সরকারি হাসপাতালে বেহাল চিকিৎসাব্যবস্থা-চিকিৎসকদের গরহাজিরা
পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। চিকিৎসকের স্বল্পতার কারণে আমাদের দেশের বাস্তবতায় হয়তো তা সম্ভব নয়। তাই বলে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ীই অফিস চলাকালে তাঁরা কর্মস্থলের বাইরে থাকতে পারেন না।
অফিস সময়ের পর ইচ্ছে করলে চিকিৎসকেরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন।
সোমবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক মাসের পর মাস অনুপস্থিত রয়েছেন। অন্যদিকে হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৫৩০ হলেও রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ। ফলে তাঁদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একজন চিকিৎসক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে গত জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি আরেকটি শহরে নিয়মিত প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন। একজন শল্য-চিকিৎসক অ্যানেসথেটিস্ট না থাকার দোহাই দিয়ে হাসপাতালেই আসছেন না। আরেকজন চিকিৎসকের দাবি, তিনি ঢাকায় থাকলেও নাকি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন! বিভাগীয় শহরের প্রধান হাসপাতালটিরই যখন এই বেহাল অবস্থা, তখন জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়।
একশ্রেণীর চিকিৎসকের স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা-ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও কম হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীও সরকারি চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ঢাকার বাইরে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের সেখানেই থাকতে হবে। চিকিৎসকেরা হয়তো যুক্তি দেখাবেন, বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের তুলনায় তাঁরা বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা কম পান। তাই বলে তাঁরা বিনা ছুটিতে গরহাজির থাকতে পারেন না।
চিকিৎসাসেবার মতো একটি মহৎ পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিরা এতটা দায়িত্বহীন হবেন, তা কেউ আশা করে না। তাঁরা ইচ্ছে করলে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরো বেসরকারি প্র্যাকটিস করতে পারেন। সে অধিকার তাঁদের আছে। কিন্তু সরকারি চাকরি করবেন আবার কর্মস্থলে গরহাজির থাকবেন, সেটি হতে পারে না। বিএনপির আমলে একদল চিকিৎসক দলবাজি করে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের আমলেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে, সেটা কাম্য নয়। সরকারি চাকরি করেও যেসব চিকিৎসক কর্মস্থলে গরহাজির থাকছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের দিকেই নজর দিতে হবে সরকারকে।
সোমবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক মাসের পর মাস অনুপস্থিত রয়েছেন। অন্যদিকে হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৫৩০ হলেও রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ। ফলে তাঁদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একজন চিকিৎসক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে গত জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি আরেকটি শহরে নিয়মিত প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন। একজন শল্য-চিকিৎসক অ্যানেসথেটিস্ট না থাকার দোহাই দিয়ে হাসপাতালেই আসছেন না। আরেকজন চিকিৎসকের দাবি, তিনি ঢাকায় থাকলেও নাকি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন! বিভাগীয় শহরের প্রধান হাসপাতালটিরই যখন এই বেহাল অবস্থা, তখন জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়।
একশ্রেণীর চিকিৎসকের স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা-ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও কম হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীও সরকারি চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ঢাকার বাইরে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের সেখানেই থাকতে হবে। চিকিৎসকেরা হয়তো যুক্তি দেখাবেন, বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের তুলনায় তাঁরা বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা কম পান। তাই বলে তাঁরা বিনা ছুটিতে গরহাজির থাকতে পারেন না।
চিকিৎসাসেবার মতো একটি মহৎ পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিরা এতটা দায়িত্বহীন হবেন, তা কেউ আশা করে না। তাঁরা ইচ্ছে করলে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরো বেসরকারি প্র্যাকটিস করতে পারেন। সে অধিকার তাঁদের আছে। কিন্তু সরকারি চাকরি করবেন আবার কর্মস্থলে গরহাজির থাকবেন, সেটি হতে পারে না। বিএনপির আমলে একদল চিকিৎসক দলবাজি করে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের আমলেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে, সেটা কাম্য নয়। সরকারি চাকরি করেও যেসব চিকিৎসক কর্মস্থলে গরহাজির থাকছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের দিকেই নজর দিতে হবে সরকারকে।
No comments