার উদ্যোগ যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা।
আর এ ক্ষেত্রে কার্যকর শক্তি নিশ্চিতভাবেই দেশের তরুণসমাজ। তরুণদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী চেতনা জাগিয়ে তুলতে পারলে সামনের দিনগুলোতে আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখতেই পারি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে, এই আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং এ কাজে তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে যৌথভাবে দুই দিনের এক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস)। দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অনুপ্রেরণায় এ দুটি সংগঠন গড়ে ওঠে। সারা দেশ থেকে সনাকের সাত শতাধিক সদস্য ও ইয়েসের দুই হাজারের বেশি তরুণের এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি খুব উৎসাহব্যঞ্জক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে তরুণদের সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ সম্মেলনে দেশে দুর্নীতি-পরিস্থিতি, এর চ্যালেঞ্জ, করণীয় ও সম্ভাবনাময় দিকসহ নানা কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এসব আলোচনায় অংশ নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনগণকে সচেতন ও তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার কাজটি করেছেন। দুর্নীতিসহ সব ধরনের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লড়াইয়ে সক্রিয় অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয় এতে।
একটি ঘোষণাপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ সম্মেলন শেষ হয়েছে, যেখানে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতাকে দুর্নীতির ব্যাপকতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের সামর্থ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি স্বতন্ত্র বিচার বেঞ্চ গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজনৈতিক মতৈক্যের বিষয়টিই যেহেতু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে। প্রকৃতপক্ষে সমাজে দুর্নীতি বিস্তারের সঙ্গে সব ধরনের অন্যায়-অনিয়মের সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রের সব নাগরিকের অধিকার রক্ষা ও প্রকৃত অর্থে আইনের শাসন কার্যকর করা গেলে দুর্নীতির বিস্তার অনেকটাই রোধ করা যাবে। আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা গেলে দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ে তা অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নাগরিক, বিশেষ করে তরুণদের সম্পৃক্ত করা গেলে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা ও আইনি পদক্ষেপ নিতে সরকারের ওপর যেমন চাপ সৃষ্টি করা যাবে, তেমনি সচেতনতা সৃষ্টি হলে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপরও চাপ বাড়তে থাকবে। দুই দিনের সম্মেলনে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে আশা করা যায়। এ ধরনের আয়োজন কেবল ঢাকার বাইরেই হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে, এই আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং এ কাজে তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে যৌথভাবে দুই দিনের এক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস)। দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অনুপ্রেরণায় এ দুটি সংগঠন গড়ে ওঠে। সারা দেশ থেকে সনাকের সাত শতাধিক সদস্য ও ইয়েসের দুই হাজারের বেশি তরুণের এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি খুব উৎসাহব্যঞ্জক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে তরুণদের সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ সম্মেলনে দেশে দুর্নীতি-পরিস্থিতি, এর চ্যালেঞ্জ, করণীয় ও সম্ভাবনাময় দিকসহ নানা কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এসব আলোচনায় অংশ নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনগণকে সচেতন ও তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার কাজটি করেছেন। দুর্নীতিসহ সব ধরনের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লড়াইয়ে সক্রিয় অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয় এতে।
একটি ঘোষণাপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ সম্মেলন শেষ হয়েছে, যেখানে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতাকে দুর্নীতির ব্যাপকতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের সামর্থ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি স্বতন্ত্র বিচার বেঞ্চ গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজনৈতিক মতৈক্যের বিষয়টিই যেহেতু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে। প্রকৃতপক্ষে সমাজে দুর্নীতি বিস্তারের সঙ্গে সব ধরনের অন্যায়-অনিয়মের সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রের সব নাগরিকের অধিকার রক্ষা ও প্রকৃত অর্থে আইনের শাসন কার্যকর করা গেলে দুর্নীতির বিস্তার অনেকটাই রোধ করা যাবে। আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা গেলে দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ে তা অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নাগরিক, বিশেষ করে তরুণদের সম্পৃক্ত করা গেলে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা ও আইনি পদক্ষেপ নিতে সরকারের ওপর যেমন চাপ সৃষ্টি করা যাবে, তেমনি সচেতনতা সৃষ্টি হলে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপরও চাপ বাড়তে থাকবে। দুই দিনের সম্মেলনে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে আশা করা যায়। এ ধরনের আয়োজন কেবল ঢাকার বাইরেই হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
No comments