অনেকেই মানছেন না আচরণবিধি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বারবার তাগিদ সত্ত্বেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময়ও যথাযথভাবে আচরণবিধি মানছেন না তাঁরা। নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোক থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শিরিন আক্তার ও এখলাস উদ্দিন মোল্লার সঙ্গে অনেক লোক দেখা গেছে।
ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং অফিসার মিহির সারোয়ার মোর্শেদ এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় কোনোভাবেই শোডাউন করা যাবে না। প্রার্থী এ সময় পাঁচজনের বেশি লোক সঙ্গে আনতে পারবেন না। কিন্তু গতকাল অনেক লোকজন সঙ্গে নিয়ে তাঁরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারীরা সঙ্গের লোকজন তাঁদের নয় বলে দাবি করেন।
এ দিকে দুই রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রচার উপকরণ রয়েছে ঢাকা উত্তরে শিরিন আক্তারের এবং দক্ষিণে আওলাদ হোসেনের। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের আশপাশেও শিরিন আক্তারের রঙিন পোস্টারের ছড়াছড়ি। এ ছাড়া মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, হাজি সেলিম, সাঈদ খোকন, মাহমুদুর রহমান মান্না, এখলাস উদ্দিন মোল্লা ও এস এ খালেকের পোস্টার, বিলবোর্ডসহ অন্যান্য উপকরণ দেখা গেছে।
মিহির সারোয়ার মোর্শেদ এ বিষয়ে বলেন, 'আমরা ডিজিটাল ক্যামেরার মাধ্যমে তারিখসহ এসব প্রচার উপকরণের ছবি তুলে রেখেছি।'
এদিকে বিধিবহির্ভূত এই প্রচারণা থেকে বিরত রাখার জন্য ইসি প্রার্থীদের সতর্ক করে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে যাঁরা অবৈধভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন ইসি সেসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারেন।
এর আগে ১০ এপ্রিল ইসির এক আদেশে ১১ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সব প্রচার উপকরণ নিজ দায়িত্বে অপসারণ করতে বলা হয়। কিন্তু এ নির্দেশ অনুসারে সাম্ভাব্য অনেক প্রার্থী তাঁদের প্রচার উপকরণ সরিয়ে নেননি।
ইসি সূত্র জানায়, অবৈধ পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ডসহ অন্যান্য প্রচার উপকরণ অপসারণ এবং দেয়াললিখন মুছে ফেলার ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে ইসি থেকে গত ১১ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার পুুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল দুপুরের দিকে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী, দুই রিটার্নিং অফিসার মিহির সারোয়ার মোর্শেদ ও খোন্দকার মিজানুর রহমান এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা ঢাকা সিটি পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁরা তাৎক্ষণিক টেলিফোনে ইসিকে জানিয়েছেন, প্রার্থীরা প্রচার উপকরণ অপসারণ করেননি।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ জানান, রিটার্নিং অফিসারদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ইসি সম্ভাব্য প্রার্থীদের সতর্ক করে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের এই বলে সতর্ক করা হবে যে, অবৈধ প্রচার উপকরণ পাওয়া গেলে তা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় নেতিবাচক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সূত্র জানায়, ইসি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী প্রার্থীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দিয়ে ইসি সচিবালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর অবৈধ প্রচার উপকরণ অপসারণের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের পর যেসব প্রচার উপকরণ পাওয়া যাবে, তাঁর ছবি তুলে রাখতে হবে। অবৈধভাবে প্রচারণা চালানো এসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ দিকে দুই রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রচার উপকরণ রয়েছে ঢাকা উত্তরে শিরিন আক্তারের এবং দক্ষিণে আওলাদ হোসেনের। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের আশপাশেও শিরিন আক্তারের রঙিন পোস্টারের ছড়াছড়ি। এ ছাড়া মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, হাজি সেলিম, সাঈদ খোকন, মাহমুদুর রহমান মান্না, এখলাস উদ্দিন মোল্লা ও এস এ খালেকের পোস্টার, বিলবোর্ডসহ অন্যান্য উপকরণ দেখা গেছে।
মিহির সারোয়ার মোর্শেদ এ বিষয়ে বলেন, 'আমরা ডিজিটাল ক্যামেরার মাধ্যমে তারিখসহ এসব প্রচার উপকরণের ছবি তুলে রেখেছি।'
এদিকে বিধিবহির্ভূত এই প্রচারণা থেকে বিরত রাখার জন্য ইসি প্রার্থীদের সতর্ক করে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে যাঁরা অবৈধভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন ইসি সেসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারেন।
এর আগে ১০ এপ্রিল ইসির এক আদেশে ১১ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সব প্রচার উপকরণ নিজ দায়িত্বে অপসারণ করতে বলা হয়। কিন্তু এ নির্দেশ অনুসারে সাম্ভাব্য অনেক প্রার্থী তাঁদের প্রচার উপকরণ সরিয়ে নেননি।
ইসি সূত্র জানায়, অবৈধ পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ডসহ অন্যান্য প্রচার উপকরণ অপসারণ এবং দেয়াললিখন মুছে ফেলার ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে ইসি থেকে গত ১১ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার পুুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল দুপুরের দিকে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী, দুই রিটার্নিং অফিসার মিহির সারোয়ার মোর্শেদ ও খোন্দকার মিজানুর রহমান এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা ঢাকা সিটি পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁরা তাৎক্ষণিক টেলিফোনে ইসিকে জানিয়েছেন, প্রার্থীরা প্রচার উপকরণ অপসারণ করেননি।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ জানান, রিটার্নিং অফিসারদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ইসি সম্ভাব্য প্রার্থীদের সতর্ক করে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের এই বলে সতর্ক করা হবে যে, অবৈধ প্রচার উপকরণ পাওয়া গেলে তা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় নেতিবাচক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সূত্র জানায়, ইসি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী প্রার্থীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দিয়ে ইসি সচিবালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর অবৈধ প্রচার উপকরণ অপসারণের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের পর যেসব প্রচার উপকরণ পাওয়া যাবে, তাঁর ছবি তুলে রাখতে হবে। অবৈধভাবে প্রচারণা চালানো এসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments