ক্যানসারে আক্রান্ত নাট্যকর্মীর সাহায্যার্থে ঢাকায় নাট্যোৎসব

প্রায় ৩৭ বছর ধরে যে মানুষটি বিরামহীনভাবে মঞ্চকে আলোকিত করে রেখেছেন, সেই মানুষটিরই জীবনের আলো নিভে যেতে বসেছে। নাটকের দল নূপুর নাট্যগোষ্ঠী কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠাতা, নাট্যকার নির্দেশক ও অভিনেতা জিন্না হকের শরীরে বাসা বেঁধেছে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসার।


তাঁর জীবনের আলো জ্বালিয়ে রাখতে ঢাকার বড় বড় নাটকের দলের সহকর্মীরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। তাঁর জন্য আয়োজন করা হচ্ছে ঢাকার সেরা পাঁচটি নাটকের দল নিয়ে পাঁচ দিনের নাট্যোৎসব। উৎসবে দলের সেরা নাটকগুলো মঞ্চস্থ হবে। আজ থেকে শিল্পকলার দুটি হলে এ উৎসব শুরু হচ্ছে। নূপুর কুষ্টিয়ার আয়োজনে এই উৎসবের পুরোভাগেই সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। আজ সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে লিয়াকত আলী লাকী নির্দেশিত লোকনাট্যদল সিদ্ধেশ্বরীর কঞ্জুস। আগামীকাল একই হলে মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের কোর্ট মার্শাল নাটকটি। নির্দেশনায় এস এম সোলায়মান। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আগামী ১ আগস্ট নাসির উদ্দীন ইউসুফের নির্দেশনায় ঢাকা থিয়েটার মঞ্চস্থ করবে বিনোদিনী। ২ আগস্ট মামুনুর রশীদের নির্দেশনায় একই হলে আরণ্যক নাট্যদল পরিবেশন করবে রাঢ়াঙ। উৎসবের শেষ দিন পরীক্ষণ থিয়েটার হলে থাকছে পালাকারের নাটক নূরার তিন কন্যা। এটির নির্দেশনা দিয়েছেন আমিনুর রহমান মুকুল। উৎসব প্রসঙ্গে ফেডারেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান বলেন, ‘১৯৬৩ সাল থেকে জিন্না হক থিয়েটার করছেন। মঞ্চনাটকের দুর্দিনে তাঁর মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ নাট্যকর্মী আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকা খুবই জরুরি। সহকর্মী হিসেবে আমরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবার কাছে আমাদের অনুরোধ, এ উৎসবে সবাই উপস্থিত থেকে টিকিট কেটে নাটক দেখলে তাঁর চিকিৎসার কাজ এগিয়ে যাবে। উৎসব থেকে অর্জিত সব অর্থই তাঁর চিকিৎসার কাজে ব্যয় করা হবে।’

No comments

Powered by Blogger.