শ্রমিকের নৈরাজ্য ও মালিকের কঠোরতা পরিহার্য-পোশাকশ্রমিকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ
সরকারঘোষিত মজুরিকাঠামো পোশাকশ্রমিকেরা মানছেন না, মালিকপক্ষও শিল্পে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হচ্ছে, পুলিশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে শ্রমিকদের সহিংস বিক্ষোভ। এ অবস্থায় তিন পক্ষের আচরণই পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন।
প্রথমত, তিন হাজার টাকার নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করে যে মজুরিকাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে, তা শ্রমিকদের বড় অংশই মানতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, সেই মজুরিও আগামী নভেম্বর থেকে কার্যকর করার ঘোষণায় তাদের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে। এ দুটি কারণই চলমান শ্রমিক অসন্তোষের গোড়ার কারণ। অতীতেও ঘোষিত মজুরি পূর্ণভাবে যথাসময়ে সব কারখানায় বাস্তবায়িত না হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাদের রয়েছে। এর মধ্যে ‘ষড়যন্ত্র’ বা ‘উসকানি’ যদি কিছু থেকেও থাকে, তা মূল ব্যাপার নয়। শুধু ‘উসকানি’ দিয়ে মহাখালী-তেজগাঁও থেকে নারায়ণগঞ্জ-ফতুল্লা এবং আশুলিয়া-সাভার পর্যন্ত হাজার হাজার শ্রমিককে পথে নামানো যায় না।
তবে শ্রমিকদের ক্ষোভ যৌক্তিক হয়ে থাকলেও, তাঁদের প্রতিবাদ প্রকাশের ধরন মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমস্যার জন্য যারা দায়ী নয়, সেই সব দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন কিংবা নিজেদের প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে শ্রমিকেরা তাঁদের দাবির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থনেই চিড় ধরাচ্ছেন। আবার সরকারের তরফে বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক নেতাদের ধরপাকড় করার যে ঘটনা ঘটছে, তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে কোনোভাবেই সাহায্য করবে না। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সংগঠিত ও নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত আন্দোলন সাধারণত নৈরাজ্যিক হয়ে ওঠে না। তাই শ্রমিক প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই শ্রমিকদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
বিধি অনুযায়ী, নতুন মজুরিকাঠামো গেজেট আকারে প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি-অভিযোগ ইত্যাদি জানানোর সুযোগ রয়েছে। সুতরাং পুনর্বিবেচনার সুযোগ যখন রয়েছে, তখন সেই সুযোগকে কাজে লাগানোই উচিত। পুলিশ দিয়ে শ্রমিকদের অসন্তোষ হয়তো সাময়িকভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব, কিন্তু এই শিল্পে একটি যৌক্তিক বেতনকাঠামো, সম্মানজনক কর্ম-পরিবেশ এবং মালিক-শ্রমিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বারবার এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাবে। দীর্ঘ মেয়াদে শান্তির স্বার্থে তাই শ্রমিকদের মানবিক মজুরি এবং এ খাতে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ককে উন্নত করতেই হবে।
অন্যদিকে শ্রমিকেরা ভাঙচুরের যে পথ বেছে নিয়েছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পথ পরিহার করে শ্রমিকদের বিকল্প কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ভাঙচুর-নৈরাজ্য শিল্প ও শ্রমিক উভয়ের জন্যই আত্মঘাতী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোশাকশ্রমিকদের মজুরি মানবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বর্তমান নির্ধারিত মজুরি নিয়ে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, তার একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। লাভজনক বিনিয়োগ খাত হিসেবে পোশাকশিল্পের মালিকেরা একটি যৌক্তিক সমাধানে না আসতে পারলে আখেরে নিজেদের স্বার্থেরই ক্ষতি করবেন। যা করার দ্রুতই করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের সময়সীমা দূরে রাখা যাবে না।
তবে শ্রমিকদের ক্ষোভ যৌক্তিক হয়ে থাকলেও, তাঁদের প্রতিবাদ প্রকাশের ধরন মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমস্যার জন্য যারা দায়ী নয়, সেই সব দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন কিংবা নিজেদের প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে শ্রমিকেরা তাঁদের দাবির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থনেই চিড় ধরাচ্ছেন। আবার সরকারের তরফে বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক নেতাদের ধরপাকড় করার যে ঘটনা ঘটছে, তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে কোনোভাবেই সাহায্য করবে না। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সংগঠিত ও নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত আন্দোলন সাধারণত নৈরাজ্যিক হয়ে ওঠে না। তাই শ্রমিক প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই শ্রমিকদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
বিধি অনুযায়ী, নতুন মজুরিকাঠামো গেজেট আকারে প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি-অভিযোগ ইত্যাদি জানানোর সুযোগ রয়েছে। সুতরাং পুনর্বিবেচনার সুযোগ যখন রয়েছে, তখন সেই সুযোগকে কাজে লাগানোই উচিত। পুলিশ দিয়ে শ্রমিকদের অসন্তোষ হয়তো সাময়িকভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব, কিন্তু এই শিল্পে একটি যৌক্তিক বেতনকাঠামো, সম্মানজনক কর্ম-পরিবেশ এবং মালিক-শ্রমিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বারবার এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাবে। দীর্ঘ মেয়াদে শান্তির স্বার্থে তাই শ্রমিকদের মানবিক মজুরি এবং এ খাতে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ককে উন্নত করতেই হবে।
অন্যদিকে শ্রমিকেরা ভাঙচুরের যে পথ বেছে নিয়েছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পথ পরিহার করে শ্রমিকদের বিকল্প কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ভাঙচুর-নৈরাজ্য শিল্প ও শ্রমিক উভয়ের জন্যই আত্মঘাতী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোশাকশ্রমিকদের মজুরি মানবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বর্তমান নির্ধারিত মজুরি নিয়ে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, তার একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। লাভজনক বিনিয়োগ খাত হিসেবে পোশাকশিল্পের মালিকেরা একটি যৌক্তিক সমাধানে না আসতে পারলে আখেরে নিজেদের স্বার্থেরই ক্ষতি করবেন। যা করার দ্রুতই করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের সময়সীমা দূরে রাখা যাবে না।
No comments