সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতির যত হিসাব by আনোয়ার হোসেন
দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় কত মানুষ মারা যায়, তার একক কোনো হিসাব নেই। তবে সব জরিপেই মৃতের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বড়। মৃত ব্যক্তিদের এক-তৃতীয়াংশের বেশির বয়স ১৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। কর্মক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তাঁদের এই মৃত্যুতে পরিবার দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতির শিকার হয় রাষ্ট্রও।
২০০৪ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে বছরে প্রায় চার হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
সরকারি হিসাবে, গত ১০ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসাবে প্রতিবছরই মারা যাচ্ছে ২০ হাজারের ওপর। পঙ্গুত্বের জীবন বয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) নামে একটি গবেষণা সংস্থা ২০১১ সালে সাত লাখ লোকের ওপর একটি জরিপ চালিয়ে বলেছে, দেশে বছরে প্রায় ১২ হাজার ৮০০ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মারা যায় ২০ হাজার ২৩ জন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে দুই হাজার ২৪১টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এসব দুর্ঘটনায় মারা যায় দুই হাজার ১৪০ জন। মারাত্মক আহত হয় এক হাজার ১৮৬ জন। সামান্য আহতের সংখ্যা ১৫৭। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর মামলা হয়েছে, এমন হিসাব থেকেই পুলিশ তথ্য সরবরাহ করে। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়ে যাওয়া কিংবা গ্রামাঞ্চলের অনেক দুর্ঘটনার তথ্য পুলিশ খুব কমই সংরক্ষণ করে।
পুলিশ ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭২ হাজার ৭৪৮টি। মারা গেছে ৫২ হাজার ৬৮৪ জন। আহত কিংবা পঙ্গু হয়েছে আরও কয়েক হাজার লোক।
২০০৪ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সড়ক ব্যবহারসংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে বছরে প্রায় চার হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে, যা তখনকার মোট দেশজ উৎপাদনের ১ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল।
সিআইপিআরবির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজুলর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সওজের প্রতিবেদন প্রকাশের কাছাকাছি সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা দেখানো হয়। তিনি বলেন, প্রায় আট বছর আগে করা এই হিসাব এখনকার বাস্তবতায় দ্বিগুণ ধরতে হবে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া অধিকাংশই কর্মক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় এর প্রভাব পরিবার ও সমাজে পড়ে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সর্বশেষ ২০০৯ সালে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মানুষের শ্রেণীবিন্যাস করে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এক দশকের দুর্ঘটনার হতাহতের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশের বয়সসীমা ১৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ মারা গেছেন ৩১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী। ওই সময় দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ২০ শতাংশ শিশু, যাদের বয়সসীমা ০ থেকে ১৫ বছর। ৪৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষ মারা যান ১৩ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১ বা তার বেশি বয়সী মানুষের মৃত্যুর হার সাত শতাংশ।
সরকারি হিসাবে, গত ১০ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসাবে প্রতিবছরই মারা যাচ্ছে ২০ হাজারের ওপর। পঙ্গুত্বের জীবন বয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) নামে একটি গবেষণা সংস্থা ২০১১ সালে সাত লাখ লোকের ওপর একটি জরিপ চালিয়ে বলেছে, দেশে বছরে প্রায় ১২ হাজার ৮০০ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মারা যায় ২০ হাজার ২৩ জন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে দুই হাজার ২৪১টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এসব দুর্ঘটনায় মারা যায় দুই হাজার ১৪০ জন। মারাত্মক আহত হয় এক হাজার ১৮৬ জন। সামান্য আহতের সংখ্যা ১৫৭। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর মামলা হয়েছে, এমন হিসাব থেকেই পুলিশ তথ্য সরবরাহ করে। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়ে যাওয়া কিংবা গ্রামাঞ্চলের অনেক দুর্ঘটনার তথ্য পুলিশ খুব কমই সংরক্ষণ করে।
পুলিশ ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭২ হাজার ৭৪৮টি। মারা গেছে ৫২ হাজার ৬৮৪ জন। আহত কিংবা পঙ্গু হয়েছে আরও কয়েক হাজার লোক।
২০০৪ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সড়ক ব্যবহারসংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে বছরে প্রায় চার হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে, যা তখনকার মোট দেশজ উৎপাদনের ১ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল।
সিআইপিআরবির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজুলর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সওজের প্রতিবেদন প্রকাশের কাছাকাছি সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা দেখানো হয়। তিনি বলেন, প্রায় আট বছর আগে করা এই হিসাব এখনকার বাস্তবতায় দ্বিগুণ ধরতে হবে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া অধিকাংশই কর্মক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় এর প্রভাব পরিবার ও সমাজে পড়ে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সর্বশেষ ২০০৯ সালে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মানুষের শ্রেণীবিন্যাস করে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এক দশকের দুর্ঘটনার হতাহতের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশের বয়সসীমা ১৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ মারা গেছেন ৩১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী। ওই সময় দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ২০ শতাংশ শিশু, যাদের বয়সসীমা ০ থেকে ১৫ বছর। ৪৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষ মারা যান ১৩ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১ বা তার বেশি বয়সী মানুষের মৃত্যুর হার সাত শতাংশ।
No comments