ব্যর্থতার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেতন-ফি বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেননি, পরিণতিতে বিক্ষোভ-সংঘাত ও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার মতো ঘটনায় গড়াল। কিন্তু এমন পরিণতি কি সত্যিই অবধারিত ছিল? বলা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায়
তাদের জানা-বোঝার ঘাটতি রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার সহজ পথটি কর্তৃপক্ষ বেছে নিয়েছে।
জুলাই মাস থেকে বর্ধিত বেতন-ফি কার্যকরের পর শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে ২৬ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন। এ ধরনের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রশমনের পথ হতে পারত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলাপ-আলোচনার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। বেতন-ফি বৃদ্ধির পেছনে যদি যৌক্তিক কারণ থেকে থাকে, তা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়নি।
২৬ জুলাই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ নিয়ে সংঘাত-সহিংসতা এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে চট্টগ্রাম শহরেও যানবাহন ভাঙচুর এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরপর ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ ও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিষয়টি আমলে না নিয়ে পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টা চালিয়েছে। সোমবার পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে লাঠিপেটা এবং ২৪১ জনকে গ্রেপ্তারের পর কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় দেড় মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা বারবার এ ধরনের হতাশাজনক চিত্র দেখে আসছি—একদিকে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ প্রশমনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তা সমাধানের চেষ্টা করা এবং অন্যদিকে প্রতিবাদের নিয়মতান্ত্রিক পথে না গিয়ে শিক্ষার্থীদের নৈরাজ্য ও ভাঙচুরের পথ বেছে নেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম যথাযথভাবে চালাতে হলে এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
আমরা মনে করি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেভাবে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদকে মোকাবিলা করেছে, তা সঠিক পথে ছিল না। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরোধিতাকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান হাজির করতে উদ্যোগী হলে পরবর্তী নৈরাজ্য হয়তো এড়ানো সম্ভব হতো। এখন তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে। এই ব্যর্থতার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে। অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর বাইরে যে ভাঙচুর চালিয়েছেন, তাও মেনে নেওয়া যায় না। ভাঙচুর ও নৈরাজ্য সৃষ্টি দাবি আদায়ের পথ হতে পারে না। তাঁদের উচিত ছিল নিয়মতান্ত্রিকভাবে ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ জানানো।
কিছুদিন পরপর নানা কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংঘাত-সহিংসতা এবং পরিণতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা দেশের উচ্চশিক্ষা পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমনিতেই সেশনজটে আক্রান্ত। সেখানে প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে যদি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হয়, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই আরও শোচনীয় হতে বাধ্য। আমরা অবিলম্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়াসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জুলাই মাস থেকে বর্ধিত বেতন-ফি কার্যকরের পর শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে ২৬ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন। এ ধরনের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রশমনের পথ হতে পারত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলাপ-আলোচনার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। বেতন-ফি বৃদ্ধির পেছনে যদি যৌক্তিক কারণ থেকে থাকে, তা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়নি।
২৬ জুলাই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ নিয়ে সংঘাত-সহিংসতা এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে চট্টগ্রাম শহরেও যানবাহন ভাঙচুর এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরপর ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ ও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিষয়টি আমলে না নিয়ে পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টা চালিয়েছে। সোমবার পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে লাঠিপেটা এবং ২৪১ জনকে গ্রেপ্তারের পর কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় দেড় মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা বারবার এ ধরনের হতাশাজনক চিত্র দেখে আসছি—একদিকে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ প্রশমনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তা সমাধানের চেষ্টা করা এবং অন্যদিকে প্রতিবাদের নিয়মতান্ত্রিক পথে না গিয়ে শিক্ষার্থীদের নৈরাজ্য ও ভাঙচুরের পথ বেছে নেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম যথাযথভাবে চালাতে হলে এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
আমরা মনে করি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেভাবে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদকে মোকাবিলা করেছে, তা সঠিক পথে ছিল না। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরোধিতাকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান হাজির করতে উদ্যোগী হলে পরবর্তী নৈরাজ্য হয়তো এড়ানো সম্ভব হতো। এখন তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে। এই ব্যর্থতার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে। অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর বাইরে যে ভাঙচুর চালিয়েছেন, তাও মেনে নেওয়া যায় না। ভাঙচুর ও নৈরাজ্য সৃষ্টি দাবি আদায়ের পথ হতে পারে না। তাঁদের উচিত ছিল নিয়মতান্ত্রিকভাবে ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ জানানো।
কিছুদিন পরপর নানা কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংঘাত-সহিংসতা এবং পরিণতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা দেশের উচ্চশিক্ষা পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমনিতেই সেশনজটে আক্রান্ত। সেখানে প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে যদি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হয়, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই আরও শোচনীয় হতে বাধ্য। আমরা অবিলম্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়াসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
No comments