ভিন্নমত-শেয়ারবাজার : রেগুলেটর এসইসি এখনো ভুল করছে by আবু আহমেদ
শেয়ারবাজারের রেগুলেটর বা তদারককারী সংস্থা হলো এসইসি। এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে, যখন শেয়ারবাজার অনেক ছোট ছিল এবং যখন শেয়ারবাজার ঘিরে কিছু লোক এত কূটকৌশল জানত না। সেই এসইসি প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিনিয়োগকারীদের দাবির মুখে। এবং সেই দাবি আর আন্দোলনে আমি পুরোধা ছিলাম। অনেক বাধা এসেছিল।
ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ থেকে বলা হচ্ছিল, এত ছোট বাজারের জন্য একটা পূর্ণাঙ্গ রেগুলেটর কী দরকার? আসলে তাদের ভয় ছিল ওই প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হলে যদি তাদের ক্ষমতা ও সুবিধা কমে যায়। এর আগে শেয়ারবাজার বলতে বোঝাত শুধু ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ এবং ওই এঙ্চেঞ্জের সম্মানিত সদস্যরা যা করবে তা। তখন আমি একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে রীতিমতো লিখতাম। ভিন্ন ধাঁচের লিখতাম বলে অল্পদিনের মধ্যে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
কখনো মন্ত্রী-এমপিদের দাওয়াত করে এনে শত শত বিনিয়োগকারীকে সামনে পেশ করতাম শেয়ারবাজারে সংস্কারের কথা বোঝানোর জন্য। কখনো গোলটেবিল বৈঠকও অনুষ্ঠান করেছি। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আজকের মরহুম সাইফুর রহমান আমাদের পেশ করা সংস্কারগুলোর প্রয়োজন এবং যথার্থতা অনুভব করেছিলেন। সেদিন তাঁর সামনে বলেছিলাম, বর্ধিষ্ণু শেয়ারবাজার দেখভাল করার জন্য একটি স্বাধীন সংস্থা দরকার, যে সংস্থার ক্ষমতা থাকবে শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় রেগুলেশন জারি করা, আইন ভাঙলে জরিমানা করা এবং প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা। আরো বলেছিলাম, ওই কমিশনের সদস্যদের পদ যাতে সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদার নিচে না হয়। তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন একজন চৌকস সিএসপি। তিনিও একটা কমিশনের গুরুত্ব বুঝতে পারলেন।
অন্তত এটা বুঝতে সক্ষম হলেন যে শেয়ারবাজার যেহেতু বড় হচ্ছে, সে জন্য এই বাজারকে রেগুলেট করার জন্য সচিবালয়ের নবম তলায় অবস্থিত কন্ট্রোলার অব ক্যাপিটাল ইস্যুজ বা সিসিআইয়ের অফিস যথেষ্ট নয়। মন্ত্রী মহোদয় রাজি হলেন, সচিব মহোদয় রাজি হলেন বটে। ১৯৯৩-এর মাঝামাঝি সময়ে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা দিয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন বা এসইসি স্থাপিত হলো। কমিশন তো হলো, কিন্তু এটাকে স্টাপিং করার জন্য উপযুক্ত লোকজন কোথায়। একজন অবসরপ্রাপ্ত সিএসপি অফিসারকে ওই কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁকে সহায়তা করার জন্য দুজন সিএকে সদস্যপদে নিয়োগ দান করা হয়। আর খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে বোধ করি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। ইতিমধ্যে ১৯৯৬ সাল এসে গেল। সরকার বদল হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এল। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, ওই কমিশনের সামনেই আমাদের শেয়ারবাজারে প্রথম কেলেঙ্কারি ঘটে গেল।
ঢাকার রাস্তায় বিদেশিরাও বহু মূল্যে শেয়ার নামের হাজার হাজার কাগজ বেচে দিল। কিনল সেই অবুঝ ও নির্বোধ কথিত বিনিয়োগকারীরা, যাদের সামনে ধারণা দেওয়া হলো শেয়ার মানেই অমূল্য সম্পদ, এর মূল্য শুধু বাড়তেই থাকবে। ২০ অক্টোবর ১৯৯৬ থেকে শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক ৩৬৬০ বা এ রকম স্তর থেকে বিপরীতমুখো প্রবাহিত হতে লাগল। ৫০০ পয়েন্ট বাড়ল, তারপর ১০০০ পয়েন্ট, তারপর আরো বেশি, তারপর আরো বেশি এবং শেষে এসে সূচক থামল ৭০০-এ। ডিএসইতে বেচাকেনা হতো ৩০-৪০ কোটি টাকার। ১০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার ছিল। সেই সময় যিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনি একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন বটে, কিন্তু শেয়ারবাজারের জ্ঞানে সমৃদ্ধ ছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি বলে ফেললেন, 'শেয়ারবাজার কী জিনিস আমি বুঝি না।' এ নিয়ে বাজারে অনেক কানাঘুষা চলত। তবু তিনি দৃঢ়চিত্তের মানুষ ছিলেন। কিছু লোকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিলেন। তাঁর সময়ে এসইসির সংস্কারগুলো শুরু হয় এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ওই সব সংস্কারে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স দেয়। ইতিমধ্যে আরেকজন মেধাবী মানুষের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জ স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালে।
প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মূলত বর্তমান বিএনপি নেতা এবং পরবর্তী সময়ে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু চৌধুরী। তাঁর উদ্যোগে সিএসই অটোমেশনেও যায় এবং কাগজবিহীন স্টকের বা শেয়ারের ধারণা তিনিই প্রথম দেন। ১৯৯৬-এর সেই মহাকেলেঙ্কারির ধাক্কা সামাল দিতে আমাদের বাজার ছয় বছর সময় নেয়। লন্ডনের ঃযব ঊপড়হড়সরংঃ সাময়িকী সেদিন লিখেছিল, ঢাকার রাস্তায় নিরপরাধ বিনিয়োগকারীদের জবাই করা হয়েছে। যারা জবাই হয়েছে, তারা আর কোনো দিন হারানো অর্থ ফেরত পায়নি। তবে ২০০১-০২ থেকে বাজারটা আবার ঘুরে দাঁড়াতে লাগল। কিন্তু ২০১০-এ এসে ভিন্ন আঙ্গিকে আবার এক মহাকেলেঙ্কারি ঘটল। আল্লাহ জানেন এর থেকে রক্ষা পেতে আর কত দিন সময় লাগে। তবে একটা সত্য হলো, ১৯৯৬-এ এসইসির অজ্ঞতা এবং ক্ষেত্রবিশেষে সহযোগিতা নিয়ে ওই কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে, আর ২০১০-এ এসইসির সাহায্য ও সহযোগিতায় শেয়ারবাজার লুণ্ঠনের আয়োজনটা ঘটল। আজকের সরকার চাপের মুখে এসইসি পুনর্গঠনের ঘোষণা দিল বটে, কিন্তু বাস্তবে এই সংস্থা কি পুনর্গঠিত হয়েছে? পাঁচটি লোককে বিদায় করে আর পাঁচটি লোককে নিয়োগ দিলেই কি পুনর্গঠন হয়ে গেল?
বর্তমান এসইসিও আমাদের স্বপ্নের এসইসি থেকে বহু দূরে। আজও এসইসি ভুল করে চলেছে। তা না হলে যাঁরা ডিএসই ও সিএসই বোর্ডে থাকার কথা নয়, তাঁদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগের অনুমতি দিল কী করে? ঈড়হভষরপঃ ড়ভ ওহঃবৎবংঃ বলতে একটা কথা আছে। এসইসি কি বিষয়টি দেখেছে? অন্য কথা হলো আইপিও প্রাইসিং। আজও এসইসি আইপিওকে অতিমূল্যে আসতে দিচ্ছে। একটা আইপিও ফ্লপ করলে পুরো আইপিও বাজারই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইস্যু ম্যানেজার কয়েক শ পৃষ্ঠার সুন্দর সুন্দর কাগজ তৈরি করে দেয় আর ওই কাগজের ওপর নির্ভর করে আইপিওকে অতিমূল্যে বাজারে ছাড়তে দেওয়া কতটা যৌক্তিক? এসইসির কী জনবল আছে, যারা সরেজমিনে গিয়ে দেখে আসবে যে কম্পানি প্রিমিয়ামে আইপিও বেচেছে, ওই কম্পানির আসল অবস্থাটা কী?
লেখক : অর্থনীতিবিদ, শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কখনো মন্ত্রী-এমপিদের দাওয়াত করে এনে শত শত বিনিয়োগকারীকে সামনে পেশ করতাম শেয়ারবাজারে সংস্কারের কথা বোঝানোর জন্য। কখনো গোলটেবিল বৈঠকও অনুষ্ঠান করেছি। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আজকের মরহুম সাইফুর রহমান আমাদের পেশ করা সংস্কারগুলোর প্রয়োজন এবং যথার্থতা অনুভব করেছিলেন। সেদিন তাঁর সামনে বলেছিলাম, বর্ধিষ্ণু শেয়ারবাজার দেখভাল করার জন্য একটি স্বাধীন সংস্থা দরকার, যে সংস্থার ক্ষমতা থাকবে শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় রেগুলেশন জারি করা, আইন ভাঙলে জরিমানা করা এবং প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা। আরো বলেছিলাম, ওই কমিশনের সদস্যদের পদ যাতে সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদার নিচে না হয়। তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন একজন চৌকস সিএসপি। তিনিও একটা কমিশনের গুরুত্ব বুঝতে পারলেন।
অন্তত এটা বুঝতে সক্ষম হলেন যে শেয়ারবাজার যেহেতু বড় হচ্ছে, সে জন্য এই বাজারকে রেগুলেট করার জন্য সচিবালয়ের নবম তলায় অবস্থিত কন্ট্রোলার অব ক্যাপিটাল ইস্যুজ বা সিসিআইয়ের অফিস যথেষ্ট নয়। মন্ত্রী মহোদয় রাজি হলেন, সচিব মহোদয় রাজি হলেন বটে। ১৯৯৩-এর মাঝামাঝি সময়ে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা দিয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন বা এসইসি স্থাপিত হলো। কমিশন তো হলো, কিন্তু এটাকে স্টাপিং করার জন্য উপযুক্ত লোকজন কোথায়। একজন অবসরপ্রাপ্ত সিএসপি অফিসারকে ওই কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁকে সহায়তা করার জন্য দুজন সিএকে সদস্যপদে নিয়োগ দান করা হয়। আর খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে বোধ করি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। ইতিমধ্যে ১৯৯৬ সাল এসে গেল। সরকার বদল হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এল। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, ওই কমিশনের সামনেই আমাদের শেয়ারবাজারে প্রথম কেলেঙ্কারি ঘটে গেল।
ঢাকার রাস্তায় বিদেশিরাও বহু মূল্যে শেয়ার নামের হাজার হাজার কাগজ বেচে দিল। কিনল সেই অবুঝ ও নির্বোধ কথিত বিনিয়োগকারীরা, যাদের সামনে ধারণা দেওয়া হলো শেয়ার মানেই অমূল্য সম্পদ, এর মূল্য শুধু বাড়তেই থাকবে। ২০ অক্টোবর ১৯৯৬ থেকে শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক ৩৬৬০ বা এ রকম স্তর থেকে বিপরীতমুখো প্রবাহিত হতে লাগল। ৫০০ পয়েন্ট বাড়ল, তারপর ১০০০ পয়েন্ট, তারপর আরো বেশি, তারপর আরো বেশি এবং শেষে এসে সূচক থামল ৭০০-এ। ডিএসইতে বেচাকেনা হতো ৩০-৪০ কোটি টাকার। ১০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার ছিল। সেই সময় যিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনি একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন বটে, কিন্তু শেয়ারবাজারের জ্ঞানে সমৃদ্ধ ছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি বলে ফেললেন, 'শেয়ারবাজার কী জিনিস আমি বুঝি না।' এ নিয়ে বাজারে অনেক কানাঘুষা চলত। তবু তিনি দৃঢ়চিত্তের মানুষ ছিলেন। কিছু লোকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিলেন। তাঁর সময়ে এসইসির সংস্কারগুলো শুরু হয় এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ওই সব সংস্কারে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স দেয়। ইতিমধ্যে আরেকজন মেধাবী মানুষের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জ স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালে।
প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মূলত বর্তমান বিএনপি নেতা এবং পরবর্তী সময়ে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু চৌধুরী। তাঁর উদ্যোগে সিএসই অটোমেশনেও যায় এবং কাগজবিহীন স্টকের বা শেয়ারের ধারণা তিনিই প্রথম দেন। ১৯৯৬-এর সেই মহাকেলেঙ্কারির ধাক্কা সামাল দিতে আমাদের বাজার ছয় বছর সময় নেয়। লন্ডনের ঃযব ঊপড়হড়সরংঃ সাময়িকী সেদিন লিখেছিল, ঢাকার রাস্তায় নিরপরাধ বিনিয়োগকারীদের জবাই করা হয়েছে। যারা জবাই হয়েছে, তারা আর কোনো দিন হারানো অর্থ ফেরত পায়নি। তবে ২০০১-০২ থেকে বাজারটা আবার ঘুরে দাঁড়াতে লাগল। কিন্তু ২০১০-এ এসে ভিন্ন আঙ্গিকে আবার এক মহাকেলেঙ্কারি ঘটল। আল্লাহ জানেন এর থেকে রক্ষা পেতে আর কত দিন সময় লাগে। তবে একটা সত্য হলো, ১৯৯৬-এ এসইসির অজ্ঞতা এবং ক্ষেত্রবিশেষে সহযোগিতা নিয়ে ওই কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে, আর ২০১০-এ এসইসির সাহায্য ও সহযোগিতায় শেয়ারবাজার লুণ্ঠনের আয়োজনটা ঘটল। আজকের সরকার চাপের মুখে এসইসি পুনর্গঠনের ঘোষণা দিল বটে, কিন্তু বাস্তবে এই সংস্থা কি পুনর্গঠিত হয়েছে? পাঁচটি লোককে বিদায় করে আর পাঁচটি লোককে নিয়োগ দিলেই কি পুনর্গঠন হয়ে গেল?
বর্তমান এসইসিও আমাদের স্বপ্নের এসইসি থেকে বহু দূরে। আজও এসইসি ভুল করে চলেছে। তা না হলে যাঁরা ডিএসই ও সিএসই বোর্ডে থাকার কথা নয়, তাঁদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগের অনুমতি দিল কী করে? ঈড়হভষরপঃ ড়ভ ওহঃবৎবংঃ বলতে একটা কথা আছে। এসইসি কি বিষয়টি দেখেছে? অন্য কথা হলো আইপিও প্রাইসিং। আজও এসইসি আইপিওকে অতিমূল্যে আসতে দিচ্ছে। একটা আইপিও ফ্লপ করলে পুরো আইপিও বাজারই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইস্যু ম্যানেজার কয়েক শ পৃষ্ঠার সুন্দর সুন্দর কাগজ তৈরি করে দেয় আর ওই কাগজের ওপর নির্ভর করে আইপিওকে অতিমূল্যে বাজারে ছাড়তে দেওয়া কতটা যৌক্তিক? এসইসির কী জনবল আছে, যারা সরেজমিনে গিয়ে দেখে আসবে যে কম্পানি প্রিমিয়ামে আইপিও বেচেছে, ওই কম্পানির আসল অবস্থাটা কী?
লেখক : অর্থনীতিবিদ, শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
No comments