নির্বাচন বন্ধে উকিল নোটিশ

ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তিনজনকে লিগ্যাল উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।


সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গতকাল বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠান। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীর পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়া অপর যে দুইজনের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন- নির্বাচন কমিশন সচিব ও ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
উকিল নোটিশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ২৭(১) ধারা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা কাউন্সিলর নির্বাচনের উদ্দেশ্যে করপোরেশনকে নির্ধারিত সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্ত করার সুপারিশ করবেন। আর ২৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, 'সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা জনসংখ্যার সর্বশেষ পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে প্রতিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের সংখ্যা নির্ধারণ করবে' কিন্তু সরকার এ আইন কার্যকর করেনি।
নোটিশে আরো বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, 'সরকার সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্য হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা এবং তাহাকে সহায়তা করিবার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ করিবে।'
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী নতুন সিটি করপোরেশনের কয়টি ওয়ার্ড হবে এবং এসব ওয়ার্ডের সীমানা আগে নির্ধারণ করতে হবে। এ সীমানা নির্ধারণের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। আইনের এসব ধারা কার্যকর না করে নির্বাচন করা যাবে না। আর এগুলো সিটি করপোরেশন পালন করেনি। তাই আইন অনুযায়ী নির্বাচন করার সুযোগ নেই। এ কারণে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.