তিন্নির ফেরা by কামরুজ্জামান
অনেক আগেই চলচ্চিত্রে কাজ করার কথা ছিল তিন্নির। একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েও আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন তিনি। তবে দেরিতে হলেও অবশেষে চলচ্চিত্রে ফিরেছেন তিন্নি। বিস্তারিত এ প্রতিবেদনে ছয় বছর আগে তিন্নি যখন ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করলেন, তখন অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা চাইছিলেন, তিন্নি চলচ্চিত্রে অভিনয় করুক।
তিন্নি অভিনয় করতে রাজি হননি। কেন?
মিডিয়া সম্পর্কে তিন্নির কোনো ধারণাই ছিল না। চলচ্চিত্র অনেক বড় মাধ্যম। নিজের যোগ্যতার পরীক্ষা দেওয়ারও একটা সুযোগ তো চাই তাঁর। এ কারণেই নিজেকে তৈরি করতে ছোট পর্দায় অভিনয় আর বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। যখন নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত মনে করলেন, তখনই চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সম্মতি দিলেন।
‘চলচ্চিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছাটা ছিল। প্রথম দিকে যখন অফার পেয়েছিলাম, তখন আমার আব্বু এফডিসিতে একজন কর্মকর্তা হিসেবেই চাকরি করছিলেন। আমি চাইছিলাম, নিজেকে তৈরি করে যেতে। আমার মনে হয়, সেই সময়টা এখন এসেছে। তাই হাতে ছবি নিয়েছি।’ বলছিলেন তিন্নি।
চলচ্চিত্রে যাত্রার গল্পটাও জেনে নেওয়া যায় এই ফাঁকে।
এক রেস্টুরেন্টে তিন্নি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ও সোহানুর রহমান সোহান। পরিচয় হলো। তারপর সোহান তিন্নিকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলেন। সেটা প্রায় দুই বছর আগের কথা। তার পর থেকেই তিন্নি অভিনয়ের জন্য নিজেকে চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত করেছেন।
ইফতেখার ফাহমির টু বি কন্টিনিউড ও সোহানুর রহমান সোহানের সে আমার মন কেড়েছে ছবি দুটি দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেছেন তিন্নি। এর আগে অবশ্য মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মেড ইন বাংলাদেশ ছবিতে দুটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন। ‘চলচ্চিত্র কী, তখনো সেটা বুঝতাম না। এবার বুঝতেছি। ভাবতাম, শুধু রূপসজ্জা নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে নাচানাচি আর হাসি-কান্না করা। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, অনেক পরিশ্রম, অনেক ধৈর্য এবং অপার আগ্রহ থাকতে হয়। শেখার ও জানার চেষ্টা থাকতে হয়। পরিচালকের নির্দেশনা বুঝতে হয়। এখানে কোনো দিনক্ষণ নির্দিষ্ট নেই। কাজ যতক্ষণ শেষ না হবে, ততক্ষণ কাজ করতে হয়। আসলে বড় পর্দার কাজ যেমন বড়, তেমনি আনন্দটাও অনেক বেশি। বললেন তিনি।
সে আমার মন কেড়েছে ছবির কাজ শুরু হয় সাভারের গলফ ক্লাবে গানের শুটিংয়ের মাধ্যমে। তিন্নি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন জেনে অনেক নির্মাতাই সেখানে গেলেন। নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল দুটি দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেই বললেন, আমি যেমনটা চেয়েছি, ও ঠিক সেভাবেই কাজটা করছে। পরিচালক সোহান বললেন, ‘তিন্নি যদি মনোযোগ দিয়ে কাজটা করে, তবে চলচ্চিত্রের পর্দা হবে ওর স্থায়ী ঠিকানা।’
তিন্নি কী বলেন?
‘প্রথমত আমি স্রোতে নিজেকে ছেড়ে দেব না। চলচ্চিত্রে অভিনয় করব, তবে অবশ্যই এর মধ্যে পছন্দের কিছু ব্যাপার কাজ করবে। যেমন এর মধ্যে একটি ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব পেলাম। সব মিলিয়ে মনে হলো, না করাটাই শ্রেয়। কিন্তু আমি জানি যে ছবিটিতে কাজ করলে হাতে টাকা পেতাম। তার পরও কথা হচ্ছে পছন্দের একটা ব্যাপার। আমি জানি, সোহানুর রহমান সোহানের ছবি মানেই একটি ভালো প্রেমের ছবি। দর্শকের ন্যূনতম প্রত্যাশা তিনি তাঁর ছবির মাধ্যমে পূরণ করতে পারবেন। আর ফাহমি আমার অনেক দিনের জানাশোনা। আমি জানি যে ওর কাজের মধ্যে একটা মুনশিয়ানা আছে। সেই বিশ্বাস থেকেই আমি কাজটা করছি। এমনি করে যে ছবিগুলো ভবিষ্যতে আমার কাছে আসবে, সেগুলোর ব্যাপারে অবশ্যই একটু চিন্তাভাবনা করে এগুতে চাই।’
বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পে একটা কথা চালু আছে। বিয়ে হলেই নাকি দর্শকদের কাছে নায়িকার কদর কমে যায়। সেখানে তিন্নি কি সফল হবেন?
তিন্নি মনে করেন, এটাও তাঁর জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। ‘এই চ্যালেঞ্জে আমি জয়ী হতে চাই। এ জন্য যা যা করতে হয়, সেই কাজটাই করছি। আমি আমার অভিনয় পারদর্শিতা দিয়ে সে বিষয়টি যদি কাটিয়ে উঠতে পারি, সেখানে হবে আমার সার্থকতা। আরেকটি কথা আমি এখানে বলে রাখতে চাই যে আমার ক্যারিয়ারের ইতি টানলে আমি এখান থেকেই টানতে চাই। তার আগে কিছু ভালো কাজ করতে চাই, যে কাজগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে বছরে পর বছর।’
কবে দেখা যাবে তিন্নি অভিনীত চলচ্চিত্র?
এ বছরের শেষ দিকেই সে আমার মন কেড়েছে চলচ্চিত্রটি আলোর মুখ দেখবে। অপরটি সম্ভবত নতুন বছরের শুরুতেই কোনো এক উৎসবমুখর দিনে। তত দিন অপেক্ষার পালা।
মিডিয়া সম্পর্কে তিন্নির কোনো ধারণাই ছিল না। চলচ্চিত্র অনেক বড় মাধ্যম। নিজের যোগ্যতার পরীক্ষা দেওয়ারও একটা সুযোগ তো চাই তাঁর। এ কারণেই নিজেকে তৈরি করতে ছোট পর্দায় অভিনয় আর বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। যখন নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত মনে করলেন, তখনই চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সম্মতি দিলেন।
‘চলচ্চিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছাটা ছিল। প্রথম দিকে যখন অফার পেয়েছিলাম, তখন আমার আব্বু এফডিসিতে একজন কর্মকর্তা হিসেবেই চাকরি করছিলেন। আমি চাইছিলাম, নিজেকে তৈরি করে যেতে। আমার মনে হয়, সেই সময়টা এখন এসেছে। তাই হাতে ছবি নিয়েছি।’ বলছিলেন তিন্নি।
চলচ্চিত্রে যাত্রার গল্পটাও জেনে নেওয়া যায় এই ফাঁকে।
এক রেস্টুরেন্টে তিন্নি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ও সোহানুর রহমান সোহান। পরিচয় হলো। তারপর সোহান তিন্নিকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলেন। সেটা প্রায় দুই বছর আগের কথা। তার পর থেকেই তিন্নি অভিনয়ের জন্য নিজেকে চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত করেছেন।
ইফতেখার ফাহমির টু বি কন্টিনিউড ও সোহানুর রহমান সোহানের সে আমার মন কেড়েছে ছবি দুটি দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেছেন তিন্নি। এর আগে অবশ্য মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মেড ইন বাংলাদেশ ছবিতে দুটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন। ‘চলচ্চিত্র কী, তখনো সেটা বুঝতাম না। এবার বুঝতেছি। ভাবতাম, শুধু রূপসজ্জা নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে নাচানাচি আর হাসি-কান্না করা। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, অনেক পরিশ্রম, অনেক ধৈর্য এবং অপার আগ্রহ থাকতে হয়। শেখার ও জানার চেষ্টা থাকতে হয়। পরিচালকের নির্দেশনা বুঝতে হয়। এখানে কোনো দিনক্ষণ নির্দিষ্ট নেই। কাজ যতক্ষণ শেষ না হবে, ততক্ষণ কাজ করতে হয়। আসলে বড় পর্দার কাজ যেমন বড়, তেমনি আনন্দটাও অনেক বেশি। বললেন তিনি।
সে আমার মন কেড়েছে ছবির কাজ শুরু হয় সাভারের গলফ ক্লাবে গানের শুটিংয়ের মাধ্যমে। তিন্নি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন জেনে অনেক নির্মাতাই সেখানে গেলেন। নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল দুটি দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেই বললেন, আমি যেমনটা চেয়েছি, ও ঠিক সেভাবেই কাজটা করছে। পরিচালক সোহান বললেন, ‘তিন্নি যদি মনোযোগ দিয়ে কাজটা করে, তবে চলচ্চিত্রের পর্দা হবে ওর স্থায়ী ঠিকানা।’
তিন্নি কী বলেন?
‘প্রথমত আমি স্রোতে নিজেকে ছেড়ে দেব না। চলচ্চিত্রে অভিনয় করব, তবে অবশ্যই এর মধ্যে পছন্দের কিছু ব্যাপার কাজ করবে। যেমন এর মধ্যে একটি ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব পেলাম। সব মিলিয়ে মনে হলো, না করাটাই শ্রেয়। কিন্তু আমি জানি যে ছবিটিতে কাজ করলে হাতে টাকা পেতাম। তার পরও কথা হচ্ছে পছন্দের একটা ব্যাপার। আমি জানি, সোহানুর রহমান সোহানের ছবি মানেই একটি ভালো প্রেমের ছবি। দর্শকের ন্যূনতম প্রত্যাশা তিনি তাঁর ছবির মাধ্যমে পূরণ করতে পারবেন। আর ফাহমি আমার অনেক দিনের জানাশোনা। আমি জানি যে ওর কাজের মধ্যে একটা মুনশিয়ানা আছে। সেই বিশ্বাস থেকেই আমি কাজটা করছি। এমনি করে যে ছবিগুলো ভবিষ্যতে আমার কাছে আসবে, সেগুলোর ব্যাপারে অবশ্যই একটু চিন্তাভাবনা করে এগুতে চাই।’
বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পে একটা কথা চালু আছে। বিয়ে হলেই নাকি দর্শকদের কাছে নায়িকার কদর কমে যায়। সেখানে তিন্নি কি সফল হবেন?
তিন্নি মনে করেন, এটাও তাঁর জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। ‘এই চ্যালেঞ্জে আমি জয়ী হতে চাই। এ জন্য যা যা করতে হয়, সেই কাজটাই করছি। আমি আমার অভিনয় পারদর্শিতা দিয়ে সে বিষয়টি যদি কাটিয়ে উঠতে পারি, সেখানে হবে আমার সার্থকতা। আরেকটি কথা আমি এখানে বলে রাখতে চাই যে আমার ক্যারিয়ারের ইতি টানলে আমি এখান থেকেই টানতে চাই। তার আগে কিছু ভালো কাজ করতে চাই, যে কাজগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে বছরে পর বছর।’
কবে দেখা যাবে তিন্নি অভিনীত চলচ্চিত্র?
এ বছরের শেষ দিকেই সে আমার মন কেড়েছে চলচ্চিত্রটি আলোর মুখ দেখবে। অপরটি সম্ভবত নতুন বছরের শুরুতেই কোনো এক উৎসবমুখর দিনে। তত দিন অপেক্ষার পালা।
No comments