ইবাদত সম্পর্কে কোরআন by মাহফুজ আবেদ
আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন_ 'আমি মানুষ এবং জিন জাতিকে আমার ইবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি।' সূরা আজ জারিয়াত : ৫৬।
অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে_ '(হে নবী) যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার কাছে নিশ্চিত (মৃত্যুজনিত) ঘটনা না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমার মালিকের ইবাদত করতে থাকো।' সূরা আল হিজর : ৯৯।
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় দুনিয়ায় আমাদের কর্মসূচি সম্পর্কে পথনির্দেশ করছে। দুনিয়ায় আমাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত আল্লাহর ইবাদত করা। তাহলেই আমাদের জীবন হয়ে উঠবে শান্তিময় ও কল্যাণময়। তবে আমাদের মধ্যে এমন সংখ্যাই বেশি_ যারা ইসলামের বিধানগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে চলি না। কিছু অংশ মানি আর কিছু অংশ মানি না। এ প্রসঙ্গে কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে_ 'হে ইমানদার লোকেরা! তোমরা পুরোপুরিই ইসলামে এসে যাও এবং কোনো অবস্থায়ই (অভিশপ্ত) শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; কেননা শয়তান হচ্ছে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।' সূরা বাকারা : ২০৮।
আমাদের সমাজের অনেকেই আছে, যারা সত্য প্রকাশে ভীত হয়। আল্লাহতায়ালা ও হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাণী প্রকাশে ভীত হয় অথবা সত্যের বিরোধিতা করে থাকে এবং সত্যের বাণী প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে; তাদের সম্পর্কে কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে_ 'আর তার চেয়ে অধিক জালিম আর কে হতে পারে? যে গোপন করে সেই সত্যের সাক্ষ্যকে, যা তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে, আর তোমরা যা করো সে সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা অজানা নন।' সূরা বাকারা : ১৪০।
অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, 'হে ইমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থেকো।' সূরা তওবা : ১১৯। কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে_ 'তোমরা মিথ্যা দিয়ে সত্যকে পোশাক পরিয়ে দিও না এবং সত্যকে জেনে-বুঝে লুকিয়ে রেখো না।' সূরা বাকারা : ৪২।
ইসলাম সর্বজনীন ধর্ম। সমগ্র মানবজীবন পরিচালনার জন্যই আল্লাহতায়ালা ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে প্রেরণ করেছেন। বিভিন্ন সময় ও যুগের পরীক্ষায় ইসলাম সর্বদাই মানবজাতির জীবন পরিচালনার শ্রেষ্ঠ বিধান হিসেবে উত্তীর্ণ।
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় দুনিয়ায় আমাদের কর্মসূচি সম্পর্কে পথনির্দেশ করছে। দুনিয়ায় আমাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত আল্লাহর ইবাদত করা। তাহলেই আমাদের জীবন হয়ে উঠবে শান্তিময় ও কল্যাণময়। তবে আমাদের মধ্যে এমন সংখ্যাই বেশি_ যারা ইসলামের বিধানগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে চলি না। কিছু অংশ মানি আর কিছু অংশ মানি না। এ প্রসঙ্গে কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে_ 'হে ইমানদার লোকেরা! তোমরা পুরোপুরিই ইসলামে এসে যাও এবং কোনো অবস্থায়ই (অভিশপ্ত) শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; কেননা শয়তান হচ্ছে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।' সূরা বাকারা : ২০৮।
আমাদের সমাজের অনেকেই আছে, যারা সত্য প্রকাশে ভীত হয়। আল্লাহতায়ালা ও হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাণী প্রকাশে ভীত হয় অথবা সত্যের বিরোধিতা করে থাকে এবং সত্যের বাণী প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে; তাদের সম্পর্কে কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে_ 'আর তার চেয়ে অধিক জালিম আর কে হতে পারে? যে গোপন করে সেই সত্যের সাক্ষ্যকে, যা তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে, আর তোমরা যা করো সে সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা অজানা নন।' সূরা বাকারা : ১৪০।
অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, 'হে ইমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থেকো।' সূরা তওবা : ১১৯। কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে_ 'তোমরা মিথ্যা দিয়ে সত্যকে পোশাক পরিয়ে দিও না এবং সত্যকে জেনে-বুঝে লুকিয়ে রেখো না।' সূরা বাকারা : ৪২।
ইসলাম সর্বজনীন ধর্ম। সমগ্র মানবজীবন পরিচালনার জন্যই আল্লাহতায়ালা ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে প্রেরণ করেছেন। বিভিন্ন সময় ও যুগের পরীক্ষায় ইসলাম সর্বদাই মানবজাতির জীবন পরিচালনার শ্রেষ্ঠ বিধান হিসেবে উত্তীর্ণ।
No comments