কক্সবাজারকে বিদেশিদের কাছে কী করে আরো আকর্ষণীয় করা যায়? by ড. আবু এন এম ওয়াহিদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৭৬ সালে শিক্ষাসফরে গিয়েছিলাম কক্সবাজারে। তখন কক্সবাজার সাগরতীরের একটি ছোট্ট মহকুমা শহর। দেশের শ্রেষ্ঠ পর্যটননগরী হলেও অন্য মহকুমা শহরের মতো কক্সবাজারেও তেমন কিছুই ছিল না। থাকার মতো একটাই জায়গা ছিল_হোটেল সাইমন বাংলাদেশ।
আমাদের জন্য যেমন-তেমন হলেও আন্তর্জাতিক মানে এর রেটিং ছিল শূন্য। স্বাস্থ্যসম্মত সুন্দর পরিবেশে বসে খাওয়ার মতো কোনো ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট ছিল না। আমরা যে কয় দিন ছিলাম, খড়-বাঁশের ঝুপড়ি ঘরে বসে মাছ-ভাত খেয়েছি, মাঝেমধ্যে গরুর গোশত ভুনা। পরিবেশ যা-ই থাকুক, আজও মনে পড়ে, খাবার কিন্তু মজাই ছিল। ওই সময় দুর্বল প্রচার, যোগাযোগব্যবস্থার বেহাল এবং থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্তের অভাবে বিদেশি পর্যটকরা কদাচিৎ কক্সবাজারে আসতেন। তিন যুগ পেরিয়ে গেছে, আমরা নতুন শতাব্দীতে পা রেখেছি, এত দিনে লাখো-কোটি নোনা পানির ঢেউ ধুয়েমুছে সাফ করেছে কক্সবাজারের সাগরসৈকত। সেই কক্সবাজার আর আজকের কক্সবাজার এক নয়। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং ছোটবড় অগণিত সৃষ্টিশীল ব্যক্তি-উদ্যোক্তার পরিশ্রমের ফলে কক্সবাজার এখন মোটামুটি একটি আধুনিক ট্যুরিস্ট রিসোর্ট। এটা আজ বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী। এখানে এখন দুটি পাঁচতারা হোটেলসহ থাকার জন্য হোটেল-মোটেলে মানসম্মত কক্ষ আছে প্রায় ১০ হাজার। সুন্দর পরিবেশে বসে খাওয়ার মতো রেস্টুরেন্টও আছে বেশ কয়েকটি। কক্সবাজারে এখন সি ক্রুজ পাওয়া যায়। এ ছাড়া গড়ে উঠেছে অনেক স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থান। রামু, টেকনাফ, ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক ইত্যাদিতে যাওয়া-আসার রাস্তারও উন্নতি হয়েছে অনেক। এখন প্রতিবছর তিন লাখের ওপর পর্যটক ছুটি কাটাতে ছুটে আসেন কক্সবাজারের সাগরপাড়ে। কিন্তু প্রচার ও যোগাযোগব্যবস্থার ঘাটতির কারণে কক্সবাজার এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে পারে না।
বিদেশি পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারকে ব্যাংকক, কাঠমাণ্ডু বা কুয়ালালামপুরের মতো আকর্ষণীয় করে তোলা মোটেও কঠিন কাজ নয়। তবে এ কাজ করতে হবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং সরকারের দুই মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক, বলিষ্ঠ এবং সমন্বিত পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে। সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় দুটি হলো বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। যে দুটি কাজ সমান গুরুত্বের সঙ্গে করতে হবে তা হলো_প্রথমত, শুরু করতে হবে বিশ্বজোড়া অ্যাগ্রেসিভ পাবলিসিটি ক্যাম্পেইন এবং দ্বিতীয়ত, ঢেলে সাজাতে হবে স্থল ও বিমানপথে কক্সবাজারের কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক।
প্রচারের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনকে জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার নামিদামি অ্যাডভারটাইজিং ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাদের পরামর্শ মতে, পৃথিবীর বড় বড় সংবাদপত্রে, জনপ্রিয় ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ম্যাগাজিনে এবং কিছু কিছু স্পেশালাইজড টিভি চ্যানেলে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। তারপর বড় বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দেয়ালে (যেমন_নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন ডিসি, হিউস্টন, আটলান্টা, লন্ডন, প্যারিস, অ্যামস্টারডাম, রোম, জেনেভা, স্টকহোম, টোকিও, সোল, বেইজিং, ম্যানিলা, সাংহাই, সিডনি, মেলবোর্ন, দুবাই, জেদ্দা প্রভৃতি) ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডে অ্যানিমেটেড রঙিন অ্যাডভারটাইজমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (যেমন_দিলি্ল, ব্যাংকক, কাঠমাণ্ডু, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুর) বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ছোট ছোট ওয়ানম্যান স্টল খুলতে হবে। যেসব এজেন্টকে ওই সব স্টলে বসানো হবে, তাদের উপযুক্ত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রশিক্ষণসহ অডিওভিজ্যুয়াল ম্যাটেরিয়াল দিয়ে স্টলগুলোতে পাঠাতে হবে। কমার্শিয়ালের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনকে ক্রমাগত কক্সবাজারে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে তাদের ট্রেন্ড দেখতে হবে। যদি দেখা যায়, বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে না, তাহলে বুঝতে হবে কমার্শিয়ালে কোথাও কোনো গলদ রয়ে গেছে। আবার অ্যাডভারটাইজিং ফার্মের পরামর্শ নিয়ে গলদ বের করে তা শোধরাতে হবে। আর যদি দেখা যায়, বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছে, তাহলে বুঝতে হবে কমার্শিয়াল প্রচেষ্টা সফল ও সার্থক হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে যোগাযোগের ওপর জোর দিতে হবে।
যোগাযোগ বলতে এখানে দুই ধরনের ব্যবস্থার কথা বলছি_আকাশপথ ও স্থলপথ। আকাশপথে কক্সবাজারকে সরাসারি দিলি্ল, ব্যাংকক, কাঠমাণ্ডু, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারকে এয়ার ইন্ডিয়া, নেপালিজ এয়ারলাইনস, থাই এয়ার, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ও মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস সিস্টেমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। তার আগে রানওয়েসহ কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নতি প্রয়োজন। উলি্লখিত গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সঙ্গে বিমানপথে কক্সবাজার সরাসরি যুক্ত হলে কোনো কোনো বিদেশি পর্যটক এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়ার পথে কক্সবাজারে দু-এক রাত থেকে যেতে আগ্রহী হতে পারেন।
অধিক হারে পর্যটককে (বিশেষ করে দেশি) কক্সবাজারে আকৃষ্ট করার জন্য ঢাকা-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্থলপথের যোগাযোগব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রয়োজন। এটা হতে পারে দুইভাবে_হয় চট্টগ্রামের সঙ্গে সরাসরি কক্সবাজারের রেলসংযোগ স্থাপন অথবা ঢাকা-
কক্সবাজারকে চট্টগ্রাম হয়ে চার লেনের হাইওয়ে দ্বারা যুক্ত করা, যাতে পর্যটকরা চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে এক শহর থেকে আরেক শহরে (ওয়ানওয়ে) নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যেও রাস্তা এমন হওয়া উচিত, যাতে পর্যটকরা এ দুই শহরের মধ্যে (ওয়ানওয়ে) মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় অনায়াসে যাতায়াত করতে পারেন। বর্তমানে এই তিন শহরের মধ্যে বিমান যোগাযোগ আছে, তবে যেসব দেশি পর্যটক সপরিবারে বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয়স্বজন নিয়ে চট্টগ্রাম অথবা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যেতে চান, তাঁদের জন্য বিমানভ্রমণ বেশি ব্যয়বহুল হয়ে যায়। এই তিন শহরের স্থলপথে যোগাযোগব্যবস্থায় উলি্লখিত উন্নতি হলে এটা শুধু বাংলাদেশের পর্যটন খাতকেই এগিয়ে নেবে না, বরং এটা হবে দেশের সার্বিক শিল্প ও ব্যবসা-বণিজ্যের অগ্রগতির জন্য এক ধন্বন্তরি দাওয়াই।
লেখক : অধ্যাপক, টেনেসি স্টেইট ইউনিভার্সিটি এবং এডিটর, জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়া
awahid@tnstate.edu
বিদেশি পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারকে ব্যাংকক, কাঠমাণ্ডু বা কুয়ালালামপুরের মতো আকর্ষণীয় করে তোলা মোটেও কঠিন কাজ নয়। তবে এ কাজ করতে হবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং সরকারের দুই মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক, বলিষ্ঠ এবং সমন্বিত পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে। সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় দুটি হলো বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। যে দুটি কাজ সমান গুরুত্বের সঙ্গে করতে হবে তা হলো_প্রথমত, শুরু করতে হবে বিশ্বজোড়া অ্যাগ্রেসিভ পাবলিসিটি ক্যাম্পেইন এবং দ্বিতীয়ত, ঢেলে সাজাতে হবে স্থল ও বিমানপথে কক্সবাজারের কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক।
প্রচারের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনকে জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার নামিদামি অ্যাডভারটাইজিং ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাদের পরামর্শ মতে, পৃথিবীর বড় বড় সংবাদপত্রে, জনপ্রিয় ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ম্যাগাজিনে এবং কিছু কিছু স্পেশালাইজড টিভি চ্যানেলে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। তারপর বড় বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দেয়ালে (যেমন_নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন ডিসি, হিউস্টন, আটলান্টা, লন্ডন, প্যারিস, অ্যামস্টারডাম, রোম, জেনেভা, স্টকহোম, টোকিও, সোল, বেইজিং, ম্যানিলা, সাংহাই, সিডনি, মেলবোর্ন, দুবাই, জেদ্দা প্রভৃতি) ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডে অ্যানিমেটেড রঙিন অ্যাডভারটাইজমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (যেমন_দিলি্ল, ব্যাংকক, কাঠমাণ্ডু, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুর) বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ছোট ছোট ওয়ানম্যান স্টল খুলতে হবে। যেসব এজেন্টকে ওই সব স্টলে বসানো হবে, তাদের উপযুক্ত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রশিক্ষণসহ অডিওভিজ্যুয়াল ম্যাটেরিয়াল দিয়ে স্টলগুলোতে পাঠাতে হবে। কমার্শিয়ালের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনকে ক্রমাগত কক্সবাজারে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে তাদের ট্রেন্ড দেখতে হবে। যদি দেখা যায়, বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে না, তাহলে বুঝতে হবে কমার্শিয়ালে কোথাও কোনো গলদ রয়ে গেছে। আবার অ্যাডভারটাইজিং ফার্মের পরামর্শ নিয়ে গলদ বের করে তা শোধরাতে হবে। আর যদি দেখা যায়, বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছে, তাহলে বুঝতে হবে কমার্শিয়াল প্রচেষ্টা সফল ও সার্থক হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে যোগাযোগের ওপর জোর দিতে হবে।
যোগাযোগ বলতে এখানে দুই ধরনের ব্যবস্থার কথা বলছি_আকাশপথ ও স্থলপথ। আকাশপথে কক্সবাজারকে সরাসারি দিলি্ল, ব্যাংকক, কাঠমাণ্ডু, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারকে এয়ার ইন্ডিয়া, নেপালিজ এয়ারলাইনস, থাই এয়ার, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ও মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস সিস্টেমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। তার আগে রানওয়েসহ কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নতি প্রয়োজন। উলি্লখিত গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সঙ্গে বিমানপথে কক্সবাজার সরাসরি যুক্ত হলে কোনো কোনো বিদেশি পর্যটক এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়ার পথে কক্সবাজারে দু-এক রাত থেকে যেতে আগ্রহী হতে পারেন।
অধিক হারে পর্যটককে (বিশেষ করে দেশি) কক্সবাজারে আকৃষ্ট করার জন্য ঢাকা-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্থলপথের যোগাযোগব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রয়োজন। এটা হতে পারে দুইভাবে_হয় চট্টগ্রামের সঙ্গে সরাসরি কক্সবাজারের রেলসংযোগ স্থাপন অথবা ঢাকা-
কক্সবাজারকে চট্টগ্রাম হয়ে চার লেনের হাইওয়ে দ্বারা যুক্ত করা, যাতে পর্যটকরা চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে এক শহর থেকে আরেক শহরে (ওয়ানওয়ে) নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যেও রাস্তা এমন হওয়া উচিত, যাতে পর্যটকরা এ দুই শহরের মধ্যে (ওয়ানওয়ে) মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় অনায়াসে যাতায়াত করতে পারেন। বর্তমানে এই তিন শহরের মধ্যে বিমান যোগাযোগ আছে, তবে যেসব দেশি পর্যটক সপরিবারে বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয়স্বজন নিয়ে চট্টগ্রাম অথবা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যেতে চান, তাঁদের জন্য বিমানভ্রমণ বেশি ব্যয়বহুল হয়ে যায়। এই তিন শহরের স্থলপথে যোগাযোগব্যবস্থায় উলি্লখিত উন্নতি হলে এটা শুধু বাংলাদেশের পর্যটন খাতকেই এগিয়ে নেবে না, বরং এটা হবে দেশের সার্বিক শিল্প ও ব্যবসা-বণিজ্যের অগ্রগতির জন্য এক ধন্বন্তরি দাওয়াই।
লেখক : অধ্যাপক, টেনেসি স্টেইট ইউনিভার্সিটি এবং এডিটর, জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়া
awahid@tnstate.edu
No comments