বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করাই সবচেয়ে জরুরি-চিন্তা যখন চিনি নিয়ে
রমজান মাস ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার শঙ্কা বাংলাদেশে নতুন বিষয় নয়। এসব পণ্যের মধ্যে অন্যতম হলো চিনি। চিনির দাম নিয়ে সরকারের মধ্যেও একধরনের দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ কাজ করছে বলে মনে হয়।
আর তাই সরকারি চিনিকলগুলো তাদের ডিলারদের কাছে প্রতি কেজি চিনি ৪৫ টাকার পরিবর্তে দুই টাকা কমিয়ে ৪৩ টাকায় বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। হ্রাসকৃত এই দরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন রমজান মাসে ৭৭ হাজার টনের বেশি চিনি বাজারে বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে বাজারে চিনির সরবরাহজনিত সংকট অনেকটাই কমে যাবে।
মুশকিল হলো সরকারের কাজে গতি-মন্থরতার বিষয়টি। করপোরেশন যে এই পরিমাণ চিনি বাজারে জোগান দেবে, তার মধ্যে ২৫ হাজার টন আসবে আমদানি করার মাধ্যমে। আমদানিতে দীর্ঘসূত্রতা শেষ পর্যন্ত পুরো পরিকল্পনাকেই অকার্যকর করে তুলতে পারে। অন্যদিকে প্রথম আলোর আরেক খবর থেকে জানা যায়, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) গত এক বছরে আড়াই লাখ টন চিনি সরবরাহের জন্য ১৭টি প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ হলেও একটি বাদে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো এক ছটাক চিনিও আনতে পারেনি। তাই রমজান মাসে টিসিবি যে বাজারে পর্যাপ্ত চিনি বিক্রি করবে, সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। তার মানে সরবরাহজনিত সংকটের একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, এসব প্রতিষ্ঠান চিনি আনতে ব্যর্থ হলো কেন? শর্ত ও দর সব জেনেই তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। এখন নতুনভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে চিনি আমদানি করতে গেলে রমজান মাস পেরিয়ে যাবে। যে সময় চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে সময়ই যদি পর্যাপ্ত জোগান দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে সংকট বাড়ে বৈ কমে না। আর সরকারের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে বেসরকারি খাত থেকে যদি বাজারে দাম বাড়ানো হয়, তাহলে আর বলার কিছু নেই। কারণ, বাজারের নিয়মেই চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়ে। অভিজ্ঞতাই বলে, ধমক-ধামক দিয়ে বা দফায় দফায় বৈঠক করে দাম ঠিক করা যায় না। এই বাস্তবতায় সরকারের উচিত হবে, তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকু চিনি দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেওয়ার সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া। মনে রাখতে হবে, এখানেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা দিলে দেশের মানুষ সরকারি উদ্যোগের কোনোই সুফল পাবে না।
মুশকিল হলো সরকারের কাজে গতি-মন্থরতার বিষয়টি। করপোরেশন যে এই পরিমাণ চিনি বাজারে জোগান দেবে, তার মধ্যে ২৫ হাজার টন আসবে আমদানি করার মাধ্যমে। আমদানিতে দীর্ঘসূত্রতা শেষ পর্যন্ত পুরো পরিকল্পনাকেই অকার্যকর করে তুলতে পারে। অন্যদিকে প্রথম আলোর আরেক খবর থেকে জানা যায়, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) গত এক বছরে আড়াই লাখ টন চিনি সরবরাহের জন্য ১৭টি প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ হলেও একটি বাদে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো এক ছটাক চিনিও আনতে পারেনি। তাই রমজান মাসে টিসিবি যে বাজারে পর্যাপ্ত চিনি বিক্রি করবে, সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। তার মানে সরবরাহজনিত সংকটের একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, এসব প্রতিষ্ঠান চিনি আনতে ব্যর্থ হলো কেন? শর্ত ও দর সব জেনেই তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। এখন নতুনভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে চিনি আমদানি করতে গেলে রমজান মাস পেরিয়ে যাবে। যে সময় চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে সময়ই যদি পর্যাপ্ত জোগান দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে সংকট বাড়ে বৈ কমে না। আর সরকারের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে বেসরকারি খাত থেকে যদি বাজারে দাম বাড়ানো হয়, তাহলে আর বলার কিছু নেই। কারণ, বাজারের নিয়মেই চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়ে। অভিজ্ঞতাই বলে, ধমক-ধামক দিয়ে বা দফায় দফায় বৈঠক করে দাম ঠিক করা যায় না। এই বাস্তবতায় সরকারের উচিত হবে, তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকু চিনি দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেওয়ার সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া। মনে রাখতে হবে, এখানেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা দিলে দেশের মানুষ সরকারি উদ্যোগের কোনোই সুফল পাবে না।
No comments