যা নিয়ে আছি-রেওয়াজ নয়, ধ্যানস্থও থাকি
ফরিদা পারভীন প্রথিতযশা লালনসংগীতশিল্পী। লালনের গানের স্বরলিপি সংগ্রহ ও তৈরির কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিনপাখি’ সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাঁর নামে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফরিদা পারভীন প্রজেক্ট কমিটি।
তিনি একুশে পদকসহ দেশ-বিদেশে উল্লেখযোগ্য অনেক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
সংগীতে ধ্যানমগ্ন থাকি
আমি মনে করি, সংগীত শুধু সময় ধরে রেওয়াজ করার বিষয় নয়। এর সঙ্গে সব সময় লেগে থাকতে হয়, ধ্যানমগ্ন হতে হয়। এখন ব্যস্ত রয়েছি ‘অচিনপাখি’ নামের লালনসংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজে। এখানে যখন ছেলেমেয়েদের শেখাই, তখন তাদের শেখাতে গিয়ে আমার চর্চার কাজটা হয়।
অবসরে জীবনানন্দ পড়ি
অবসর একেবারে পাই না, এটা বলা ঠিক হবে না। যেদিন অনুষ্ঠান- স্কুল থাকে না, সেদিন অবসর পাই। পত্রিকা তো নিয়মিতই পড়ি। এ সময় গল্প-উপন্যাস বেশি পড়ি। প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিতা পড়তেও ভালো লাগে। জীবনানন্দ দাশ ঘুরেফিরে পড়ি।
আড্ডায় নতুন জীবন পাই
মাঝেমধ্যে আড্ডা দিই। আমার স্কুল-কলেজের অনেক বান্ধবী ঢাকায় থাকে। ওরা কেউ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কেউ গৃহিণী কিংবা চাকরিজীবী। আমরা শুক্রবার করে এক জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন মনে হয়, আমরা বুঝি নতুন জীবন ফিরে পেলাম। আড্ডায় স্মৃতি রোমন্থন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা খুঁজে পাই। আড্ডায় বসলে কখন যে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা-রাত নেমে আসে, টেরই পাই না।
সুরের গভীরতা বুঝেছি
নিয়মিত গান শুনি। অসভ্য গান শুনি না। আমি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র প্রমুখ শিল্পীর গান বেশি শুনি। বিশেষ করে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান আমার অনেক প্রিয়। তাঁর গান থেকেই আমি উচ্চারণ শিখেছি, সুরের গভীরতা বুঝেছি।
সংস্কৃতি ও রুচির বিচিত্র রূপ
ভ্রমণ আমার অনেক প্রিয়। দুঃখ হলো, অনুষ্ঠান করতে গিয়েই ভ্রমণের স্বাদ পেতে চেষ্টা করি। আলাদাভাবে সময় বের করতে পারি না। রাঙামাটি, জাফলং, কক্সবাজার বেড়াতে বেশি ভালো লাগে। দেশের বাইরে ভারতবর্ষ প্রিয় স্থান। এ ছাড়া জাপান, চীন, ফ্রান্সেও ঘুরতে ভালো লাগে। ভ্রমণেই খুঁজে পাই সেই সব দেশের সংস্কৃতি, রুচি ও মানবিকতার বিচিত্র রূপ।
সাঁইজির গান নিয়ে স্বপ্ন
আমার ইচ্ছা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাঁইজির গান আরও বেশি করে পৌঁছানো। তাঁর নামে একটা মিউজিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি। যেখানে আর্কাইভস, লাইব্রেরি থাকবে। গবেষণা ও স্বরলিপি সংগ্রহের কাজ হবে। রবীন্দ্র-নজরুলসংগীতের যেমন স্বরলিপি রয়েছে, তেমনি লালনের গানেরও স্বরলিপি থাকা প্র্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের কাছে লালন সাঁইজির গান তুলে ধরতে এর কোনো বিকল্প নেই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: আহমেদ হোসেন
সংগীতে ধ্যানমগ্ন থাকি
আমি মনে করি, সংগীত শুধু সময় ধরে রেওয়াজ করার বিষয় নয়। এর সঙ্গে সব সময় লেগে থাকতে হয়, ধ্যানমগ্ন হতে হয়। এখন ব্যস্ত রয়েছি ‘অচিনপাখি’ নামের লালনসংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজে। এখানে যখন ছেলেমেয়েদের শেখাই, তখন তাদের শেখাতে গিয়ে আমার চর্চার কাজটা হয়।
অবসরে জীবনানন্দ পড়ি
অবসর একেবারে পাই না, এটা বলা ঠিক হবে না। যেদিন অনুষ্ঠান- স্কুল থাকে না, সেদিন অবসর পাই। পত্রিকা তো নিয়মিতই পড়ি। এ সময় গল্প-উপন্যাস বেশি পড়ি। প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিতা পড়তেও ভালো লাগে। জীবনানন্দ দাশ ঘুরেফিরে পড়ি।
আড্ডায় নতুন জীবন পাই
মাঝেমধ্যে আড্ডা দিই। আমার স্কুল-কলেজের অনেক বান্ধবী ঢাকায় থাকে। ওরা কেউ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কেউ গৃহিণী কিংবা চাকরিজীবী। আমরা শুক্রবার করে এক জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন মনে হয়, আমরা বুঝি নতুন জীবন ফিরে পেলাম। আড্ডায় স্মৃতি রোমন্থন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা খুঁজে পাই। আড্ডায় বসলে কখন যে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা-রাত নেমে আসে, টেরই পাই না।
সুরের গভীরতা বুঝেছি
নিয়মিত গান শুনি। অসভ্য গান শুনি না। আমি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র প্রমুখ শিল্পীর গান বেশি শুনি। বিশেষ করে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান আমার অনেক প্রিয়। তাঁর গান থেকেই আমি উচ্চারণ শিখেছি, সুরের গভীরতা বুঝেছি।
সংস্কৃতি ও রুচির বিচিত্র রূপ
ভ্রমণ আমার অনেক প্রিয়। দুঃখ হলো, অনুষ্ঠান করতে গিয়েই ভ্রমণের স্বাদ পেতে চেষ্টা করি। আলাদাভাবে সময় বের করতে পারি না। রাঙামাটি, জাফলং, কক্সবাজার বেড়াতে বেশি ভালো লাগে। দেশের বাইরে ভারতবর্ষ প্রিয় স্থান। এ ছাড়া জাপান, চীন, ফ্রান্সেও ঘুরতে ভালো লাগে। ভ্রমণেই খুঁজে পাই সেই সব দেশের সংস্কৃতি, রুচি ও মানবিকতার বিচিত্র রূপ।
সাঁইজির গান নিয়ে স্বপ্ন
আমার ইচ্ছা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাঁইজির গান আরও বেশি করে পৌঁছানো। তাঁর নামে একটা মিউজিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি। যেখানে আর্কাইভস, লাইব্রেরি থাকবে। গবেষণা ও স্বরলিপি সংগ্রহের কাজ হবে। রবীন্দ্র-নজরুলসংগীতের যেমন স্বরলিপি রয়েছে, তেমনি লালনের গানেরও স্বরলিপি থাকা প্র্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের কাছে লালন সাঁইজির গান তুলে ধরতে এর কোনো বিকল্প নেই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: আহমেদ হোসেন
No comments