বিপদে মোরে রক্ষা করো…
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, প্রয়োজনে পদত্যাগ করবো। তিনি বলেন, এতোদিন আমি অন্যের দিকে তীর নিক্ষেপ করেছি, এখন সন্দেহের তীর আমার দিকে। তিনি অভিযোগ করেন, আমার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকালে রেলভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন।
৭০ লাখ টাকা নিয়ে তার এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ধরা পড়ার পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরতেই এ সাংবাদিক সম্মেলন।।
অর্থ কেলেঙ্কারির ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রেলমন্ত্রী। জীবনে প্রথম মন্ত্রী হয়েই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন তিনি।
এপিএস’র কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এই আটকের ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত কাজ করেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “চল্লিশ বছরের সুবিধাভোগী যারা পদে যায়নি, তাদের সঙ্গে আপস করলে রেল দাঁড়াতে পারতো না। রেল যেন গণপরিবহন হিসেবে দাঁড়াতে না পারে সেই অপচেষ্টায় অনেকে সক্রিয়। গণপরিবহণ হিসেবে দাঁড়ালে অনেকের লালবাতি জ্বলবে।” এরই অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, রেলের উন্নয়নের বিরদ্ধে শক্তিশালী চক্র ও প্রতিপক্ষ রয়েছে। দুর্নীতিবাজদের কোনো দল নেই, সুবিধাভোগীরা অভিন্ন। কতিপয় ঠিকাদার চায় না রেল পৃথক স্বত্তা হিসেবে দাঁড়াক।’’
সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘রাজনীতিক হিসেবে আমি প্রবীণ এবং মন্ত্রী হিসেবে আমি নবীন। মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র তিন মাস। এ সময়ে আমি অচল রেলকে সচল করার চেষ্টা করছি। আপনারা জানেন দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করেছি। সকল সীমাবদ্ধতা জেনেও আমি দায়িত্ব নিয়েছি। সময়ানুবর্তিতা ও অনিয়ম কমেছে।”
এপিএস আটকের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ ঘটনায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। জিএমকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে ডিজিকে যুক্ত করেছি।’’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ডিজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আমার এখতিয়ার নেই। নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। শাহ আলমকে আহবায়ক করে সংসদীয় সাব কমিটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দুদক তদন্ত করতে চেয়েছে। দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা তদন্ত করলে আমরা সহযোগিতা করবো।”
মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘জুডিশিয়ারির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। সুপ্রিম কোর্ট সুয়োমোটো করলে আমরা সহযোগিতা করবো।”
এপিএস ৭০ লাখ টাকা নিয়ে রেলমন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন কিনা এপিএসকে তদবির করে ছাড়িয়ে নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত বলেন, “মধ্যরাতে আমার বাসায় যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ১২টার সময় জেগে থাকার কথা নয়।” বিজিবির কাছে রাখা বা তাকে ছেড়ে দেয়ার তদবির করার লোক তিনি নন বলে দাবি করেন সুরঞ্জিত ।’’
ওই টাকা কার কাছে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা যা জানেন আমিও তাই জানি। যদি কেউ টাকার মালিকানা দাবি (ক্লেইম করে) করে তাহলে তার। আর যদি দাবি না করে (আনক্লেইমড) তাহলে সরকারি কোষাগারে যাবে।”
ঘটনার আকস্মিকতা ও যোগসূত্র একটা ষড়যন্ত্র দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কারা জড়িত কিভাবে জড়িত তা সকলকে জানাতে হবে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা কারোর কাম্য নয়। আমি সত্য ঘটনা আপনাদের কাছে হাজির করবো।”
জনগণ ও গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আপনার আমাকে সহযোগিতা করুন। তা না হলে দুর্নীতিবাজ ও ষড়যন্ত্রকারীরাই জয়ী হবে।”
তিনি বলেন, “আমি প্রগতিশীল রাজনীতি করি। আমার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল, দুনীতিবাজ, শেয়ার কেলেঙ্কারীরা ও যুদ্ধাপরাধী। আমার বন্ধু জনগণ ও সৎ সাংবাদিক।”
পদত্যাগ প্রসঙ্গে
রেলমন্ত্রী বলেন, আপনাদের আগেই বলেছি মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র ৯০ দিন। আমার রাজনৈতিক জীবন ৫৫ বছর। মন্ত্রী আমার মূল পরিচয় নয়। আমার মূল পরিচয়, আমি রাজনীতক। প্রয়োজন হলে যে কোনো সময়ই পদত্যাগ করা যায়। এর জন্য সময় লাগে না। প্রয়োজনে পদত্যাগ করবো।”
সুরঞ্জিত তার স্বভাবসুলভ শারীরিক ভঙ্গি করে বলেন, “রাজনীতিক হয়ে ওঠা কঠিন। সহজ বিষয় নয়। মন্ত্রী হওয়া বা ত্যাগ করা কঠিন নয়। যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।”
বিপদে মোরে রক্ষা করো
বক্তৃতায়, টকশোতে এবং সংবাদ সম্মেলনে কবিতার পংক্তি উল্লেখ সুরঞ্জিতের দীর্ঘদিনের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তার অবস্থা নাজেহাল রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত কবিগুরুর কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, ‘‘বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেনো করি ভয়।”
তিনি বলেন, ‘‘এ বিপদ সত্যের। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা আমাকে জানেন। আমি সহজ কথা সোজাভাবে বলতে বলে ফেলি।’’
এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে এমন ইঙ্গিত করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘সামনে নির্বাচন। সরকারকে বিব্রত করতে এটি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।চেষ্টা হচ্ছে সরকারকে যাতে বিব্রত করা যায়।’’
সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ
বুধবার রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাংবাদিকদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার দায় স্বীকার করে রেলভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত । তিনি বলেন, ‘‘গতকাল (বুধবার) অনেকের সঙ্গে আমার খারাপ ব্যবহার করেছি। আমি মানুষ আমারও ভুল হতে পারে।’’ তিনি সাংবাদিক বলেছিলেন, “তোমরা কি পড়াশুনা করেছ, প্রশ্ন করতে জানো না।” তার বক্তব্যে ছিল তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ভাব।
এপিএস’র বাড়ি মোহাম্মদপুরে
এপিএস’র বাড়ি মুহাম্মদপুরে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আমি বলেছি আমার বাসায় যাতে আর না আসে।’’ এতো টাকা তার কাছে পাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি তো আগেও বলেছি স্বাভাবিক নয়। টাকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল টাকা কার তা বলতে পারবে সে (এপিএস) ও বিজিবি। মধ্যরাতে আমার বাসায় যাওয়ার কোনো কারণ নেই।’’ তাকে পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, “তদন্তের জন্য তাকে লিখিত বক্তব্য দিতে হবে। সে লিখিত বক্তব্য দিলে আপনাদের জানাবো।”
আজীবন তীর মেরে যাবো
‘কি যাতনা বিষে, কভু আশীবিষে দংশেনী যারে...।’ কবিতার এ লাইনটি উচ্চারণ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত বললেন, “সারাজীবন অন্যকে তীর মেরেই গেছি। এখন বুঝতে পারছি তীরের কি যাতনা। তবে আমি সারাজীবন সোজা কথা সহজভাবে বলেছি।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে
সুরঞ্জিত জানান, ঘটনার পরেরদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন শুনলাম আপনি নাকি রেলওয়ের লোকদের নিয়ে পিলখানা দখল করেছেন।” তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ চলে ডাওয়ায় পরে আর কথা হয়নি। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী তুরস্ক সফরে আছেন।
অর্থ কেলেঙ্কারির ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রেলমন্ত্রী। জীবনে প্রথম মন্ত্রী হয়েই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন তিনি।
এপিএস’র কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এই আটকের ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত কাজ করেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “চল্লিশ বছরের সুবিধাভোগী যারা পদে যায়নি, তাদের সঙ্গে আপস করলে রেল দাঁড়াতে পারতো না। রেল যেন গণপরিবহন হিসেবে দাঁড়াতে না পারে সেই অপচেষ্টায় অনেকে সক্রিয়। গণপরিবহণ হিসেবে দাঁড়ালে অনেকের লালবাতি জ্বলবে।” এরই অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, রেলের উন্নয়নের বিরদ্ধে শক্তিশালী চক্র ও প্রতিপক্ষ রয়েছে। দুর্নীতিবাজদের কোনো দল নেই, সুবিধাভোগীরা অভিন্ন। কতিপয় ঠিকাদার চায় না রেল পৃথক স্বত্তা হিসেবে দাঁড়াক।’’
সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘রাজনীতিক হিসেবে আমি প্রবীণ এবং মন্ত্রী হিসেবে আমি নবীন। মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র তিন মাস। এ সময়ে আমি অচল রেলকে সচল করার চেষ্টা করছি। আপনারা জানেন দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করেছি। সকল সীমাবদ্ধতা জেনেও আমি দায়িত্ব নিয়েছি। সময়ানুবর্তিতা ও অনিয়ম কমেছে।”
এপিএস আটকের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ ঘটনায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। জিএমকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে ডিজিকে যুক্ত করেছি।’’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ডিজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আমার এখতিয়ার নেই। নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। শাহ আলমকে আহবায়ক করে সংসদীয় সাব কমিটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দুদক তদন্ত করতে চেয়েছে। দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা তদন্ত করলে আমরা সহযোগিতা করবো।”
মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘জুডিশিয়ারির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। সুপ্রিম কোর্ট সুয়োমোটো করলে আমরা সহযোগিতা করবো।”
এপিএস ৭০ লাখ টাকা নিয়ে রেলমন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন কিনা এপিএসকে তদবির করে ছাড়িয়ে নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত বলেন, “মধ্যরাতে আমার বাসায় যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ১২টার সময় জেগে থাকার কথা নয়।” বিজিবির কাছে রাখা বা তাকে ছেড়ে দেয়ার তদবির করার লোক তিনি নন বলে দাবি করেন সুরঞ্জিত ।’’
ওই টাকা কার কাছে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা যা জানেন আমিও তাই জানি। যদি কেউ টাকার মালিকানা দাবি (ক্লেইম করে) করে তাহলে তার। আর যদি দাবি না করে (আনক্লেইমড) তাহলে সরকারি কোষাগারে যাবে।”
ঘটনার আকস্মিকতা ও যোগসূত্র একটা ষড়যন্ত্র দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কারা জড়িত কিভাবে জড়িত তা সকলকে জানাতে হবে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা কারোর কাম্য নয়। আমি সত্য ঘটনা আপনাদের কাছে হাজির করবো।”
জনগণ ও গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আপনার আমাকে সহযোগিতা করুন। তা না হলে দুর্নীতিবাজ ও ষড়যন্ত্রকারীরাই জয়ী হবে।”
তিনি বলেন, “আমি প্রগতিশীল রাজনীতি করি। আমার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল, দুনীতিবাজ, শেয়ার কেলেঙ্কারীরা ও যুদ্ধাপরাধী। আমার বন্ধু জনগণ ও সৎ সাংবাদিক।”
পদত্যাগ প্রসঙ্গে
রেলমন্ত্রী বলেন, আপনাদের আগেই বলেছি মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র ৯০ দিন। আমার রাজনৈতিক জীবন ৫৫ বছর। মন্ত্রী আমার মূল পরিচয় নয়। আমার মূল পরিচয়, আমি রাজনীতক। প্রয়োজন হলে যে কোনো সময়ই পদত্যাগ করা যায়। এর জন্য সময় লাগে না। প্রয়োজনে পদত্যাগ করবো।”
সুরঞ্জিত তার স্বভাবসুলভ শারীরিক ভঙ্গি করে বলেন, “রাজনীতিক হয়ে ওঠা কঠিন। সহজ বিষয় নয়। মন্ত্রী হওয়া বা ত্যাগ করা কঠিন নয়। যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।”
বিপদে মোরে রক্ষা করো
বক্তৃতায়, টকশোতে এবং সংবাদ সম্মেলনে কবিতার পংক্তি উল্লেখ সুরঞ্জিতের দীর্ঘদিনের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তার অবস্থা নাজেহাল রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত কবিগুরুর কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, ‘‘বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেনো করি ভয়।”
তিনি বলেন, ‘‘এ বিপদ সত্যের। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা আমাকে জানেন। আমি সহজ কথা সোজাভাবে বলতে বলে ফেলি।’’
এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে এমন ইঙ্গিত করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘সামনে নির্বাচন। সরকারকে বিব্রত করতে এটি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।চেষ্টা হচ্ছে সরকারকে যাতে বিব্রত করা যায়।’’
সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ
বুধবার রাতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাংবাদিকদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার দায় স্বীকার করে রেলভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত । তিনি বলেন, ‘‘গতকাল (বুধবার) অনেকের সঙ্গে আমার খারাপ ব্যবহার করেছি। আমি মানুষ আমারও ভুল হতে পারে।’’ তিনি সাংবাদিক বলেছিলেন, “তোমরা কি পড়াশুনা করেছ, প্রশ্ন করতে জানো না।” তার বক্তব্যে ছিল তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ভাব।
এপিএস’র বাড়ি মোহাম্মদপুরে
এপিএস’র বাড়ি মুহাম্মদপুরে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আমি বলেছি আমার বাসায় যাতে আর না আসে।’’ এতো টাকা তার কাছে পাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি তো আগেও বলেছি স্বাভাবিক নয়। টাকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল টাকা কার তা বলতে পারবে সে (এপিএস) ও বিজিবি। মধ্যরাতে আমার বাসায় যাওয়ার কোনো কারণ নেই।’’ তাকে পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, “তদন্তের জন্য তাকে লিখিত বক্তব্য দিতে হবে। সে লিখিত বক্তব্য দিলে আপনাদের জানাবো।”
আজীবন তীর মেরে যাবো
‘কি যাতনা বিষে, কভু আশীবিষে দংশেনী যারে...।’ কবিতার এ লাইনটি উচ্চারণ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত বললেন, “সারাজীবন অন্যকে তীর মেরেই গেছি। এখন বুঝতে পারছি তীরের কি যাতনা। তবে আমি সারাজীবন সোজা কথা সহজভাবে বলেছি।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে
সুরঞ্জিত জানান, ঘটনার পরেরদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন শুনলাম আপনি নাকি রেলওয়ের লোকদের নিয়ে পিলখানা দখল করেছেন।” তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ চলে ডাওয়ায় পরে আর কথা হয়নি। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী তুরস্ক সফরে আছেন।
No comments