শিক্ষকদের কর্মবিরতির অবসান ঘটুক-বুয়েটে এসব কী হচ্ছে
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রাজনীতির নেতিবাচক যেসব দিক লক্ষ করা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তা থেকে মোটের ওপর মুক্ত ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সেসব নেতিবাচক প্রবণতা বুয়েটেও সংক্রমিত হতে শুরু করেছে।
বুয়েট শিক্ষক সমিতি ৭ এপ্রিল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির, বিঘ্ন ঘটছে বিভিন্ন সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের কাজে। ১৫ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা; কিন্তু তা হবে কি না, এখন তা-ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রধান দাবি, বুয়েটের বর্তমান উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য মো. হাবিবুর রহমানকে পদত্যাগ এবং সহ-উপাচার্যের পদ বিলুপ্ত করতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, একজন কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনিয়ম করে তাঁকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফল পরিবর্তন করার মতো গুরুতর অনিয়মের অভিযোগও তাঁরা তুলেছেন। এসব অনিয়মের জন্য তাঁরা উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে দায়ী মনে করে তাঁদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
অভিযোগগুলো বেশ গুরুতর, বিশেষত বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। ভালো করে খতিয়ে দেখা জরুরি, এগুলো সত্য কি না। সত্য হলে অবশ্যই যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এটাও গুরুতর বিষয় যে বুয়েটের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে দলীয়করণের অভিযোগ তুলেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি। এ অভিযোগ সত্য হলে বুয়েটকে নিয়ে গর্ব করার দিন অচিরেই ইতিহাস হয়ে যাবে। উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পক্ষ নিয়ে শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে বুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। কেন? উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পক্ষে তাঁদের দাঁড়ানোর কী আছে? নিজেদের অবস্থান, দায়িত্ব পালন ও অভিযোগ খণ্ডনের জন্য উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য নিজেরাই কি যথেষ্ট নন?
রাজনৈতিক দলীয় লাইনে বিভেদ এবং সেই বিভেদের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা-গবেষণা, পঠন-পাঠনের সামগ্রিক পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার লক্ষণ কি বুয়েটেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে? শিক্ষক সমিতির নেতারা শিক্ষকদের কর্মবিরতির মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দাবি আদায়ের বিকল্প পন্থা খুঁজেছেন কি? আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়ার পথ কি রুদ্ধ হয়ে গেছে? তা ছাড়া বুয়েটের সিন্ডিকেট রয়েছে, সর্বোপরি রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির নেতারা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু তাঁদের কর্মবিরতি অবসানের ঘোষণা দেননি। কর্মবিরতি ছাড়া কি এই সমস্যা সমাধানের উপায় সত্যিই নেই? সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বলা হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূতাপেক্ষ নিয়োগ ও পদোন্নতি বিষয়ে বিশদ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সেটা করা হোক, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির উত্থাপিত অভিযোগগুলোর তদন্ত করে যথাযথ প্রতিকারের উদ্যোগ নেওয়া হোক। আর শিক্ষক সমিতির উচিত হবে ১৫ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত ক্লাসগুলো শুরু করা।
দেশের অন্যতম সেরা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বুয়েটের যে সুনাম ও মর্যাদা রয়েছে, তা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে এর শিক্ষার পরিবেশ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রধান দাবি, বুয়েটের বর্তমান উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য মো. হাবিবুর রহমানকে পদত্যাগ এবং সহ-উপাচার্যের পদ বিলুপ্ত করতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, একজন কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনিয়ম করে তাঁকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফল পরিবর্তন করার মতো গুরুতর অনিয়মের অভিযোগও তাঁরা তুলেছেন। এসব অনিয়মের জন্য তাঁরা উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে দায়ী মনে করে তাঁদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
অভিযোগগুলো বেশ গুরুতর, বিশেষত বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। ভালো করে খতিয়ে দেখা জরুরি, এগুলো সত্য কি না। সত্য হলে অবশ্যই যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এটাও গুরুতর বিষয় যে বুয়েটের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে দলীয়করণের অভিযোগ তুলেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি। এ অভিযোগ সত্য হলে বুয়েটকে নিয়ে গর্ব করার দিন অচিরেই ইতিহাস হয়ে যাবে। উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পক্ষ নিয়ে শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে বুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। কেন? উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পক্ষে তাঁদের দাঁড়ানোর কী আছে? নিজেদের অবস্থান, দায়িত্ব পালন ও অভিযোগ খণ্ডনের জন্য উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য নিজেরাই কি যথেষ্ট নন?
রাজনৈতিক দলীয় লাইনে বিভেদ এবং সেই বিভেদের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা-গবেষণা, পঠন-পাঠনের সামগ্রিক পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার লক্ষণ কি বুয়েটেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে? শিক্ষক সমিতির নেতারা শিক্ষকদের কর্মবিরতির মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দাবি আদায়ের বিকল্প পন্থা খুঁজেছেন কি? আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়ার পথ কি রুদ্ধ হয়ে গেছে? তা ছাড়া বুয়েটের সিন্ডিকেট রয়েছে, সর্বোপরি রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির নেতারা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু তাঁদের কর্মবিরতি অবসানের ঘোষণা দেননি। কর্মবিরতি ছাড়া কি এই সমস্যা সমাধানের উপায় সত্যিই নেই? সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বলা হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূতাপেক্ষ নিয়োগ ও পদোন্নতি বিষয়ে বিশদ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সেটা করা হোক, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির উত্থাপিত অভিযোগগুলোর তদন্ত করে যথাযথ প্রতিকারের উদ্যোগ নেওয়া হোক। আর শিক্ষক সমিতির উচিত হবে ১৫ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত ক্লাসগুলো শুরু করা।
দেশের অন্যতম সেরা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বুয়েটের যে সুনাম ও মর্যাদা রয়েছে, তা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে এর শিক্ষার পরিবেশ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
No comments