তিনজনই বলেন গাড়িটি মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিল
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দাবি করেছেন, তাঁর সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) বাসা মোহাম্মদপুরে। আর এপিএস ও রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপককে বহনকারী টাকার গাড়িটি সেখানেই যাচ্ছিল। মন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের তির ছোড়া হচ্ছে।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসা জিগাতলায়। আর এপিএস ওমর ফারুকের বাসা মোহাম্মদপুরের পিসি কালচার আবাসিক এলাকায়।
তবে টাকাসহ ধরা পড়ার পরদিন এপিএস ওমর ফারুক, মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক তিনজনেই প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। গাড়িচালক আজম খানও একই কথা জানিয়েছিলেন। তাঁদের এ বক্তব্য গণমাধ্যমে ধারণ করা রয়েছে। তাহলে কে অসত্য বলছেন?
ওই রাতের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাওয়ার পথে হঠাৎ করে গাড়িটি বিজিবির সদর দপ্তরে ঢুকিয়ে দেয় আজম খান।’ মন্ত্রীর বাসায়, না অন্য কোথাও যাচ্ছিলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীর বাসাতেই যাচ্ছিলাম।’ কেন যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই আমরা যাচ্ছিলাম। মন্ত্রী একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। সেই কমিটিতে আমি, মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা ও রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) অপারেশন আছেন। এ বিষয়ে কথা বলতেই আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’
অথচ গতকাল রেলমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি রাত ১০টায় ঘুমান। কাজেই এত রাতে তাঁর কাছে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সেদিন রাতে কোথায় যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। সেটি শায়েস্তাগঞ্জে থামবে কি থামবে না, সে বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছি। সোমবার রাতে আমি ফারুক ভাইকে ফোন দিয়ে বলি, মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাব। ফারুক ভাই আমাকে ধানমন্ডিতে যেতে বলেন। সেখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় যাই এবং ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে গাড়িতে উঠি।’
গাড়ির অপর যাত্রী এনামুল হক রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট। কোথায় যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জিএম স্যার আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাঁর আদেশেই আমি কমলাপুর থেকে তাঁর সঙ্গে যাই। তিনি মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ধানমন্ডি থেকে গাড়ি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের বাসার দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই আজম গাড়িটি পিলখানায় ঢুকিয়ে দেয়।’
এপিএস ওমর ফারুক মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গাড়িচালক আজম খানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ লিখছেন। সেটি নিউমার্কেট থানায় দেবেন। অভিযোগে কী লিখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার পথে আজম হঠাৎ করে পিলখানায় গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়।’ আপনারা যে মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছেন, সেটা মন্ত্রী জানেন কি না জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলেই যাচ্ছিলাম।’ বিজিবির সদস্যরা আটকানোর পর মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ফারুক বলেন, ‘মন্ত্রীকে আমি সব জানিয়েছি।’
তবে টাকাসহ ধরা পড়ার পরদিন এপিএস ওমর ফারুক, মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক তিনজনেই প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। গাড়িচালক আজম খানও একই কথা জানিয়েছিলেন। তাঁদের এ বক্তব্য গণমাধ্যমে ধারণ করা রয়েছে। তাহলে কে অসত্য বলছেন?
ওই রাতের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাওয়ার পথে হঠাৎ করে গাড়িটি বিজিবির সদর দপ্তরে ঢুকিয়ে দেয় আজম খান।’ মন্ত্রীর বাসায়, না অন্য কোথাও যাচ্ছিলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীর বাসাতেই যাচ্ছিলাম।’ কেন যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই আমরা যাচ্ছিলাম। মন্ত্রী একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। সেই কমিটিতে আমি, মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা ও রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) অপারেশন আছেন। এ বিষয়ে কথা বলতেই আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’
অথচ গতকাল রেলমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি রাত ১০টায় ঘুমান। কাজেই এত রাতে তাঁর কাছে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সেদিন রাতে কোথায় যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। সেটি শায়েস্তাগঞ্জে থামবে কি থামবে না, সে বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছি। সোমবার রাতে আমি ফারুক ভাইকে ফোন দিয়ে বলি, মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাব। ফারুক ভাই আমাকে ধানমন্ডিতে যেতে বলেন। সেখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় যাই এবং ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে গাড়িতে উঠি।’
গাড়ির অপর যাত্রী এনামুল হক রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট। কোথায় যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জিএম স্যার আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাঁর আদেশেই আমি কমলাপুর থেকে তাঁর সঙ্গে যাই। তিনি মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ধানমন্ডি থেকে গাড়ি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের বাসার দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই আজম গাড়িটি পিলখানায় ঢুকিয়ে দেয়।’
এপিএস ওমর ফারুক মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গাড়িচালক আজম খানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ লিখছেন। সেটি নিউমার্কেট থানায় দেবেন। অভিযোগে কী লিখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার পথে আজম হঠাৎ করে পিলখানায় গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়।’ আপনারা যে মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছেন, সেটা মন্ত্রী জানেন কি না জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলেই যাচ্ছিলাম।’ বিজিবির সদস্যরা আটকানোর পর মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ফারুক বলেন, ‘মন্ত্রীকে আমি সব জানিয়েছি।’
No comments