বিদ্যুেকন্দ্র উদ্বোধনের পরই বন্ধঃ দিনবদলের সাফল্যই বটে!
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকঢোল পিটিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন ১২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুেকন্দ্রটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় তিনি একে মহাজোট সরকারের এক বছরের উন্নতির একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
এ ঘোষণায় যাদের বুক গর্বে ভরে উঠেছিল, উপস্থিত যারা সজোরে করতালি বাজিয়েছিলেন তাদের হতাশায় ডুবে যেতে বেশি সময় লাগেনি। উদ্বোধনের পরপরই বিদ্যুেকন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে কেন্দ্রটি চালু করা যাচ্ছে না বলে গতকালের আমার দেশ-এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে। দিনবদলের এমন ফলক যে এত শিগগির মুখ থুবড়ে পড়বে, সেটা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীও ভাবেননি।
বিদ্যুেকন্দ্রটি নির্মাণের ষোলআনা কৃতিত্ব মহাজোট সরকার দাবি করলেও বাস্তবতা হচ্ছে, এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দেয়া ঋণের প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে ১২০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুেকন্দ্র বসানোর দরপত্র প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয় ২০০৬ সালে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি প্রতিযোগিতামূলক না হওয়ায় এবং ভারতীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আপত্তি ওঠায় বিষয়টি আটকে যায়। জরুরি অবস্থার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালসের (ভেল) সঙ্গে বিদ্যুেকন্দ্রটি স্থাপনের চুক্তি হয়। তাদের তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে নির্মাণকাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রথম কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেছিলেন। তিন তিনটি সরকারের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার শতভাগ সাফল্য দাবি করে এখন তিনি নিজেকে বিপদাপন্ন ভাবছেন কি-না, সেটি আমরা জানতে পারিনি।
প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীবর্গ এবং মহাজোটের নেতারা বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে বিদ্যুত্ খাতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়াতেই বর্তমান ভয়াবহ বিদ্যুত্ সঙ্কট—এমন দাবি তুলতে মুখে ফেনা তোলেন। অথচ সে আমলেই টঙ্গীতে ১০০ মেগাওয়াট, সিদ্ধিরগঞ্জে ২১০ মেগাওয়াট এবং বড়পুকুরিয়ায় কয়লাভিত্তিক ২৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুেকন্দ্র উদ্বোধন করেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সে সময়ই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া বেসরকারি খাতের নয়টি ছোট বিদ্যুেকন্দ্র বিগত পাঁচ বছরে চালু হয়েছে। এসব কিছু অস্বীকার করে বিএনপি জোট সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে মহাজোট সরকার প্রথম দিন থেকেই। নিজেদের সাফল্য তুলে ধরার জন্যই ক্ষমতা গ্রহণের ১৩ মাসের মাথায় বিদ্যুেকন্দ্র উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী চমক দেখাতে চেয়েছিলেন। এভাবেই ২০১৩ সালের মধ্যে দেশে আরও সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ধাপে ধাপে দেশের সব অঞ্চলের শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেয়ার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণের প্রথম ধাপটি যে মোটেই সুবিধার হয়নি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা মুখ খুলতে না চাইলেও ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতির কারণেই যে চালুর পরপরই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে সেটি গোপন থাকেনি। ভারতে তৈরি যন্ত্রপাতি টেকসই না হওয়াতেই অতীতে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি উঠেছিল, সেটিও সংশ্লিষ্টদের জানা। সেসব বিষয়কে বিবেচনায় না নিয়ে নিজেদের হামবড়া ভাব দেখানোর এমন পরিণতিই স্বাভাবিক। এখনই সতর্ক না হলে এমন সাফল্য শেষ পর্যন্ত মহাজোট সরকারের দিনও বদলে দিতে পারে।
বিদ্যুেকন্দ্রটি নির্মাণের ষোলআনা কৃতিত্ব মহাজোট সরকার দাবি করলেও বাস্তবতা হচ্ছে, এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দেয়া ঋণের প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে ১২০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুেকন্দ্র বসানোর দরপত্র প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয় ২০০৬ সালে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি প্রতিযোগিতামূলক না হওয়ায় এবং ভারতীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আপত্তি ওঠায় বিষয়টি আটকে যায়। জরুরি অবস্থার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালসের (ভেল) সঙ্গে বিদ্যুেকন্দ্রটি স্থাপনের চুক্তি হয়। তাদের তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে নির্মাণকাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রথম কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেছিলেন। তিন তিনটি সরকারের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার শতভাগ সাফল্য দাবি করে এখন তিনি নিজেকে বিপদাপন্ন ভাবছেন কি-না, সেটি আমরা জানতে পারিনি।
প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীবর্গ এবং মহাজোটের নেতারা বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে বিদ্যুত্ খাতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়াতেই বর্তমান ভয়াবহ বিদ্যুত্ সঙ্কট—এমন দাবি তুলতে মুখে ফেনা তোলেন। অথচ সে আমলেই টঙ্গীতে ১০০ মেগাওয়াট, সিদ্ধিরগঞ্জে ২১০ মেগাওয়াট এবং বড়পুকুরিয়ায় কয়লাভিত্তিক ২৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুেকন্দ্র উদ্বোধন করেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সে সময়ই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া বেসরকারি খাতের নয়টি ছোট বিদ্যুেকন্দ্র বিগত পাঁচ বছরে চালু হয়েছে। এসব কিছু অস্বীকার করে বিএনপি জোট সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে মহাজোট সরকার প্রথম দিন থেকেই। নিজেদের সাফল্য তুলে ধরার জন্যই ক্ষমতা গ্রহণের ১৩ মাসের মাথায় বিদ্যুেকন্দ্র উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী চমক দেখাতে চেয়েছিলেন। এভাবেই ২০১৩ সালের মধ্যে দেশে আরও সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ধাপে ধাপে দেশের সব অঞ্চলের শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেয়ার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণের প্রথম ধাপটি যে মোটেই সুবিধার হয়নি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা মুখ খুলতে না চাইলেও ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতির কারণেই যে চালুর পরপরই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে সেটি গোপন থাকেনি। ভারতে তৈরি যন্ত্রপাতি টেকসই না হওয়াতেই অতীতে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি উঠেছিল, সেটিও সংশ্লিষ্টদের জানা। সেসব বিষয়কে বিবেচনায় না নিয়ে নিজেদের হামবড়া ভাব দেখানোর এমন পরিণতিই স্বাভাবিক। এখনই সতর্ক না হলে এমন সাফল্য শেষ পর্যন্ত মহাজোট সরকারের দিনও বদলে দিতে পারে।
No comments