বাজেটে অব্যাহত থাকছে সুবিধা by আবুল কাশেম
পুঁজিবাজারে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট ট্যাক্সের হার ৫ শতাংশ কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে ২০১২-১৩ অর্থবছরে। এর ফলে আগামী অর্থবছরে পুঁজিবাজারে আরো স্থিতিশীলতা আসবে বলে আশা করছে সরকার।
তবে ব্যাংকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে করপোরেট করের হার বর্তমান অর্থবছরের মতোই বহাল থাকছে। এ ছাড়া কর অবকাশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসহ বিদেশি বিনিয়োগের অর্থপাচার প্রতিরোধে 'ট্রান্সফার প্রাইসিং' নামে নতুন আইনের ঘোষণা থাকছে অর্থমন্ত্রীর ঝুলিতে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর নগদ কেনাকাটা বন্ধ এবং হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও পুঁজিবাজারের সব সুবিধা অব্যাহত থাকছে। এর সঙ্গে বাড়তি সুবিধা যোগ হচ্ছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করপোরেট করের হার কমানোর উদ্যোগ। নতুন অর্থবছরে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করের হার ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হবে। এর ফলে পুঁজিবাজারে আরো স্থিতিশীলতা আসবে।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন গাড়ি, সফটওয়্যার, আসবাবপত্রসহ নানা উপকরণ নগদ অর্থে কিনে রাজস্ব বোর্ডে ভাউচার জমা দিয়ে থাকে। নতুন অর্থবছর থেকে আর এ ধরনের ভাউচার গ্রহণ করবে না রাজস্ব বোর্ড। অর্থাৎ, ব্যাংকগুলো নগদ অর্থে আর কোনো কেনাকাটা করতে পারবে না। তাদের যেখানে যা-ই খরচ হোক না কেন, তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে ব্যাংক হিসাবে, চেকের মাধ্যমে। এনবিআর আশা করছে, এর ফলে ব্যাংকগুলোর খরচের ক্ষেত্রে যেমন স্বচ্ছতা আসবে, তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নানাভাবে অর্থপাচার করার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ কিভাবে তাঁরা স্থানান্তর করছেন তার কোনো হিসাব নেই। এ ছাড়া কর অবকাশ সুবিধাপ্রাপ্ত স্থানীয় শিল্পমালিকরাও নানাভাবে বিদেশে অর্থপাচার করে একদিকে যেমন শিল্পকে লোকসানি দেখাচ্ছেন, অন্যদিকে দেশ থেকে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রাও চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে বিদেশি বা স্থানীয়- কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তাই এভাবে অর্থপাচার করার সুযোগ না পান সে জন্য ট্রান্সফার প্রাইসিং নামে নতুন আইন করবে সরকার। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যেই এ আইন প্রণয়নের ঘোষণা থাকছে বলে জানান তাঁরা।
এদিকে, আগামী অর্থবছরে হিমায়িত মৎস্য খাতে রপ্তানি প্রণোদনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বৈঠক করে এ খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। প্রণোদনা বেড়ে কত হবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকের পর তা নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে ১০ শতাংশ প্রণোদনা বহাল আছে, তা বেড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে গত ৩১ মে মৎস্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও ড. মসিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপদেষ্টা হিমায়িত মৎস্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রণোদনার হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। মৎস্যমন্ত্রী সে সময় বলেন, মৎস্য খাতকে কৃষি খাতের উপখাত বলা হলেও কৃষির মতো সুযোগ-সুবিধা মৎস্য খাত পাচ্ছে না। তিনি প্রণোদনার হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের পক্ষেই অবস্থান নেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও পুঁজিবাজারের সব সুবিধা অব্যাহত থাকছে। এর সঙ্গে বাড়তি সুবিধা যোগ হচ্ছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করপোরেট করের হার কমানোর উদ্যোগ। নতুন অর্থবছরে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করের হার ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হবে। এর ফলে পুঁজিবাজারে আরো স্থিতিশীলতা আসবে।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন গাড়ি, সফটওয়্যার, আসবাবপত্রসহ নানা উপকরণ নগদ অর্থে কিনে রাজস্ব বোর্ডে ভাউচার জমা দিয়ে থাকে। নতুন অর্থবছর থেকে আর এ ধরনের ভাউচার গ্রহণ করবে না রাজস্ব বোর্ড। অর্থাৎ, ব্যাংকগুলো নগদ অর্থে আর কোনো কেনাকাটা করতে পারবে না। তাদের যেখানে যা-ই খরচ হোক না কেন, তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে ব্যাংক হিসাবে, চেকের মাধ্যমে। এনবিআর আশা করছে, এর ফলে ব্যাংকগুলোর খরচের ক্ষেত্রে যেমন স্বচ্ছতা আসবে, তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নানাভাবে অর্থপাচার করার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ কিভাবে তাঁরা স্থানান্তর করছেন তার কোনো হিসাব নেই। এ ছাড়া কর অবকাশ সুবিধাপ্রাপ্ত স্থানীয় শিল্পমালিকরাও নানাভাবে বিদেশে অর্থপাচার করে একদিকে যেমন শিল্পকে লোকসানি দেখাচ্ছেন, অন্যদিকে দেশ থেকে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রাও চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে বিদেশি বা স্থানীয়- কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তাই এভাবে অর্থপাচার করার সুযোগ না পান সে জন্য ট্রান্সফার প্রাইসিং নামে নতুন আইন করবে সরকার। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যেই এ আইন প্রণয়নের ঘোষণা থাকছে বলে জানান তাঁরা।
এদিকে, আগামী অর্থবছরে হিমায়িত মৎস্য খাতে রপ্তানি প্রণোদনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বৈঠক করে এ খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। প্রণোদনা বেড়ে কত হবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকের পর তা নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে ১০ শতাংশ প্রণোদনা বহাল আছে, তা বেড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে গত ৩১ মে মৎস্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও ড. মসিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপদেষ্টা হিমায়িত মৎস্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রণোদনার হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। মৎস্যমন্ত্রী সে সময় বলেন, মৎস্য খাতকে কৃষি খাতের উপখাত বলা হলেও কৃষির মতো সুযোগ-সুবিধা মৎস্য খাত পাচ্ছে না। তিনি প্রণোদনার হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের পক্ষেই অবস্থান নেন।
No comments