জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাঘশুমারি
বাঘশুমারি চলছে সুন্দরবনে। এ উদ্যোগ অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। সুষ্ঠুভাবে শুমারি সম্পন্ন হলে বাঘ সম্পর্কে আমাদের ধারণা স্পষ্ট হবে। অন্তত যে বাঘ নিয়ে আমরা গর্ব করি, তার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সহায়ক হবে এ উদ্যোগ।
জটিল ও শ্রমসাধ্য এ কাজ করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, তা সফলভাবে সমাপ্ত হলে আমাদের যে হতাশার চিত্র দেখতে হচ্ছে তা থেকে হয়তো কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে বাঘের সংখ্যা যে আগের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে তা আমাদের পরিবেশ দেখেই বোঝা যায়। সুন্দরবনকে অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার যে কথা বলা হয়েছে, তা কি বাস্তবে আছে? বাঘের অভয়ারণ্য করতে হলে বন উজাড় করে বাঘের থাকার পরিবেশ নষ্ট করা চলবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এর বিপরীত। কারণ বাঘের থাকার জায়গাগুলো নষ্ট করা হচ্ছে একের পর এক। বন কেটে মানুষ বসতি স্থাপন কিংবা চাষাবাদ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঘের মৃত্যু ঘটছে প্রায়ই। অন্যদিকে লবণাক্ততা বৃদ্ধি বাঘের সংখ্যা হ্রাসের আরেকটি কারণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অবাধে হরিণ শিকার করাও বাঘের সংখ্যা হ্রাসের জন্য দায়ী। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ। তার পরই বন্য শূকর ও অন্যান্য প্রাণীর নাম করা যায়। কিন্তু মানুষ অবৈধভাবে হরিণ বধ করে চলেছে। ফলে খাদ্য সংকটে পড়ছে বাঘ। চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য না পাওয়ায় বাঘ মারা পড়ছে। একই কারণে সুন্দরবনের বাঘের আকারও ছোট হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি বাঘশিকারিদের কারণেও বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। অথচ একটি বাঘিনী একবারে চার-পাঁচটি বাচ্চা প্রসব করে থাকে। এই বাচ্চাগুলো যদি বেঁচে যেত তাহলে বাঘের সংখ্যা হ্রাস না পেয়ে অনেক বেড়ে যেত। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সুন্দরবন এলাকায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে মূলত সেখানে বাঘের বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেই। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপও বাঘের বংশবৃদ্ধির সহায়ক হয়েছে। আমাদের এখানে তার বিপরীত চিত্রই দেখা যায়। বনে খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে না পেরে যদি কোনো বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের এখানে তাকে গণরোষের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু ভারতে তেমনটা হয় খুব কমই। তাই সুন্দরবনের বাঘ রক্ষা করতে হলে বন বিভাগের কর্মীদের দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সুন্দরবন যদি বাঘশূন্য হয়ে পড়ে তাহলে আমাদের পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষের অত্যাচারে। তার প্রভাব পড়বে গোটা বাংলাদেশে। তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনে বাঘ টিকিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য বাঘশুমারি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়ক হবে।
এদিকে বাঘের সংখ্যা যে আগের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে তা আমাদের পরিবেশ দেখেই বোঝা যায়। সুন্দরবনকে অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার যে কথা বলা হয়েছে, তা কি বাস্তবে আছে? বাঘের অভয়ারণ্য করতে হলে বন উজাড় করে বাঘের থাকার পরিবেশ নষ্ট করা চলবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এর বিপরীত। কারণ বাঘের থাকার জায়গাগুলো নষ্ট করা হচ্ছে একের পর এক। বন কেটে মানুষ বসতি স্থাপন কিংবা চাষাবাদ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঘের মৃত্যু ঘটছে প্রায়ই। অন্যদিকে লবণাক্ততা বৃদ্ধি বাঘের সংখ্যা হ্রাসের আরেকটি কারণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অবাধে হরিণ শিকার করাও বাঘের সংখ্যা হ্রাসের জন্য দায়ী। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ। তার পরই বন্য শূকর ও অন্যান্য প্রাণীর নাম করা যায়। কিন্তু মানুষ অবৈধভাবে হরিণ বধ করে চলেছে। ফলে খাদ্য সংকটে পড়ছে বাঘ। চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য না পাওয়ায় বাঘ মারা পড়ছে। একই কারণে সুন্দরবনের বাঘের আকারও ছোট হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি বাঘশিকারিদের কারণেও বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। অথচ একটি বাঘিনী একবারে চার-পাঁচটি বাচ্চা প্রসব করে থাকে। এই বাচ্চাগুলো যদি বেঁচে যেত তাহলে বাঘের সংখ্যা হ্রাস না পেয়ে অনেক বেড়ে যেত। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সুন্দরবন এলাকায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে মূলত সেখানে বাঘের বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেই। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপও বাঘের বংশবৃদ্ধির সহায়ক হয়েছে। আমাদের এখানে তার বিপরীত চিত্রই দেখা যায়। বনে খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে না পেরে যদি কোনো বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের এখানে তাকে গণরোষের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু ভারতে তেমনটা হয় খুব কমই। তাই সুন্দরবনের বাঘ রক্ষা করতে হলে বন বিভাগের কর্মীদের দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সুন্দরবন যদি বাঘশূন্য হয়ে পড়ে তাহলে আমাদের পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষের অত্যাচারে। তার প্রভাব পড়বে গোটা বাংলাদেশে। তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনে বাঘ টিকিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য বাঘশুমারি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়ক হবে।
No comments