ভেজাল খাদ্যদ্রব্য, প্রসাধনী ও ওষুধ-কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি
'কত কিছু খাই, ভস্ম আর ছাই'_ডি এল রায়ের (দ্বিজেন্দ্র লাল রায়) এই বিখ্যাত গানের পঙ্ক্তিটির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতার অমিল খুঁজে পাওয়া ভার। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে জীবনরক্ষাকারী ওষুধে পর্যন্ত ভেজাল দিয়ে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ শক্তিশালী চক্রের কারসাজি।
ভেজাল রোধে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলেও এর ইতিবাচক প্রভাব এখনো আশাপ্রদ নয়। 'গুরু পাপে লঘু দণ্ড' মাথায় নিয়ে অপচক্র আবার ফিরে যাচ্ছে পুরনো বৃত্তে। বিদ্যমান বাস্তবতায় এটি প্রতীয়মান হয়, এ জন্য আইনের সংশোধন করে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ ভিন্ন এ থেকে রক্ষার কোনো বিকল্প পথ নেই।
২৯ অক্টোবর কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত সচিত্র প্রতিবেদনে পুনর্বার যে তথ্যচিত্র ফুটে উঠেছে, তা শুধু উদ্বেগজনকই নয়, যুগপৎ প্রশ্নবোধকও। নকল আর ভেজালে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভেজালের ছড়াছড়ির কারণে জনস্বাস্থ্য পড়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে। নামিদামি কম্পানির প্রসাধনী নকল করে বাজারজাত করছে কয়েকটি চক্র। পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তাদের গোপন আস্তানা। ইতিমধ্যে কয়েকটি চক্র আইনি সংস্থার সদস্যদের হাতে ধরাও পড়েছে বটে। কিন্তু নকল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদে যে দণ্ড প্রদান করা হচ্ছে, তা একেবারেই লঘু। জনস্বার্থে এ আইনের সংশোধনী জরুরি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে দরকার আইনি সংস্থার ও প্রশাসনিক লোকজনের সব কিছুর ঊধর্ে্ব উঠে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া। অভিযোগ আছে, অসাধু কতিপয় কর্মকর্তার সঙ্গে এসব অশুভ চক্রের সদস্যদের রয়েছে গোপন যোগাযোগ। এ দিকটায়ও কঠোরভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থার লোকজনের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই বিষবৃক্ষের সমূলে উৎপাটনই হতে হবে মূল লক্ষ্য। ডালপালা ছেঁটে কোনো লাভ নেই, অপকর্মের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে হবে অর্থাৎ উৎসের সন্ধান জরুরি। যে ওষুধ জীবন বাঁচায়, সেই ওষুধ পর্যন্ত নকল হচ্ছে এবং ভেজাল ও নকল ওষুধের বিস্তার ঘটছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে নকল ওষুধ শনাক্ত করা দুরূহ। মানুষের জীবন-মরণ সমস্যা নিয়ে যারা তুঘলকি কাণ্ড চালিয়ে নিজেদের উদরপূর্তি করছে তারা জনশত্রু। এই জনশত্রুদের বিরুদ্ধে সব কিছুর ঊধর্ে্ব উঠে কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে। ওষুধ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের এই ব্যর্থতার দায় এড়ানোর কোনোই অবকাশ নেই।
ব্যবস্থার পরিবর্তন না করে অবস্থার পরিবর্তন চিন্তা অলীক কল্পনা মাত্র। সর্বাগ্রে ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার। ব্যবস্থা বদলালে অবস্থা এমনিতেই পাল্টে যাবে। ভেজাল খাদ্যদ্রব্য, প্রসাধনী ও ওষুধ নিয়ে যারা প্রতারণা করছে তাদের অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর এবং এ জন্য প্রয়োজন কঠোর প্রতিকার। কঠোর প্রতিকারের রাস্তা প্রশস্ত করে সে পথেই হাঁটতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে এবং তা একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া হিসেবে চালাতে হবে। দেশের বাজার ভেজালে সয়লাব_এ বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এ ব্যাপারে কোনো রকম উদাসীনতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে থাকলে এর বিরূপ প্রভাব হবে বহুমুখী এবং গোটা সমাজ আক্রান্ত হবে ভয়াবহ ব্যাধিতে। দ্রুত এই অপকর্মের অবসান ঘটাতে চাই সাঁড়াশি অভিযান।
২৯ অক্টোবর কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত সচিত্র প্রতিবেদনে পুনর্বার যে তথ্যচিত্র ফুটে উঠেছে, তা শুধু উদ্বেগজনকই নয়, যুগপৎ প্রশ্নবোধকও। নকল আর ভেজালে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভেজালের ছড়াছড়ির কারণে জনস্বাস্থ্য পড়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে। নামিদামি কম্পানির প্রসাধনী নকল করে বাজারজাত করছে কয়েকটি চক্র। পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তাদের গোপন আস্তানা। ইতিমধ্যে কয়েকটি চক্র আইনি সংস্থার সদস্যদের হাতে ধরাও পড়েছে বটে। কিন্তু নকল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদে যে দণ্ড প্রদান করা হচ্ছে, তা একেবারেই লঘু। জনস্বার্থে এ আইনের সংশোধনী জরুরি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে দরকার আইনি সংস্থার ও প্রশাসনিক লোকজনের সব কিছুর ঊধর্ে্ব উঠে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া। অভিযোগ আছে, অসাধু কতিপয় কর্মকর্তার সঙ্গে এসব অশুভ চক্রের সদস্যদের রয়েছে গোপন যোগাযোগ। এ দিকটায়ও কঠোরভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থার লোকজনের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই বিষবৃক্ষের সমূলে উৎপাটনই হতে হবে মূল লক্ষ্য। ডালপালা ছেঁটে কোনো লাভ নেই, অপকর্মের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে হবে অর্থাৎ উৎসের সন্ধান জরুরি। যে ওষুধ জীবন বাঁচায়, সেই ওষুধ পর্যন্ত নকল হচ্ছে এবং ভেজাল ও নকল ওষুধের বিস্তার ঘটছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে নকল ওষুধ শনাক্ত করা দুরূহ। মানুষের জীবন-মরণ সমস্যা নিয়ে যারা তুঘলকি কাণ্ড চালিয়ে নিজেদের উদরপূর্তি করছে তারা জনশত্রু। এই জনশত্রুদের বিরুদ্ধে সব কিছুর ঊধর্ে্ব উঠে কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে। ওষুধ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের এই ব্যর্থতার দায় এড়ানোর কোনোই অবকাশ নেই।
ব্যবস্থার পরিবর্তন না করে অবস্থার পরিবর্তন চিন্তা অলীক কল্পনা মাত্র। সর্বাগ্রে ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার। ব্যবস্থা বদলালে অবস্থা এমনিতেই পাল্টে যাবে। ভেজাল খাদ্যদ্রব্য, প্রসাধনী ও ওষুধ নিয়ে যারা প্রতারণা করছে তাদের অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর এবং এ জন্য প্রয়োজন কঠোর প্রতিকার। কঠোর প্রতিকারের রাস্তা প্রশস্ত করে সে পথেই হাঁটতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে এবং তা একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া হিসেবে চালাতে হবে। দেশের বাজার ভেজালে সয়লাব_এ বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এ ব্যাপারে কোনো রকম উদাসীনতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে থাকলে এর বিরূপ প্রভাব হবে বহুমুখী এবং গোটা সমাজ আক্রান্ত হবে ভয়াবহ ব্যাধিতে। দ্রুত এই অপকর্মের অবসান ঘটাতে চাই সাঁড়াশি অভিযান।
No comments