কুমিল্লা সীমান্ত-বিজিবির সদস্যকে ভারতে নিয়ে গেছে চোরাকারবারিরা
কুমিল্লায় ভারতীয় সীমান্তবর্তী দলকুঁইয়া গ্রামে গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে ভারতীয় চোরাকারবারিদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ভারতীয় এক ফেনসিডিল ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলে নিহত হয়। চোরাকারবারিরা এ ঘটনার পর বিজিবির এক হাবিলদারকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ধরে নিয়ে যায়। তবে প্রাথমিক খবরের উল্লেখ করে দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিজিবির ওই সদস্য নিজেই ‘কোনোভাবে’ বিএসএফের কাছে আশ্রয় নেন।
এ ব্যাপারে বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ের সঙ্গে কথা বলে বিজিবি সদস্যকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনা নিয়ে আজ (শুক্রবার) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আজ রাতের মধ্যেই ওই বিজিবির সদস্যকে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী আমরা ঘটনাটি তদন্ত করব।’
এর আগে গতকাল দুপুরে বিজিবির হাবিলদার লুৎফর রহমানকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ৫০-৬০ জনের একদল চোরাচালানিকে বিজিবির টহল দল আসতে বাধা দেয়। তখন তারা আক্রমণ চালালে বিজিবি বাধ্য হয়ে গুলি করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বলেন, আক্রমণের মুখে বিজিবির একজন সদস্য কোনোভাবে বিএসএফের কাছে আশ্রয় নেন। তাঁকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে পতাকা বৈঠকে কথা হচ্ছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল সকাল পৌনে সাতটার দিকে তাদের একটি দল সদর দক্ষিণ উপজেলার বৌয়ারা সীমান্তচৌকি-সংলগ্ন দলকুঁইয়া গ্রামে টহল দিচ্ছিল। এ সময় জনৈক শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল ভারতীয় চোরাকারবারি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ফেনসিডিল নিয়ে প্রবেশ করে। বিজিবির সদস্যরা ওই ফেনসিডিল আটক করতে গেলে চোরাকারবারিরা তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে শাহ আলম ঘটনাস্থলে নিহত হন।
বিজিবির ওই সূত্র জানায়, ভারতীয় চোরাকারবারিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাবিলদার লুৎফর রহমানকে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বেলা একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত পতাকা বৈঠক হয়। কিন্তু এতে হাবিলদার লুৎফরের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বিজিবির টহল জোরদার করা হয়।
বাংলাদেশি এক তরুণকে বিএসএফের ভারতীয় ভূখণ্ডে আটক করে নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার দুই দিন পরই এ ঘটনা ঘটল। গত ৯ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ সীমান্তে চোরাকারবারি অভিযোগে আটকের পর হাবিবুর রহমান নামের এক বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফের সদস্যরা ব্যাপক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার পর পুশব্যাক করেন।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনা নিয়ে আজ (শুক্রবার) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আজ রাতের মধ্যেই ওই বিজিবির সদস্যকে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী আমরা ঘটনাটি তদন্ত করব।’
এর আগে গতকাল দুপুরে বিজিবির হাবিলদার লুৎফর রহমানকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ৫০-৬০ জনের একদল চোরাচালানিকে বিজিবির টহল দল আসতে বাধা দেয়। তখন তারা আক্রমণ চালালে বিজিবি বাধ্য হয়ে গুলি করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বলেন, আক্রমণের মুখে বিজিবির একজন সদস্য কোনোভাবে বিএসএফের কাছে আশ্রয় নেন। তাঁকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে পতাকা বৈঠকে কথা হচ্ছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল সকাল পৌনে সাতটার দিকে তাদের একটি দল সদর দক্ষিণ উপজেলার বৌয়ারা সীমান্তচৌকি-সংলগ্ন দলকুঁইয়া গ্রামে টহল দিচ্ছিল। এ সময় জনৈক শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল ভারতীয় চোরাকারবারি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ফেনসিডিল নিয়ে প্রবেশ করে। বিজিবির সদস্যরা ওই ফেনসিডিল আটক করতে গেলে চোরাকারবারিরা তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে শাহ আলম ঘটনাস্থলে নিহত হন।
বিজিবির ওই সূত্র জানায়, ভারতীয় চোরাকারবারিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাবিলদার লুৎফর রহমানকে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বেলা একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত পতাকা বৈঠক হয়। কিন্তু এতে হাবিলদার লুৎফরের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বিজিবির টহল জোরদার করা হয়।
বাংলাদেশি এক তরুণকে বিএসএফের ভারতীয় ভূখণ্ডে আটক করে নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার দুই দিন পরই এ ঘটনা ঘটল। গত ৯ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ সীমান্তে চোরাকারবারি অভিযোগে আটকের পর হাবিবুর রহমান নামের এক বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফের সদস্যরা ব্যাপক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার পর পুশব্যাক করেন।
No comments