টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনুন
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরত আনা: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলো ছাপা হলো।
মো. মিজানুর রহমান, মানিকগঞ্জ
লিবিয়ায় অবস্থানকারীদের পরিবার-পরিজন অত্যন্ত উৎকণ্ঠার সঙ্গে এখানে জীবন যাপন করছে। তাঁদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা দরকার। আসার পর সরকারকে নিজ খরচায় তাঁদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের কর্মসংস্থান, বিশেষত অন্য কোনো দেশে পাঠানোর ব্যাপারে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাঁদের জন্য স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
শাহ মো. মোয়াজ্জেম, সিলেট
বাংলাদেশ সরকারকে আরও দায়িত্ববান হতে হবে। হতে হবে সহানুভূতিশীল।
মফিজুর রহমান, শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে সরকারের যে প্রতিশ্রুতি, তা লিবিয়ার শ্রমিকদের ক্ষেত্রে স্পষ্টত রাখছে না।
সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ফরিদপুর
বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শ্রমিক দেশে ফিরিয়ে আনা সরকারের জন্য অবশ্যই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমি মনে করি, সরকার এ ব্যাপারে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের সম্ভবপর সব বিকল্পের অনুসন্ধান করা উচিত। জাতিসংঘ ও লিবিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সাময়িকভাবে সেখানে স্থানান্তরিত করে কিছুদিনের জন্য তাঁদের খাদ্য-বস্ত্রের জোগান নিশ্চিত করা। পরে ক্রমান্বয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা।
বিশ্বজিৎ সেন, চট্টগ্রাম
লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের চেষ্টায় ঘাটতি আছে বলে মনে হচ্ছে না।
মো. মামুন হোসাইন, শিক্ষার্থী
সরকারি বাঙলা কলেজ
লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এই দায়িত্ব পালনে সরকারকে অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে, সেই সঙ্গে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁদের কর্মসংস্থান তৈরি করা আবশ্যক।
ফারুক আহমেদ, রাজশাহী
লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে, তার আগ মুহূর্তে আমাদের সরকার শ্রমিকদের ফিরে আনছে ঠিক আছে। তাঁদের বসিয়ে না রেখে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে।
সাধন সরকার, শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
লিবিয়ায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতার জেরে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে চরম বিপদের মধ্যে পড়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, যাঁরা মিসর ও তিউনিসিয়ায় পালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের দ্রুত সাহায্য দিয়ে দেশে ফিরে আনা দরকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
সুজীত কুমার রায়, পাংশা, রাজবাড়ী
আশ্বাসের ফুলঝুরি নয়, লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারকে অনুরোধ করছি।
মনির অরণ্য, নবীনগর, সাভার
লিবিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে মিসর, তিউনিসিয়ায় নিরাশ্রয় হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক। দেশে তাঁদের আপনজনের আহাজারি। প্রয়োজন যথাসম্ভব সব শ্রমিককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা, আরও ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভীষণ প্রয়োজন।
শাহাদাত হোসেন, শিক্ষার্থী, কুমিল্লা
লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের আনতে সরকার প্রথম থেকে সজাগ। তবে ৬০ হাজার শ্রমিককে দেশে ফেরত আনতে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না। তাই সরকারকে আরও কার্যকর হতে হবে এবং তাঁদের দেশে ফেরত এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
শরিফ আশরাফী, শান্তিনগর, ঢাকা
মিসরাব্বা সিসিসিমি নামক কোম্পানিতে আমার আত্মীয়সহ ৪২০ জন চরম দুর্ভোগে আছেন। আমি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাইনি। নেট থেকে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করেছি। কোনো সাড়া পাচ্ছি না। আমরা উদ্বেগের মধ্যে আছি।
মনিশংকর দেব, কণ্ঠশিল্পী
বাংলাদেশ বেতার
প্রথমে আইওএম অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং দেশের সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ পর্যন্ত লিবিয়া থেকে এক হাজার ৪৩৭ জনকে ফিরিয়ে আনার জন্য। লিবিয়ায় আনুমানিক ৭০ হাজার বাংলাদেশি বাস করছে। যাঁরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উল্লিখিত সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারের কাছে অনুরোধ, দেশে ফিরে আসা লোকদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দেওয়ার জন্য।
এ কিউ এম মাহফুজউল্লা
উত্তর শাহজাহানপুর, ঢাকা
আটকে পড় শ্রমিকদের ফেরত আনতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।
মিজান, চট্টগ্রাম
যাঁরা লিবিয়া থেকে একান্তই দেশে ফিরে আসতে চান, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর বাকিদের অন্য কোনো রাষ্ট্রে চুক্তি করে ওখান থেকেই পাঠিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা সরকার ভেবে দেখতে ও সে অনুযায়ী উদ্যোগ নিতে পারে।
হুমায়ুন আহমেদ, সিরাজগঞ্জ
এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। সরকারকে প্রয়োজনে শিবির করে খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
লাকী মিজান, কুষ্টিয়া
তিউনিসিয়ার সীমান্তে আমাদের যে শ্রমিকেরা আশ্রয় নিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তত সেখানে উপস্থিত থাকা জরুরি। এতে তাঁদের কিছুটা কষ্ট লাঘব হবে।
জিয়াউল করিম, রংপুর
যেখানে প্রবাসীদের আয়ের অংশ দেশে অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে, সেখানে সরকার প্রবাসীদের জান-মালের নিরাপত্তায় নিশ্চিত ভূমিকা রাখতে পারছে কী? লিবিয়ার প্রবাসীদের জীবন রক্ষার্থে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
সাহেব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
লিবিয়া থেকে এ পর্যন্ত যত বাংলাদেশি শ্রমিক ফেরত এসেছে, তা লিবিয়ায় অবস্থানরত শ্রমিকদের তুলনায় খুবই নগণ্য। যেহেতু লিবিয়ার পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে, সেহেতু সরকারের আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
কামরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
আটকে পড়া নিরীহ বাংলাদেশি শ্রমিকেরা না খেয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের মা-বাবা ও সন্তানসহ বিভিন্ন স্যাটেলাইট, দৈনিক পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক আটকে আছেন। তাঁদের ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
মাহবুবুর রহমান, শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
লিবিয়ার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। তা ছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সহায়তার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
আল-মাহমুদ, শিক্ষার্থী, সিরাজগঞ্জ
সরকারের তৎপরতা যথেষ্ট নয়। যেকোনো মূল্যে শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা উচিত।
হাসান ইকবাল, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
আমার ছোট ভাই তিউনিসিয়ার ক্যাম্পে আছে। সে মেরিন প্রকৌশলী, আল বুহাইয়া কোম্পানিতে চাকরি করত। অসুস্থ হওয়ার পর রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হয়েছিল, সে এখন সুস্থ কিন্তু দেশে ফিরতে পারছে না। সরকারের আনার ব্যবস্থা শুনতে যতটা, আসলে ততটা তৎপর নয়। তাদের তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। খাদ্যাভাবে তাঁরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজার
সরকারের তৎপরতা যথেষ্ট নয়। সরকারের আরও আন্তরিক হওয়া উচিত, যাতে আর কোনো জীবন বিপন্ন না হয়।
নুরজামান শাহীন, শিক্ষক, চট্টগ্রাম
সরকারের পদক্ষেপ যথেষ্ট এবং আন্তরিকতাপূর্ণ। তবে কূটনৈতিক ও কৌশলগত দুর্বলতা আছে।
মিথুন ভৌমিক, চাঁদপুর
এ ব্যাপারে গণমাধ্যমেরও যথেষ্ট সচেতন থাকা উচিত; যাতে সবাইকে সন্তুষ্ট রাখা যায়।
এম এ হান্নান, লালমনিরহাট
সরকারের ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। আরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মনিরুল, খুলনা
বাংলাদেশ সরকার কখনোই তার জনগণের জীবনের মূল্য দিতে জানে না। লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটা তার একটা দৃষ্টান্ত। এটা নিতান্তই অপ্রতুল।
সিহাব ইবনে আবদুল জব্বার, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
এক হাজর ৪৩৮ জন বাংলাদেশিকে কেবল দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেখানে ৬০ হাজার শ্রমিক আটকে আছেন। আইওএমের ওপর তাদের যে নির্ভরতা, তাতে প্রমাণ করে তাদের কূটনৈতিক দুর্বলতা আছে; যা আরও কার্যকর করা উচিত।
শাজাহান, দক্ষিণ বাড্ডা, ঢাকা
আমাদের অনেক বাংলাদেশি ভাই ওখানে খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছেন। তাঁদের বিশেষ বিমানের মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
ওয়াহিদ মুরাদ, পিরোজপুর
লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যার যতটুকু করা সম্ভব তা মনেপ্রাণে আন্তরিকভাবে করা উচিত। শ্রমিকদের অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, পাশাপাশি দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশের দূতাবাসসহ পররাষ্ট্র দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।
লিবিয়ায় অবস্থানকারীদের পরিবার-পরিজন অত্যন্ত উৎকণ্ঠার সঙ্গে এখানে জীবন যাপন করছে। তাঁদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা দরকার। আসার পর সরকারকে নিজ খরচায় তাঁদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের কর্মসংস্থান, বিশেষত অন্য কোনো দেশে পাঠানোর ব্যাপারে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাঁদের জন্য স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
শাহ মো. মোয়াজ্জেম, সিলেট
বাংলাদেশ সরকারকে আরও দায়িত্ববান হতে হবে। হতে হবে সহানুভূতিশীল।
মফিজুর রহমান, শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে সরকারের যে প্রতিশ্রুতি, তা লিবিয়ার শ্রমিকদের ক্ষেত্রে স্পষ্টত রাখছে না।
সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ফরিদপুর
বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শ্রমিক দেশে ফিরিয়ে আনা সরকারের জন্য অবশ্যই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমি মনে করি, সরকার এ ব্যাপারে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের সম্ভবপর সব বিকল্পের অনুসন্ধান করা উচিত। জাতিসংঘ ও লিবিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সাময়িকভাবে সেখানে স্থানান্তরিত করে কিছুদিনের জন্য তাঁদের খাদ্য-বস্ত্রের জোগান নিশ্চিত করা। পরে ক্রমান্বয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা।
বিশ্বজিৎ সেন, চট্টগ্রাম
লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের চেষ্টায় ঘাটতি আছে বলে মনে হচ্ছে না।
মো. মামুন হোসাইন, শিক্ষার্থী
সরকারি বাঙলা কলেজ
লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এই দায়িত্ব পালনে সরকারকে অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে, সেই সঙ্গে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁদের কর্মসংস্থান তৈরি করা আবশ্যক।
ফারুক আহমেদ, রাজশাহী
লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে, তার আগ মুহূর্তে আমাদের সরকার শ্রমিকদের ফিরে আনছে ঠিক আছে। তাঁদের বসিয়ে না রেখে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে।
সাধন সরকার, শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
লিবিয়ায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতার জেরে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে চরম বিপদের মধ্যে পড়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, যাঁরা মিসর ও তিউনিসিয়ায় পালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের দ্রুত সাহায্য দিয়ে দেশে ফিরে আনা দরকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
সুজীত কুমার রায়, পাংশা, রাজবাড়ী
আশ্বাসের ফুলঝুরি নয়, লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারকে অনুরোধ করছি।
মনির অরণ্য, নবীনগর, সাভার
লিবিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে মিসর, তিউনিসিয়ায় নিরাশ্রয় হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক। দেশে তাঁদের আপনজনের আহাজারি। প্রয়োজন যথাসম্ভব সব শ্রমিককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা, আরও ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভীষণ প্রয়োজন।
শাহাদাত হোসেন, শিক্ষার্থী, কুমিল্লা
লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের আনতে সরকার প্রথম থেকে সজাগ। তবে ৬০ হাজার শ্রমিককে দেশে ফেরত আনতে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না। তাই সরকারকে আরও কার্যকর হতে হবে এবং তাঁদের দেশে ফেরত এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
শরিফ আশরাফী, শান্তিনগর, ঢাকা
মিসরাব্বা সিসিসিমি নামক কোম্পানিতে আমার আত্মীয়সহ ৪২০ জন চরম দুর্ভোগে আছেন। আমি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাইনি। নেট থেকে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করেছি। কোনো সাড়া পাচ্ছি না। আমরা উদ্বেগের মধ্যে আছি।
মনিশংকর দেব, কণ্ঠশিল্পী
বাংলাদেশ বেতার
প্রথমে আইওএম অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং দেশের সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ পর্যন্ত লিবিয়া থেকে এক হাজার ৪৩৭ জনকে ফিরিয়ে আনার জন্য। লিবিয়ায় আনুমানিক ৭০ হাজার বাংলাদেশি বাস করছে। যাঁরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উল্লিখিত সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারের কাছে অনুরোধ, দেশে ফিরে আসা লোকদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দেওয়ার জন্য।
এ কিউ এম মাহফুজউল্লা
উত্তর শাহজাহানপুর, ঢাকা
আটকে পড় শ্রমিকদের ফেরত আনতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।
মিজান, চট্টগ্রাম
যাঁরা লিবিয়া থেকে একান্তই দেশে ফিরে আসতে চান, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর বাকিদের অন্য কোনো রাষ্ট্রে চুক্তি করে ওখান থেকেই পাঠিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা সরকার ভেবে দেখতে ও সে অনুযায়ী উদ্যোগ নিতে পারে।
হুমায়ুন আহমেদ, সিরাজগঞ্জ
এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। সরকারকে প্রয়োজনে শিবির করে খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
লাকী মিজান, কুষ্টিয়া
তিউনিসিয়ার সীমান্তে আমাদের যে শ্রমিকেরা আশ্রয় নিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তত সেখানে উপস্থিত থাকা জরুরি। এতে তাঁদের কিছুটা কষ্ট লাঘব হবে।
জিয়াউল করিম, রংপুর
যেখানে প্রবাসীদের আয়ের অংশ দেশে অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে, সেখানে সরকার প্রবাসীদের জান-মালের নিরাপত্তায় নিশ্চিত ভূমিকা রাখতে পারছে কী? লিবিয়ার প্রবাসীদের জীবন রক্ষার্থে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
সাহেব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
লিবিয়া থেকে এ পর্যন্ত যত বাংলাদেশি শ্রমিক ফেরত এসেছে, তা লিবিয়ায় অবস্থানরত শ্রমিকদের তুলনায় খুবই নগণ্য। যেহেতু লিবিয়ার পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে, সেহেতু সরকারের আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
কামরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
আটকে পড়া নিরীহ বাংলাদেশি শ্রমিকেরা না খেয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের মা-বাবা ও সন্তানসহ বিভিন্ন স্যাটেলাইট, দৈনিক পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক আটকে আছেন। তাঁদের ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
মাহবুবুর রহমান, শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
লিবিয়ার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। তা ছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সহায়তার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
আল-মাহমুদ, শিক্ষার্থী, সিরাজগঞ্জ
সরকারের তৎপরতা যথেষ্ট নয়। যেকোনো মূল্যে শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা উচিত।
হাসান ইকবাল, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
আমার ছোট ভাই তিউনিসিয়ার ক্যাম্পে আছে। সে মেরিন প্রকৌশলী, আল বুহাইয়া কোম্পানিতে চাকরি করত। অসুস্থ হওয়ার পর রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হয়েছিল, সে এখন সুস্থ কিন্তু দেশে ফিরতে পারছে না। সরকারের আনার ব্যবস্থা শুনতে যতটা, আসলে ততটা তৎপর নয়। তাদের তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। খাদ্যাভাবে তাঁরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজার
সরকারের তৎপরতা যথেষ্ট নয়। সরকারের আরও আন্তরিক হওয়া উচিত, যাতে আর কোনো জীবন বিপন্ন না হয়।
নুরজামান শাহীন, শিক্ষক, চট্টগ্রাম
সরকারের পদক্ষেপ যথেষ্ট এবং আন্তরিকতাপূর্ণ। তবে কূটনৈতিক ও কৌশলগত দুর্বলতা আছে।
মিথুন ভৌমিক, চাঁদপুর
এ ব্যাপারে গণমাধ্যমেরও যথেষ্ট সচেতন থাকা উচিত; যাতে সবাইকে সন্তুষ্ট রাখা যায়।
এম এ হান্নান, লালমনিরহাট
সরকারের ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। আরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মনিরুল, খুলনা
বাংলাদেশ সরকার কখনোই তার জনগণের জীবনের মূল্য দিতে জানে না। লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটা তার একটা দৃষ্টান্ত। এটা নিতান্তই অপ্রতুল।
সিহাব ইবনে আবদুল জব্বার, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
এক হাজর ৪৩৮ জন বাংলাদেশিকে কেবল দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেখানে ৬০ হাজার শ্রমিক আটকে আছেন। আইওএমের ওপর তাদের যে নির্ভরতা, তাতে প্রমাণ করে তাদের কূটনৈতিক দুর্বলতা আছে; যা আরও কার্যকর করা উচিত।
শাজাহান, দক্ষিণ বাড্ডা, ঢাকা
আমাদের অনেক বাংলাদেশি ভাই ওখানে খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছেন। তাঁদের বিশেষ বিমানের মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
ওয়াহিদ মুরাদ, পিরোজপুর
লিবিয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যার যতটুকু করা সম্ভব তা মনেপ্রাণে আন্তরিকভাবে করা উচিত। শ্রমিকদের অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, পাশাপাশি দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশের দূতাবাসসহ পররাষ্ট্র দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।
No comments