চট্টগ্রাম ভূমি হুকুম দখল বিভাগ-জমা আছে ৬০ কোটি কিন্তু খরচের উপায় নেই by মুহাম্মদ শামসুল হক
৬০ কোটি টাকা জমা আছে প্রশাসনিক ব্যয় খাতের তহবিলে। অথচ সেখান থেকে প্রয়োজনের সময় টাকা খরচ করতে পারেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নির্দিষ্ট কাজে ব্যবহারের জন্য ভিডিও ক্যামেরা, যানবাহন, জরিপের যন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও নেই।
ফলে প্রশাসনিক প্রয়োজনে নিজের পকেট থেকে খরচ করে কিংবা অন্যের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে কোনো রকমে কাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার’-এর মতো এ সংস্থাটি হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুম দখল (এলএ) বিভাগ।
হুকুম দখল শাখা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যেকোনো জমি হুকুম দখল করতে হলে সেই জমিতে ঘরবাড়িসহ স্থাপনা, গাছপালা বা কৃষিপণ্য, প্রস্তাবিত জমির আয়তন ও অন্য সম্পদের বিবরণ এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হয় হুকুম দখল বিভাগকে। এসব কাজ করেন হুকুম দখল কর্মকর্তা, কানুনগো, জরিপকারী, চেইনম্যানসহ সংশ্লিষ্ট লোকজন নিয়ে গঠিত তদন্তদল। জমির মালিকানার ভিত্তিতে একেক প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য ৫০ থেকে ৫০ হাজার কপি পর্যন্ত (অফিস কপি ও ভূমির মালিকদের জন্য অনুলিপির কপিসহ) বিজ্ঞপ্তি তৈরি ও বিলি করতে হয়। তৈরি করতে হয় একাধিক ফাইল। প্রমাণের জন্য ধারণ করা হয় ভিডিও চিত্র। একেকটি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও সম্পত্তির হিসাব নির্ণয়ের জন্য প্রকল্প এলাকায় এক থেকে ছয় মাস পর্যন্ত অনেকবার যাওয়া-আসা করতে হয় কর্মকর্তাদের। এ অবস্থায় আকার ও প্রকৃতি ভেদে একেকটি প্রকল্পের হুকুম দখলকাজ চূড়ান্ত করতে খরচ হয় ১০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ষোলশহর সেনানিবাস সম্প্রসারণের জন্য সংলগ্ন ২৩২ দশমিক ০৩ একরের একটি জায়গা হুকুম দখলের উদ্যোগ নেওয়া হয় (বগুড়া সেনানিবাস হতে হাটহাজারী এয়ার ফিল্ড স্থানান্তর প্রকল্প) গত বছর জুলাইয়ের শেষ দিকে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই জমির প্রতিটি গাছ (ছোট-বড় প্রায় সাড়ে চার লাখ), দৈর্ঘ্য-প্রস্থসহ বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও জমির আয়তন ( ৪২১ পরিবারের প্রায় এক হাজার ২০০ ঘর) নিরূপণের জন্য যৌথ তদন্ত দলের ১৬ সদস্যকে কয়েকদিন পর পর যেতে হয়েছে ঘটনাস্থলে। এর মধ্যে একাধারে যেতে হয়েছে প্রায় দেড় মাস। এতে তদন্তদলের প্রতিদিন খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। জানা গেছে, বর্তমানে ২০টি প্রকল্পের জমি হুকুম দখলের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। আরও ২০টি প্রকল্পপ্রস্তাব যাছাইয়ের অপেক্ষায় আছে।
প্রতিটি হুকুম দখল মামলায় ক্ষতিপূরণ বাবদ জমির মালিককে দেয় অর্থ থেকে প্রশাসনিক ব্যয় হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকার বেশি হলে শতকরা দুই ভাগ, এর বেশি হলে তিন ভাগ, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভাগ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১৫ ভাগ হারে আদায় করা হয়। এ খাতে আদায় করা অর্থ নির্দিষ্ট সরকারি হিসাবে জমা রাখা হয়। সূত্র জানায়, ভূমি হুকুম দখলকাজে যাতায়াত ও কাগজসহ আনুষঙ্গিক খাতে বিপুল টাকা প্রয়োজন হলেও জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (এল এ) কোনো ক্ষমতা নেই জমা টাকা খরচ করার। বিভাগীয় কমিশনারের অনুমতি নিয়ে বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা যায়। এর বেশি এক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট হিসাবে বর্তমানে প্রায় ৬০ কোটি টাকা জমা থাকার পরও বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদিত ৫০ হাজার টাকার চেকও পাস করছে না হিসাব নিয়ন্ত্রণ বিভাগ।
ভূমি হুকুম দখল শাখার এক কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও হিসাব নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরস্পরবিরোধী আদেশ ও ব্যাখ্যার ফাঁদে আটকা পড়ে আনুষঙ্গিক খাতের খরচের টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। তিনি জানান, ২০০৮ সালের ৭ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরীর সই করা চিঠিতে বলা হয়, ‘ভূমি অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট জমির ক্ষতিপূরণ এবং এল এ আনুষঙ্গিক বাবদ জমাকৃত অর্থ প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবের আওতাধীন অর্থনৈতিক কোড ৮৪০১-এ জমা থাকে। জমাকৃত অর্থ থেকে ভূমি অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট এল এ শাখার জরুরি ব্যয় মিটানো এবং এল এ মামলা নিষ্পত্তিতে কোন বাধা নেই।’
১৯৯৮ সালের ২৮ মে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এল এ শাখায় ব্যবহারের জন্য টাইপরাইটার যন্ত্র, আসবাবপত্র ও কার্যালয়ের মনিহারি দ্রব্যাদি ক্রয়ের সংশোধনী আদেশে বলা হয়, ওইসব খাতে বিভাগীয় কমিশনারের ছাড়পত্রের প্রেক্ষিতে এল এ কন্টিজেন্সি খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ মজুদ থাকা সাপেক্ষ জেলা প্রশাসকগণ বছরে ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন। এ ছাড়া ভূমি হুকুম দখলের জন্য যানবাহন কম্পিউটার ইত্যাদির প্রয়োজন হলে ভূমি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকেরা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবেন।
এ রকম এল এ (ভূমি হুকুম দখল) মামলার আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ প্রায় ৫০ হাজার টাকার একটি চেক পাসের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনসহ এক বছর আগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তা বিধিসম্মত নয় উল্লেখ করে ফেরত পাঠান। এ ব্যাপারে হিসাব নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে বলা হয়, বর্তমান সরকারি বিধি পদ্ধতি অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পত্রাদি এবং ট্রেজারি রুল জেনারেল ফাইন্যান্সিয়াল রুল ইত্যাদিতে এল এ ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধসংক্রান্ত নির্দেশনা থাকলেও প্রত্যাশিত সংস্থা কর্তৃক জমাকৃত এ খাত হতে কার্যালয়ের আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ অর্থ খরচের কোনো বিধি পদ্ধতি নেই। প্রত্যাশী সংস্থা হতে অর্থ গ্রহণ এবং তা কীভাবে খরচ এবং সমন্বয় করা হবে সে ব্যাপারে আন্তমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে হিসাব নিয়ন্ত্রণ বিভাগ মনে করে। গত বছর ১৫ জুলাই এসংক্রান্ত চিঠি মহা-হিসাবরক্ষকের কার্যালয়ে পাঠানো হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মনিহারি পণ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারকে টাকা শোধ করতে পারছে না ভূমি হুকুম দখল শাখা।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (হুকুম দখল) মো. আনিছুর রহমান মিয়া বলেন, ‘আমরা ভূমি হুকুম দখল খাতে প্রত্যাশী সংস্থা থেকে বিপুল টাকা পেয়ে থাকি যা নির্দিষ্ট হিসাবে জমা হচ্ছে। কিন্তু এ খাতে কাজ করতে গিয়ে যে টাকা প্রয়োজন তা খরচ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। প্রায় সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পকেট থেকে এ টাকা খরচ করেন। নিজেদের গাড়ি না থাকায় প্রত্যাশী সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হয়।’ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সমন্বয় প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
হুকুম দখল শাখা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যেকোনো জমি হুকুম দখল করতে হলে সেই জমিতে ঘরবাড়িসহ স্থাপনা, গাছপালা বা কৃষিপণ্য, প্রস্তাবিত জমির আয়তন ও অন্য সম্পদের বিবরণ এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হয় হুকুম দখল বিভাগকে। এসব কাজ করেন হুকুম দখল কর্মকর্তা, কানুনগো, জরিপকারী, চেইনম্যানসহ সংশ্লিষ্ট লোকজন নিয়ে গঠিত তদন্তদল। জমির মালিকানার ভিত্তিতে একেক প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য ৫০ থেকে ৫০ হাজার কপি পর্যন্ত (অফিস কপি ও ভূমির মালিকদের জন্য অনুলিপির কপিসহ) বিজ্ঞপ্তি তৈরি ও বিলি করতে হয়। তৈরি করতে হয় একাধিক ফাইল। প্রমাণের জন্য ধারণ করা হয় ভিডিও চিত্র। একেকটি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও সম্পত্তির হিসাব নির্ণয়ের জন্য প্রকল্প এলাকায় এক থেকে ছয় মাস পর্যন্ত অনেকবার যাওয়া-আসা করতে হয় কর্মকর্তাদের। এ অবস্থায় আকার ও প্রকৃতি ভেদে একেকটি প্রকল্পের হুকুম দখলকাজ চূড়ান্ত করতে খরচ হয় ১০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ষোলশহর সেনানিবাস সম্প্রসারণের জন্য সংলগ্ন ২৩২ দশমিক ০৩ একরের একটি জায়গা হুকুম দখলের উদ্যোগ নেওয়া হয় (বগুড়া সেনানিবাস হতে হাটহাজারী এয়ার ফিল্ড স্থানান্তর প্রকল্প) গত বছর জুলাইয়ের শেষ দিকে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই জমির প্রতিটি গাছ (ছোট-বড় প্রায় সাড়ে চার লাখ), দৈর্ঘ্য-প্রস্থসহ বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও জমির আয়তন ( ৪২১ পরিবারের প্রায় এক হাজার ২০০ ঘর) নিরূপণের জন্য যৌথ তদন্ত দলের ১৬ সদস্যকে কয়েকদিন পর পর যেতে হয়েছে ঘটনাস্থলে। এর মধ্যে একাধারে যেতে হয়েছে প্রায় দেড় মাস। এতে তদন্তদলের প্রতিদিন খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। জানা গেছে, বর্তমানে ২০টি প্রকল্পের জমি হুকুম দখলের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। আরও ২০টি প্রকল্পপ্রস্তাব যাছাইয়ের অপেক্ষায় আছে।
প্রতিটি হুকুম দখল মামলায় ক্ষতিপূরণ বাবদ জমির মালিককে দেয় অর্থ থেকে প্রশাসনিক ব্যয় হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকার বেশি হলে শতকরা দুই ভাগ, এর বেশি হলে তিন ভাগ, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভাগ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১৫ ভাগ হারে আদায় করা হয়। এ খাতে আদায় করা অর্থ নির্দিষ্ট সরকারি হিসাবে জমা রাখা হয়। সূত্র জানায়, ভূমি হুকুম দখলকাজে যাতায়াত ও কাগজসহ আনুষঙ্গিক খাতে বিপুল টাকা প্রয়োজন হলেও জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (এল এ) কোনো ক্ষমতা নেই জমা টাকা খরচ করার। বিভাগীয় কমিশনারের অনুমতি নিয়ে বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা যায়। এর বেশি এক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট হিসাবে বর্তমানে প্রায় ৬০ কোটি টাকা জমা থাকার পরও বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদিত ৫০ হাজার টাকার চেকও পাস করছে না হিসাব নিয়ন্ত্রণ বিভাগ।
ভূমি হুকুম দখল শাখার এক কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও হিসাব নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরস্পরবিরোধী আদেশ ও ব্যাখ্যার ফাঁদে আটকা পড়ে আনুষঙ্গিক খাতের খরচের টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। তিনি জানান, ২০০৮ সালের ৭ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরীর সই করা চিঠিতে বলা হয়, ‘ভূমি অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট জমির ক্ষতিপূরণ এবং এল এ আনুষঙ্গিক বাবদ জমাকৃত অর্থ প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবের আওতাধীন অর্থনৈতিক কোড ৮৪০১-এ জমা থাকে। জমাকৃত অর্থ থেকে ভূমি অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট এল এ শাখার জরুরি ব্যয় মিটানো এবং এল এ মামলা নিষ্পত্তিতে কোন বাধা নেই।’
১৯৯৮ সালের ২৮ মে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এল এ শাখায় ব্যবহারের জন্য টাইপরাইটার যন্ত্র, আসবাবপত্র ও কার্যালয়ের মনিহারি দ্রব্যাদি ক্রয়ের সংশোধনী আদেশে বলা হয়, ওইসব খাতে বিভাগীয় কমিশনারের ছাড়পত্রের প্রেক্ষিতে এল এ কন্টিজেন্সি খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ মজুদ থাকা সাপেক্ষ জেলা প্রশাসকগণ বছরে ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন। এ ছাড়া ভূমি হুকুম দখলের জন্য যানবাহন কম্পিউটার ইত্যাদির প্রয়োজন হলে ভূমি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকেরা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবেন।
এ রকম এল এ (ভূমি হুকুম দখল) মামলার আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ প্রায় ৫০ হাজার টাকার একটি চেক পাসের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনসহ এক বছর আগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তা বিধিসম্মত নয় উল্লেখ করে ফেরত পাঠান। এ ব্যাপারে হিসাব নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে বলা হয়, বর্তমান সরকারি বিধি পদ্ধতি অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পত্রাদি এবং ট্রেজারি রুল জেনারেল ফাইন্যান্সিয়াল রুল ইত্যাদিতে এল এ ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধসংক্রান্ত নির্দেশনা থাকলেও প্রত্যাশিত সংস্থা কর্তৃক জমাকৃত এ খাত হতে কার্যালয়ের আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ অর্থ খরচের কোনো বিধি পদ্ধতি নেই। প্রত্যাশী সংস্থা হতে অর্থ গ্রহণ এবং তা কীভাবে খরচ এবং সমন্বয় করা হবে সে ব্যাপারে আন্তমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে হিসাব নিয়ন্ত্রণ বিভাগ মনে করে। গত বছর ১৫ জুলাই এসংক্রান্ত চিঠি মহা-হিসাবরক্ষকের কার্যালয়ে পাঠানো হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মনিহারি পণ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারকে টাকা শোধ করতে পারছে না ভূমি হুকুম দখল শাখা।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (হুকুম দখল) মো. আনিছুর রহমান মিয়া বলেন, ‘আমরা ভূমি হুকুম দখল খাতে প্রত্যাশী সংস্থা থেকে বিপুল টাকা পেয়ে থাকি যা নির্দিষ্ট হিসাবে জমা হচ্ছে। কিন্তু এ খাতে কাজ করতে গিয়ে যে টাকা প্রয়োজন তা খরচ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। প্রায় সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পকেট থেকে এ টাকা খরচ করেন। নিজেদের গাড়ি না থাকায় প্রত্যাশী সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হয়।’ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সমন্বয় প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
No comments