নৌ-প্রটোকলের কার্যপত্র স্বাক্ষর-মাশুল নয়, ভারত রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেবে
নৌ-প্রটোকলের আওতায় কোনো মাশুল নয়, পথগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে ১০ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছে ভারত। এত দিন বছরে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা পেত বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার দুই দেশের যৌথ স্ট্যান্ডিং কমিটির শেষ দিনের বৈঠকে এ বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশ একমত হয়েছে। বাংলাদেশই রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ১০ কোটি টাকায় বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিরা রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। তবে তাঁরা বলেছেন, তাঁদের নীতিনির্ধারকদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রটোকলসংক্রান্ত আগামী নবায়ন কমিটির বৈঠকে তা চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে ভারতের দেওয়া মোট ১৭টি প্রস্তাবের অন্যগুলো সম্পর্কে আবারও পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত মত দেওয়ার কথা বলেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে চারটি প্রস্তাব দিয়েছে। এর বাইরেও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে ট্রানজিট-সংক্রান্ত সরকার গঠিত কোর কমিটির সদস্য এম রহমতুল্লাহ গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের যে অর্থ নেওয়া হচ্ছে, তা আসলে মাশুল নয়। এসব নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণ, রাত্রিকালীন নেভিগেশন সুবিধা বাড়ানোর জন্য মূলত নেওয়া হয়। আর এই অর্থ নেওয়ার বিষয়টির সঙ্গে ট্রানজিটের মূল দর্শনের পার্থক্য রয়েছে। কেননা, এখনো ট্রানজিট-মাশুল নির্ধারণ করা হয়নি।
এম রহমতুল্লাহ আরও জানান, ভারত এই নৌ-প্রটোকলের আওতায় পোর্ট অব কল (যে বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানো হয়) সংখ্যা ও ট্রানশিপমেন্ট পয়েন্ট বাড়ানোর নামে পরোক্ষভাবে ট্রানজিট সুবিধাই নিতে চাইছে। সরকারকে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কোর কমিটির অন্য সদস্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুরো বিষয়টি কেবল নৌ-প্রটোকলের দৃষ্টিতে দেখলে চলবে না। কেননা, এর মাধ্যমেই এখন ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের বিষয়টি বৃহত্তরভাবে চলে আসছে। এর জন্য বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ অর্থও বিনিয়োগ করতে হবে। সুতরাং কেবল এককালীন কিছু অর্থ নিয়ে আলোচনা না করে পুরো বিষয়টি সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ভারত প্রটোকলটির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও রাজি হয়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রটোকলটি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তির আওতায় কার্যকর হয়। তাই বাণিজ্য চুক্তির নবায়ন মেয়াদ তিন বছর হওয়ায় প্রটোকলের মেয়াদ পাঁচ বছর করা সম্ভব নয়। প্রটোকলের মেয়াদ বাড়াতে হলে বাণিজ্য চুক্তির নবায়ন মেয়াদও বাড়াতে হবে।
এ ছাড়া ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া নৌ-প্রটোকলের আওতায় যাত্রী ও পর্যটন জাহাজ চালু করার প্রস্তাবের সঙ্গেও দ্বিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাণিজ্য চুক্তিতে শুধু পণ্য পরিবহনের কথা বলা হয়েছে। তাই প্রটোকলের আওতায় ভারতকে যাত্রী ও পর্যটনসেবা প্রদানে জাহাজ চলাচলের সুবিধা দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
ভারত বৈঠকে চাঁদপুর ও সিলেটের ছাতকে পোর্ট অব কল সুবিধা চেয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় আপাতত তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। ভবিষ্যতে ভারতের এই প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে ৩৫ হাজার টন খাদ্যশস্য ত্রিপুরায় নিয়ে যেতে চায় ভারত। আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে আর বাকিটা সড়কপথে এই চালান নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। মানবিক কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য নেওয়ার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বৈঠকে তোলা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেহেতু বিষয়টি বিবেচনায় সুযোগের কথা বলা হচ্ছে, তাই সরকারের উচ্চমহল থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
এ ছাড়া ভারত যেসব সুবিধা চেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—আশুগঞ্জ বন্দরকে ট্রানশিপমেন্ট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে খোলা (বাল্ক) পণ্য চলাচল সুবিধা, আখাউড়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, নারায়ণগঞ্জ-করিমগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ-দইখাওয়া নৌপথে রাত্রিকালীন চলাচল সুবিধা নিশ্চিত করা, আশুগঞ্জ বন্দর হয়ে কলকাতা থেকে আগরতলায় বাল্কপণ্য নেওয়ার সুবিধা, নৌপথের যেকোনো স্থান থেকে এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে পণ্য স্থানান্তরের সুবিধা, করিমগঞ্জগামী পণ্যের চালানে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিডি) অনুমোদন-প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, মংলা সমুদ্রবন্দর এলাকায় স্থলবন্দর নির্মাণ, নৌপথের সংখ্যা বাড়ানো।
ভারতের এসব প্রস্তাবে সরাসরি দ্বিমত না করলেও আরও পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
পণ্যবাহী জাহাজ আসা, বন্দরে ভিড়ে পণ্য ওঠানো-নামানোসহ বিভিন্ন মাশুল হিসেবে ১৯৮১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ভারতের কাছে ৩১ লাখ ২৩ হাজার ১৩০ টাকা ১১ পয়সা পাওনা রয়েছে বাংলাদেশের। বৈঠকে বকেয়া পরিশোধের দাবি করা হলে ভারত শিগগিরই তা পরিশোধ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকেও বকেয়া পরিশোধের তাগিদ দিলেও একইভাবে আশ্বাস দিয়েছিল ভারত। কিন্তু এখনো বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি।
বৈঠকের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত সড়কপথ নির্মাণ ও নৌপথের নাব্যতা ধরে রাখতে নদী খননের কাজটি অনুদান হিসেবে করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতীয় প্রতিনিধিরা বিষয়টি তাঁদের নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
গত রোববার থেকে বৈঠকটি চলেছে। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম সি জাওহরি। দ্বিতীয় দিনের দীর্ঘ বৈঠকের পর রাত ১০টার দিকে বৈঠকের কার্যপত্রে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন দুই দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানেরা।
প্রতি দুই বছর অন্তর নৌ-প্রটোকল নবায়ন করা হয়ে থাকে। আগামী ৩১ মার্চ প্রটোকলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নবায়নের আগে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে নবায়ন কমিটির বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে ভারতের দেওয়া মোট ১৭টি প্রস্তাবের অন্যগুলো সম্পর্কে আবারও পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত মত দেওয়ার কথা বলেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে চারটি প্রস্তাব দিয়েছে। এর বাইরেও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে ট্রানজিট-সংক্রান্ত সরকার গঠিত কোর কমিটির সদস্য এম রহমতুল্লাহ গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের যে অর্থ নেওয়া হচ্ছে, তা আসলে মাশুল নয়। এসব নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণ, রাত্রিকালীন নেভিগেশন সুবিধা বাড়ানোর জন্য মূলত নেওয়া হয়। আর এই অর্থ নেওয়ার বিষয়টির সঙ্গে ট্রানজিটের মূল দর্শনের পার্থক্য রয়েছে। কেননা, এখনো ট্রানজিট-মাশুল নির্ধারণ করা হয়নি।
এম রহমতুল্লাহ আরও জানান, ভারত এই নৌ-প্রটোকলের আওতায় পোর্ট অব কল (যে বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানো হয়) সংখ্যা ও ট্রানশিপমেন্ট পয়েন্ট বাড়ানোর নামে পরোক্ষভাবে ট্রানজিট সুবিধাই নিতে চাইছে। সরকারকে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কোর কমিটির অন্য সদস্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুরো বিষয়টি কেবল নৌ-প্রটোকলের দৃষ্টিতে দেখলে চলবে না। কেননা, এর মাধ্যমেই এখন ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের বিষয়টি বৃহত্তরভাবে চলে আসছে। এর জন্য বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ অর্থও বিনিয়োগ করতে হবে। সুতরাং কেবল এককালীন কিছু অর্থ নিয়ে আলোচনা না করে পুরো বিষয়টি সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ভারত প্রটোকলটির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও রাজি হয়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রটোকলটি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তির আওতায় কার্যকর হয়। তাই বাণিজ্য চুক্তির নবায়ন মেয়াদ তিন বছর হওয়ায় প্রটোকলের মেয়াদ পাঁচ বছর করা সম্ভব নয়। প্রটোকলের মেয়াদ বাড়াতে হলে বাণিজ্য চুক্তির নবায়ন মেয়াদও বাড়াতে হবে।
এ ছাড়া ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া নৌ-প্রটোকলের আওতায় যাত্রী ও পর্যটন জাহাজ চালু করার প্রস্তাবের সঙ্গেও দ্বিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাণিজ্য চুক্তিতে শুধু পণ্য পরিবহনের কথা বলা হয়েছে। তাই প্রটোকলের আওতায় ভারতকে যাত্রী ও পর্যটনসেবা প্রদানে জাহাজ চলাচলের সুবিধা দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
ভারত বৈঠকে চাঁদপুর ও সিলেটের ছাতকে পোর্ট অব কল সুবিধা চেয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় আপাতত তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। ভবিষ্যতে ভারতের এই প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে ৩৫ হাজার টন খাদ্যশস্য ত্রিপুরায় নিয়ে যেতে চায় ভারত। আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে আর বাকিটা সড়কপথে এই চালান নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। মানবিক কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য নেওয়ার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বৈঠকে তোলা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেহেতু বিষয়টি বিবেচনায় সুযোগের কথা বলা হচ্ছে, তাই সরকারের উচ্চমহল থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
এ ছাড়া ভারত যেসব সুবিধা চেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—আশুগঞ্জ বন্দরকে ট্রানশিপমেন্ট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে খোলা (বাল্ক) পণ্য চলাচল সুবিধা, আখাউড়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, নারায়ণগঞ্জ-করিমগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ-দইখাওয়া নৌপথে রাত্রিকালীন চলাচল সুবিধা নিশ্চিত করা, আশুগঞ্জ বন্দর হয়ে কলকাতা থেকে আগরতলায় বাল্কপণ্য নেওয়ার সুবিধা, নৌপথের যেকোনো স্থান থেকে এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে পণ্য স্থানান্তরের সুবিধা, করিমগঞ্জগামী পণ্যের চালানে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিডি) অনুমোদন-প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, মংলা সমুদ্রবন্দর এলাকায় স্থলবন্দর নির্মাণ, নৌপথের সংখ্যা বাড়ানো।
ভারতের এসব প্রস্তাবে সরাসরি দ্বিমত না করলেও আরও পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
পণ্যবাহী জাহাজ আসা, বন্দরে ভিড়ে পণ্য ওঠানো-নামানোসহ বিভিন্ন মাশুল হিসেবে ১৯৮১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ভারতের কাছে ৩১ লাখ ২৩ হাজার ১৩০ টাকা ১১ পয়সা পাওনা রয়েছে বাংলাদেশের। বৈঠকে বকেয়া পরিশোধের দাবি করা হলে ভারত শিগগিরই তা পরিশোধ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকেও বকেয়া পরিশোধের তাগিদ দিলেও একইভাবে আশ্বাস দিয়েছিল ভারত। কিন্তু এখনো বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি।
বৈঠকের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত সড়কপথ নির্মাণ ও নৌপথের নাব্যতা ধরে রাখতে নদী খননের কাজটি অনুদান হিসেবে করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতীয় প্রতিনিধিরা বিষয়টি তাঁদের নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
গত রোববার থেকে বৈঠকটি চলেছে। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম সি জাওহরি। দ্বিতীয় দিনের দীর্ঘ বৈঠকের পর রাত ১০টার দিকে বৈঠকের কার্যপত্রে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন দুই দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানেরা।
প্রতি দুই বছর অন্তর নৌ-প্রটোকল নবায়ন করা হয়ে থাকে। আগামী ৩১ মার্চ প্রটোকলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নবায়নের আগে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে নবায়ন কমিটির বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করা হবে।
No comments