অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন-ভোটার তালিকা হালনাগাদ
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ কুঠিপাড়ার একজন তরুণী নতুন ভোটার হওয়ার জন্য ঘুষের দাবি সদর্পে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘লোকে ভোট নিয়ে রাজা-গজা হবে, আর আমরা ট্যাকা দিয়ে খাতায় নাম ল্যাখাব, তার দরকার নেই।’ ঘুষ না দিয়ে তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
শুধু এ কারণেই দ্রুত তাঁর নাম ভোটার তালিকায় ওঠানো দরকার।
ওই এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজ চলছে। অভিযোগ উঠেছে, তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য নতুন ভোটারদের কাছে নানা অজুহাতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে।
আলোচ্য উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও অপর একজন ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠলেও তাঁরা যথারীতি অস্বীকার করে বলেন, ঘুষ নয়, ডাক্তারের প্রত্যয়নপত্রের জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে। কারণ, জন্মসনদ বা এসএসসি পাসের সনদ ছাড়া নাকি নতুন ভোটার হওয়া যাবে না। যাঁদের এসব নেই, তাঁদের কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই টাকা দিতে পারছেন না বা দিতে চাইছেন না।
বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকের বয়স ১৮ বছর এবং অন্য দু-একটি বিষয় নিশ্চিত হলেই তাঁর ভোটার হওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে জালিয়াতির সুযোগ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ বা এসএসসি সনদের শর্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ওই সব শর্তের ফাঁকফোকর দিয়ে দুর্নীতি ঢুকে গেছে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যেকোনো ধরনের অনিয়ম থেকে দূরে থাকবেন, এটাই মানুষ আশা করে। জন্মনিবন্ধন সনদ তাঁরাই দিতে পারেন, এ জন্য কোনো টাকার দরকার হয় না। সুতরাং, কেউ যদি টাকা দাবি করেন, তাহলে তিনি অনৈতিক ও বেআইনি কাজ করেছেন। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সঠিক ভোটার তালিকা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুতরাং, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে এসব সমস্যা শেষ পর্যন্ত নতুন রাজনৈতিক মাত্রা যোগ করবে। প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।
ওই এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজ চলছে। অভিযোগ উঠেছে, তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য নতুন ভোটারদের কাছে নানা অজুহাতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে।
আলোচ্য উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও অপর একজন ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠলেও তাঁরা যথারীতি অস্বীকার করে বলেন, ঘুষ নয়, ডাক্তারের প্রত্যয়নপত্রের জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে। কারণ, জন্মসনদ বা এসএসসি পাসের সনদ ছাড়া নাকি নতুন ভোটার হওয়া যাবে না। যাঁদের এসব নেই, তাঁদের কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই টাকা দিতে পারছেন না বা দিতে চাইছেন না।
বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকের বয়স ১৮ বছর এবং অন্য দু-একটি বিষয় নিশ্চিত হলেই তাঁর ভোটার হওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে জালিয়াতির সুযোগ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ বা এসএসসি সনদের শর্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ওই সব শর্তের ফাঁকফোকর দিয়ে দুর্নীতি ঢুকে গেছে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যেকোনো ধরনের অনিয়ম থেকে দূরে থাকবেন, এটাই মানুষ আশা করে। জন্মনিবন্ধন সনদ তাঁরাই দিতে পারেন, এ জন্য কোনো টাকার দরকার হয় না। সুতরাং, কেউ যদি টাকা দাবি করেন, তাহলে তিনি অনৈতিক ও বেআইনি কাজ করেছেন। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সঠিক ভোটার তালিকা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুতরাং, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে এসব সমস্যা শেষ পর্যন্ত নতুন রাজনৈতিক মাত্রা যোগ করবে। প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।
No comments