যোগাযোগের ‘হার্ড’ ও ‘সফট’ খাতের জন্য সুসংবাদ-স্বতন্ত্র রেল ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
দুটি সম্ভাবনাকে অঙ্কুরিত করার জন্য দুটি নতুন মন্ত্রণালয়ের দাবি ছিল অনেকের। আজকের যুগে রেল হলো যোগাযোগের ‘হার্ড’ মাধ্যম আর তথ্যপ্রযুক্তি হলো ‘সফট’ মাধ্যম। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বাইরে স্বতন্ত্র রেল মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি একটি তথ্যপ্রযুক্তি তথা আইসিটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা তাই যোগাযোগের
ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানোর আবশ্যকীয় ক্ষেত্র। আশার কথা যে প্রধানমন্ত্রী এ দুটি নতুন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার কথা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার কথা জানিয়েছেন। রেল খাতের একটানা অবনতির বাস্তবতায় নিঃসন্দেহে এটি এক সুসংবাদ।
ক্রমাগত অবহেলা আর ভুল পরিকল্পনায় রেল খাত বহু দিন থেকে মুমূর্ষু দশায় আটকে আছে। সড়ক ও রেলের মধ্যে রেল যেন সরকার ও উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছে রূপকথার দুয়োরানি। ব্যয়বহুল সড়ক যোগাযোগ খাতে সুয়োরানির মতো সম্মান ও সৌভাগ্য এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে রেলের মতো গণপরিবহনের কোনো বিকল্প ছিল না। তার পরও বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর পরামর্শে ক্রমশ রেল খাতকে সংকুচিত করা হয়। নব্বইয়ের দশক থেকে এডিবির পরামর্শে তিনবার রেলওয়ের সংস্কার হয়েছে। এতে রেলপথ কমেছে, চলেছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। রেলওয়েকে প্রথমে করা হয় রেলওয়ে বোর্ড, পরে করা হয় রেলওয়ে অথরিটি। অথচ রেলওয়ের কর্মকর্তারা রেলওয়ের সাফল্যের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার দাবি করে আসছেন। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আমলাদের আগ্রহ একে তাঁদের কর্তৃত্বের অধীনে রাখা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই প্রকাশিত প্রথম আলোর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল, ‘প্রতিবেশী ভারতে রেলের সাফল্য এসেছে স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বাংলাদেশেও রেল খাতকে বাঁচাতে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় ও শক্তিশালী সংসদীয় কমিটি গঠন প্রয়োজন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় এই সুবিবেচনারই প্রমাণ মিলল। আশার কথা যে সরকারসহ উন্নয়ন-সহযোগীদের মধ্যেও রেল বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এখনো দেশের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের জমি ও অন্যান্য সম্পদও বিপুল। কিন্তু অযত্ন-অবহেলায় এর অবকাঠামোর উপযুক্ত ব্যবহার হচ্ছে না যেমন, তেমনি এর অনেক সম্পত্তিও বেহাত হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত নতুন মন্ত্রণালয় গঠনের মাধ্যমে এবং তার মাধ্যমে নতুন বিনিয়োগ করে রেল খাতের পুনরুজ্জীবন ঘটানো এখন জাতীয় স্বার্থেই প্রয়োজন।
একই কথা তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়েও বলা যায়। এ বিষয়ে স্লোগান যত বাস্তব, কাজ তত নয়। কিন্তু গতিশীল অর্থনীতি ও সেবা খাতের বিকাশে সর্বস্তরে তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেওয়া দরকার। এ জন্য স্বতন্ত্র একটি মন্ত্রণালয় হলে এ খাতের অবকাঠামো নির্মাণ, দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ জনশক্তি সৃষ্টি এবং বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন কঠিন হবে না।
আশা করি, সরকার দুটি নতুন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তা গ্রহণ করে যে সুবিবেচনার প্রমাণ দিয়েছে, কাজের বেলায়ও তা একইভাবে দেখা যাবে। তা না হলে নতুন মন্ত্রণালয় অর্থের অপচয় আর মাথাভারী রাষ্ট্রযন্ত্রের আরেকটি নজির হবে মাত্র।
ক্রমাগত অবহেলা আর ভুল পরিকল্পনায় রেল খাত বহু দিন থেকে মুমূর্ষু দশায় আটকে আছে। সড়ক ও রেলের মধ্যে রেল যেন সরকার ও উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছে রূপকথার দুয়োরানি। ব্যয়বহুল সড়ক যোগাযোগ খাতে সুয়োরানির মতো সম্মান ও সৌভাগ্য এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে রেলের মতো গণপরিবহনের কোনো বিকল্প ছিল না। তার পরও বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর পরামর্শে ক্রমশ রেল খাতকে সংকুচিত করা হয়। নব্বইয়ের দশক থেকে এডিবির পরামর্শে তিনবার রেলওয়ের সংস্কার হয়েছে। এতে রেলপথ কমেছে, চলেছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। রেলওয়েকে প্রথমে করা হয় রেলওয়ে বোর্ড, পরে করা হয় রেলওয়ে অথরিটি। অথচ রেলওয়ের কর্মকর্তারা রেলওয়ের সাফল্যের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার দাবি করে আসছেন। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আমলাদের আগ্রহ একে তাঁদের কর্তৃত্বের অধীনে রাখা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই প্রকাশিত প্রথম আলোর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল, ‘প্রতিবেশী ভারতে রেলের সাফল্য এসেছে স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বাংলাদেশেও রেল খাতকে বাঁচাতে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় ও শক্তিশালী সংসদীয় কমিটি গঠন প্রয়োজন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় এই সুবিবেচনারই প্রমাণ মিলল। আশার কথা যে সরকারসহ উন্নয়ন-সহযোগীদের মধ্যেও রেল বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এখনো দেশের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের জমি ও অন্যান্য সম্পদও বিপুল। কিন্তু অযত্ন-অবহেলায় এর অবকাঠামোর উপযুক্ত ব্যবহার হচ্ছে না যেমন, তেমনি এর অনেক সম্পত্তিও বেহাত হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত নতুন মন্ত্রণালয় গঠনের মাধ্যমে এবং তার মাধ্যমে নতুন বিনিয়োগ করে রেল খাতের পুনরুজ্জীবন ঘটানো এখন জাতীয় স্বার্থেই প্রয়োজন।
একই কথা তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়েও বলা যায়। এ বিষয়ে স্লোগান যত বাস্তব, কাজ তত নয়। কিন্তু গতিশীল অর্থনীতি ও সেবা খাতের বিকাশে সর্বস্তরে তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেওয়া দরকার। এ জন্য স্বতন্ত্র একটি মন্ত্রণালয় হলে এ খাতের অবকাঠামো নির্মাণ, দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ জনশক্তি সৃষ্টি এবং বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন কঠিন হবে না।
আশা করি, সরকার দুটি নতুন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তা গ্রহণ করে যে সুবিবেচনার প্রমাণ দিয়েছে, কাজের বেলায়ও তা একইভাবে দেখা যাবে। তা না হলে নতুন মন্ত্রণালয় অর্থের অপচয় আর মাথাভারী রাষ্ট্রযন্ত্রের আরেকটি নজির হবে মাত্র।
No comments