বিএনপি নেতাদের ধারণা-শেষ পর্যন্ত আপস করতে বাধ্য হবেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীতে গতকাল শনিবার কয়েকটি অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এখন যা-ই বলুন না কেন, শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হবেন। নেতারা এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের সব স্তরের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
অন্যথায় ক্ষমতায় গেলে এর জন্য জবাব দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
'নতুন কোনো প্রস্তাব দেবে না বিএনপি'
কাকরাইলে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন কোন ধরনের সরকারের অধীনে হবে, সে বিষয়ে বিএনপি আর নতুন প্রস্তাব দেবে না। তিনি বলেন, রাজনীতিতে একগুঁয়েমির কোনো স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রী এখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হবেন। এ ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সরকারকে অবশ্যই মানতে হবে। অন্তর্বর্তী, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় যে নামেই হোক, তা নির্দলীয় হতে হবে। বাংলাদেশে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলকে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে প্রস্তাব দিতে বলেছে। বিএনপি কেন প্রস্তাব দেবে? বিএনপি আর নতুন করে কোনো প্রস্তাব দেবে না।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন রাজনীতিবিদের মেয়ে। তিনি নিজে এবং তাঁর দলের নেতারা ভালোভাবেই জানেন, বাংলাদেশে তাঁদের অধীনে বা রাজনৈতিক দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। শেষ মুহূর্তে আপস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না তাঁদের। আলোচনা সভায় অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান প্রমুখ।
অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি
সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার পুলিশের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যেসব কর্মকর্তা সরকারের পক্ষে অতি উৎসাহী হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন।
এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার একদিকে নিজেদের বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে; অন্যদিকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যর্থ সরকার বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখতে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের পথ বেছে দিয়েছে। এভাবে মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না।
'পুলিশ থেকে দূরে থাকুন' স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে এম কে আনোয়ার বলেন, 'সাংবাদিকরা তাহলে যাবে কোথায়? কোথায় গেলে তারা নিরাপত্তা পাবে? বাসায় থাকলে খুন হবে, রাস্তায় গেলে নির্যাতন করা হবে। আদালত চত্বরে লাঠিপেটা করা হবে।' তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধ শুরুর কথা বলেছেন। আমি তাঁকে বলতে চাই, যুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো আপনারা দেশ ছেড়ে পালাবেন। দেশে আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।'
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, 'পদ্মা সেতুতে বিদেশি অর্থায়নের ক্ষেত্রে কী কী শর্তে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, তা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। অন্যথায় এই ঋণ জনস্বার্থবিরোধী হলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর দায়দায়িত্ব নেবে না।'
'পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে চক্রান্ত চলছে'
জাতীয় প্রেসক্লাবে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। এ অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করতে দেশি কিছু এজেন্ট ছাড়াও বাইরের শক্তি ইন্ধন জোগাচ্ছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা। জটিল ও স্পর্শকাতর এ সমস্যা সমাধানে আবেগতাড়িত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সব পাহাড়িই বাঙালির শত্রু নয়। এ জন্য পারস্পরিক মতবিনিময় বাড়াতে হবে। ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। সংবিধানে সব নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এ জন্য পার্বত্য এলাকায় পাহাড়িদের যেমন ভূমির অধিকার রয়েছে, একইভাবে বাঙালিদেরও ভূমির অধিকার থাকতে হবে।
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, নিউ নেশনের সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া প্রমুখ।
'জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক'
গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নতুন করে ইতিহাস লেখা হবে। জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন। এটা চিরন্তন সত্য। এটাকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তাঁর শাসনামলের সাড়ে তিন বছরে যে অর্জন, গত ৩৫ বছরে কোনো সরকারই তা করে দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও রাজনৈতিক মতবাদকে নিশ্চিহ্ন করতেই বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের ১১ জুনের মধ্যে মুক্তি না দিলে সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর দেশে পরিণত করেছিলেন বলেই জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
শহীদ জিয়া সংসদের সভাপতি এম এ মান্নান জমাদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান কবির প্রমুখ।
'সুরঞ্জিতকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে'
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলুসহ ১৮ দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে এনপিপি আয়োজিত মানববন্ধনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দেওয়ার কারণে সংবিধান সংশোধনের কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এ জন্য সুরঞ্জিতকে জাতির কাছে ক্ষমাও চাইতে হবে।
ফারুক বলেন, দেশকে সংকটের হাত থেকে রক্ষা করতে ১১ জুন সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে কোনো অঘটন ঘটলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ১০ জুনের আগে চলতি সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক বিল আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, এনডিপির চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী উপস্থিত ছিলেন।
'নতুন কোনো প্রস্তাব দেবে না বিএনপি'
কাকরাইলে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন কোন ধরনের সরকারের অধীনে হবে, সে বিষয়ে বিএনপি আর নতুন প্রস্তাব দেবে না। তিনি বলেন, রাজনীতিতে একগুঁয়েমির কোনো স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রী এখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হবেন। এ ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সরকারকে অবশ্যই মানতে হবে। অন্তর্বর্তী, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় যে নামেই হোক, তা নির্দলীয় হতে হবে। বাংলাদেশে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলকে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে প্রস্তাব দিতে বলেছে। বিএনপি কেন প্রস্তাব দেবে? বিএনপি আর নতুন করে কোনো প্রস্তাব দেবে না।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন রাজনীতিবিদের মেয়ে। তিনি নিজে এবং তাঁর দলের নেতারা ভালোভাবেই জানেন, বাংলাদেশে তাঁদের অধীনে বা রাজনৈতিক দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। শেষ মুহূর্তে আপস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না তাঁদের। আলোচনা সভায় অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান প্রমুখ।
অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি
সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার পুলিশের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যেসব কর্মকর্তা সরকারের পক্ষে অতি উৎসাহী হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন।
এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার একদিকে নিজেদের বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে; অন্যদিকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যর্থ সরকার বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখতে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের পথ বেছে দিয়েছে। এভাবে মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না।
'পুলিশ থেকে দূরে থাকুন' স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে এম কে আনোয়ার বলেন, 'সাংবাদিকরা তাহলে যাবে কোথায়? কোথায় গেলে তারা নিরাপত্তা পাবে? বাসায় থাকলে খুন হবে, রাস্তায় গেলে নির্যাতন করা হবে। আদালত চত্বরে লাঠিপেটা করা হবে।' তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধ শুরুর কথা বলেছেন। আমি তাঁকে বলতে চাই, যুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো আপনারা দেশ ছেড়ে পালাবেন। দেশে আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।'
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, 'পদ্মা সেতুতে বিদেশি অর্থায়নের ক্ষেত্রে কী কী শর্তে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, তা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। অন্যথায় এই ঋণ জনস্বার্থবিরোধী হলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর দায়দায়িত্ব নেবে না।'
'পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে চক্রান্ত চলছে'
জাতীয় প্রেসক্লাবে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। এ অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করতে দেশি কিছু এজেন্ট ছাড়াও বাইরের শক্তি ইন্ধন জোগাচ্ছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা। জটিল ও স্পর্শকাতর এ সমস্যা সমাধানে আবেগতাড়িত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সব পাহাড়িই বাঙালির শত্রু নয়। এ জন্য পারস্পরিক মতবিনিময় বাড়াতে হবে। ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। সংবিধানে সব নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এ জন্য পার্বত্য এলাকায় পাহাড়িদের যেমন ভূমির অধিকার রয়েছে, একইভাবে বাঙালিদেরও ভূমির অধিকার থাকতে হবে।
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, নিউ নেশনের সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া প্রমুখ।
'জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক'
গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নতুন করে ইতিহাস লেখা হবে। জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন। এটা চিরন্তন সত্য। এটাকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তাঁর শাসনামলের সাড়ে তিন বছরে যে অর্জন, গত ৩৫ বছরে কোনো সরকারই তা করে দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও রাজনৈতিক মতবাদকে নিশ্চিহ্ন করতেই বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের ১১ জুনের মধ্যে মুক্তি না দিলে সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর দেশে পরিণত করেছিলেন বলেই জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
শহীদ জিয়া সংসদের সভাপতি এম এ মান্নান জমাদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান কবির প্রমুখ।
'সুরঞ্জিতকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে'
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলুসহ ১৮ দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে এনপিপি আয়োজিত মানববন্ধনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দেওয়ার কারণে সংবিধান সংশোধনের কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এ জন্য সুরঞ্জিতকে জাতির কাছে ক্ষমাও চাইতে হবে।
ফারুক বলেন, দেশকে সংকটের হাত থেকে রক্ষা করতে ১১ জুন সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে কোনো অঘটন ঘটলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ১০ জুনের আগে চলতি সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক বিল আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, এনডিপির চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী উপস্থিত ছিলেন।
No comments