সিলেটে আদিবাসী সম্মেলন উদ্বোধন-সব মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান
এ দেশের মালিক এ দেশেরই জনগণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত নতুন প্রজন্মকে সব মানুষের মর্যাদা আর অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকতে হবে। এ আহ্বানের মধ্য দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী ‘আদিবাসী ও পরিবেশ সম্মেলন’ (কনভেনশন ২০১২) গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।
নিজেদের ভাষায় ‘লালফামি থাকাং’ (বিপ্লবী অভিনন্দন) ব্যানার নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেয় মণিপুরি ছাত্রসংগঠন। ‘আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই’, ‘পরিবেশ ও প্রকৃতি বিপন্নের হাত থেকে রক্ষা করো’ প্রভৃতি দাবির ব্যানার নিয়ে সম্মেলনে অংশ নেয় খাসিয়া, হাজং, ওঁরাও, ত্রিপুরাসহ সিলেটের পাত্র ও মণিপুরি সম্প্রদায়। তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক আর জীবন ও সাংস্কৃতিক আদি-ঐতিহ্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে অন্য রকম রূপ পায় অনুষ্ঠানস্থল।
সিলেট ছাড়াও মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে বসবাসকারী পাঁচ শতাধিক আদিবাসী প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, লেখক-শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ আদিবাসী সংগঠনগুলোর নেতারা একাত্ম হন। শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
মুক্তমঞ্চে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন আদিবাসী সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহ উদ্দিন। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) যৌথ আয়োজনে পরিবেশ ও আদিবাসী নিয়ে এ সম্মেলন চলবে কাল শনিবার পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সুলতানা কামাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ দেশের মানুষ এমন একটা রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখতে চায়, যার মধ্য দিয়ে প্রতিটি মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকারের স্বীকৃতি পাবে। তা রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্র ও সরকার দায়বদ্ধ থাকবে।
আদিবাসী সম্মেলন প্রসঙ্গে সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের আদিবাসী যে জনগোষ্ঠী আছে, তাদের কাছ থেকে প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের শেখার আছে।’
উদ্বোধনী অধিবেশনের পরপরই ক্যাম্পাসে প্রতীকী আদিবাসীপল্লির প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সুলতানা কামাল। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ অতিথিরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
ক্যাম্পাসে আদিবাসীদের প্রদর্শনী স্টলে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর পাশাপাশি নানা উদ্ভাবনযন্ত্র, চাষ করা ফলসহ আদিবাসী জীবনধারা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিকেলে মুক্তমঞ্চে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আজ ‘বাগ্মি সাস্ট’ নির্বাচন করতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট ছাড়াও মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে বসবাসকারী পাঁচ শতাধিক আদিবাসী প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, লেখক-শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ আদিবাসী সংগঠনগুলোর নেতারা একাত্ম হন। শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
মুক্তমঞ্চে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন আদিবাসী সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহ উদ্দিন। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) যৌথ আয়োজনে পরিবেশ ও আদিবাসী নিয়ে এ সম্মেলন চলবে কাল শনিবার পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সুলতানা কামাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ দেশের মানুষ এমন একটা রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখতে চায়, যার মধ্য দিয়ে প্রতিটি মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকারের স্বীকৃতি পাবে। তা রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্র ও সরকার দায়বদ্ধ থাকবে।
আদিবাসী সম্মেলন প্রসঙ্গে সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের আদিবাসী যে জনগোষ্ঠী আছে, তাদের কাছ থেকে প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের শেখার আছে।’
উদ্বোধনী অধিবেশনের পরপরই ক্যাম্পাসে প্রতীকী আদিবাসীপল্লির প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সুলতানা কামাল। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ অতিথিরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
ক্যাম্পাসে আদিবাসীদের প্রদর্শনী স্টলে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর পাশাপাশি নানা উদ্ভাবনযন্ত্র, চাষ করা ফলসহ আদিবাসী জীবনধারা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিকেলে মুক্তমঞ্চে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আজ ‘বাগ্মি সাস্ট’ নির্বাচন করতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
No comments