অদক্ষ চালক ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন দূর করতে হবে-সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু
দুর্ঘটনায় কোনো মৃত্যুই কাঙ্ক্ষিত নয়। কিন্তু শনিবার যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রাজিয়া বেগম এবং বাংলাদেশ কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিল, তা নিছক দুর্ঘটনার পরিণতি বলে মেনে নেওয়া যায় না।
কারণ, সড়কপথে যাতায়াত নিরাপদ রাখতে যা কিছু করা প্রয়োজন, তার অনেকখানিই করা হয় না। যার ফলে দুর্ঘটনা অবধারিত হয়ে ওঠে। যাত্রী ও পথচারীদের প্রাণ দিতে হয়।
নিহত রাজিয়া বেগম এর আগে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে সচিব পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে প্রথম নিয়োগ পাওয়া চার জেলা প্রশাসকের অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশে প্রশাসনে শীর্ষ পর্যায়ে হাতেগোনা কয়েকজন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁদের একজন চলে গেলেন। এ মৃত্যু মর্মপীড়াদায়ক। অন্যদিকে বিসিক চেয়ারম্যানের মৃত্যুও সাংঘাতিক পীড়াদায়ক; কারণ, মাত্র মাস চারেক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর দুই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে ওঠার আগেই তিনি পরিবার-পরিজনকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন। তাঁদের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।
একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের এ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দায়ী ব্যক্তিদের কি গ্রেপ্তার ও বিচারের সম্মুখীন করা যাবে? কারণ, অতীতে এ ধরনের অনেক সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত ও বিচার মাঝপথে থেমে গেছে। অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি না হলে তা পরবর্তী আরেকটি দুর্ঘটনা ডেকে আনে। তাই আমরা মনে করি, এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া দরকার।
দুর্ঘটনার মূল একটি কারণ হলো অদক্ষ চালক। তাঁদের অনেকে ভুয়া ছাড়পত্র নিয়ে বাস-ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ি চালান। দূরপাল্লার বাস-ট্রাকচালকদের অনেকে মাদক সেবন করেন এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। বাসে অনেক সময় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হয়। ট্রাকে ওঠানো হয় অতিরিক্ত মালামাল। তা ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। অনেক গাড়ি ভুয়া ফিটনেস সনদ নিয়ে রাস্তায় চলাচল করে। বহু বছরের জরাজীর্ণ বাস-ট্রাকগুলো যখন বেপরোয়া গতিতে রাস্তায় চলে, মনে হয় স্বয়ং মৃত্যুদূত জান কেড়ে নেওয়ার জন্য রাস্তায় ছুটে চলেছে।
এসব অনিয়ম রোধের জন্য হাইওয়ে পুলিশ থাকার কথা। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব প্রায় সময়ই টের পাওয়া যায় না। যদি থাকত তাহলে বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলা গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতো। টহল পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কের নির্দিষ্ট দূরত্বে পুলিশ বক্স থেকে যানবাহনের গতিবিধি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা দরকার। কোনো অনিয়ম নজরে আসামাত্র তা পরবর্তী পুলিশ বক্সে জানিয়ে দিলে সেই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এসব সাধারণ নিয়ম অনেক সময় মানা হয় না।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক মাত্রায় বেশি। সরকারি হিসাবে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম চার মাসে সারা দেশে ৯৭২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে মৃতের সংখ্যা ৮৬৫। ২০০৯ সালে তিন হাজার ৩৮১টি দুর্ঘটনায় মারা গেছে দুই হাজার ৯৫৮ জন। এগুলো সরকারি পরিসংখ্যান। বাস্তবে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার আরও বেশি বলে ধারণা করা হয়।
যেকোনো মূল্যে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু অমোঘ নিয়তি বলে মেনে নেওয়া যায় না।
নিহত রাজিয়া বেগম এর আগে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে সচিব পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে প্রথম নিয়োগ পাওয়া চার জেলা প্রশাসকের অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশে প্রশাসনে শীর্ষ পর্যায়ে হাতেগোনা কয়েকজন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁদের একজন চলে গেলেন। এ মৃত্যু মর্মপীড়াদায়ক। অন্যদিকে বিসিক চেয়ারম্যানের মৃত্যুও সাংঘাতিক পীড়াদায়ক; কারণ, মাত্র মাস চারেক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর দুই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে ওঠার আগেই তিনি পরিবার-পরিজনকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন। তাঁদের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।
একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের এ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দায়ী ব্যক্তিদের কি গ্রেপ্তার ও বিচারের সম্মুখীন করা যাবে? কারণ, অতীতে এ ধরনের অনেক সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত ও বিচার মাঝপথে থেমে গেছে। অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি না হলে তা পরবর্তী আরেকটি দুর্ঘটনা ডেকে আনে। তাই আমরা মনে করি, এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া দরকার।
দুর্ঘটনার মূল একটি কারণ হলো অদক্ষ চালক। তাঁদের অনেকে ভুয়া ছাড়পত্র নিয়ে বাস-ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ি চালান। দূরপাল্লার বাস-ট্রাকচালকদের অনেকে মাদক সেবন করেন এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। বাসে অনেক সময় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হয়। ট্রাকে ওঠানো হয় অতিরিক্ত মালামাল। তা ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। অনেক গাড়ি ভুয়া ফিটনেস সনদ নিয়ে রাস্তায় চলাচল করে। বহু বছরের জরাজীর্ণ বাস-ট্রাকগুলো যখন বেপরোয়া গতিতে রাস্তায় চলে, মনে হয় স্বয়ং মৃত্যুদূত জান কেড়ে নেওয়ার জন্য রাস্তায় ছুটে চলেছে।
এসব অনিয়ম রোধের জন্য হাইওয়ে পুলিশ থাকার কথা। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব প্রায় সময়ই টের পাওয়া যায় না। যদি থাকত তাহলে বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলা গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতো। টহল পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কের নির্দিষ্ট দূরত্বে পুলিশ বক্স থেকে যানবাহনের গতিবিধি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা দরকার। কোনো অনিয়ম নজরে আসামাত্র তা পরবর্তী পুলিশ বক্সে জানিয়ে দিলে সেই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এসব সাধারণ নিয়ম অনেক সময় মানা হয় না।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক মাত্রায় বেশি। সরকারি হিসাবে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম চার মাসে সারা দেশে ৯৭২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে মৃতের সংখ্যা ৮৬৫। ২০০৯ সালে তিন হাজার ৩৮১টি দুর্ঘটনায় মারা গেছে দুই হাজার ৯৫৮ জন। এগুলো সরকারি পরিসংখ্যান। বাস্তবে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার আরও বেশি বলে ধারণা করা হয়।
যেকোনো মূল্যে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু অমোঘ নিয়তি বলে মেনে নেওয়া যায় না।
No comments