স্থবির বর্ডার হাট : প্রয়োজন আইন ও পণ্য তালিকার সংস্কার by এস এম আব্রাহাম লিংকন
গত ২৩ জুলাই ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম বর্ডার হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রৌমারীর বালিয়ামারীতে। ২২ জুলাই বিকেল থেকেই হাজার হাজার মানুষের ভিড় ছিল। রৌমারী, রাজিবপুর, এমনকি পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার মানুষজনও উদ্গ্রীব ছিল তাদের জীবনের একটি মূল্যবান দিক উন্মোচনের অপেক্ষায়। বর্ডার হাটের অবস্থান মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের পাদদেশে, যা জিঞ্জিরাম নদী দ্বারা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পৃথক্করণের চিহ্ন বহন করছে।
জিঞ্জিরাম অতিক্রম করেই বাংলাদেশিদের হাটে প্রবেশ করতে হয়। আয়তনে ছোট হলেও জিঞ্জিরামের প্রবল স্রোত নিত্য আর্কষণ করে সীমান্তের উভয় পারের মানুষদের। জিঞ্জিরাম উভয় কূলের নাগরিকদের সুখ-দুঃখের নিত্যসহচর। ১৯৭৩ সালে এই নদীতীরেই মেঘালয়ের কোলজুড়ে একবার বসেছিল বর্ডার হাট। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তা বেশিদিন অব্যাহত থাকেনি। সেই বর্ডার হাট দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আবার চালু হয়েছে। এটি স্থানীয়দের জন্য তো বটেই, উভয় দেশের জন্যও সুখকর ছিল। সেদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক মেঘালয় সরকার পারঙ্গমতার স্বাক্ষর রেখেছে। তারা আন্তরিক ছিল, তারা ভারতীয় এলাকাটি পতাকায় সুশোভিত করেছিল। একেবারে পাহাড়ের পাদদেশজুড়ে হাজারো পতাকা লাগিয়ে সমগ্র এলাকাই করে তুলেছিল উৎসবমুখর। তারা উৎসবমুখর হলেও আমাদের দেশের আয়োজকদের অবস্থা ছিল দীনহীন, দরিদ্র। আমাদের যাত্রাপথে কোনো তোরণ তো দূরে থাক, রংবেরঙের দু-একটি পতাকা থাকলেও সম্মান থাকত। আমরা যদি পারাপারের ব্রিজটি একটু সাজাতাম, তাহলেও দীনতা ঘুচত। আমাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এ রকম আয়োজন কর্তব্যের পর্যায়ে ছিল। সেদিন পাহাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতীয় এবং জিঞ্জিরামের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার বাংলাদেশি যেমন আশা নিয়ে হাজির ছিল, অনুরূপভাবে অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা এ হাটের সাফল্যেও প্রত্যাশা করেছেন। অনুষ্ঠান চলাকালে প্রবল বৃষ্টিকে সফলতার ইঙ্গিত বলে ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা উল্লেখ করেছেন। মনে পড়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই গানের চরণ_বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি...। সমগ্র অনুষ্ঠানে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার ভূমিকা, বিশেষ করে তাঁর ইংরেজি ও হিন্দি শেষে বাংলায় প্রদত্ত বক্তব্য সমগ্র অনুষ্ঠানকে নতুন মাত্রা দেয়। কারণ তাঁর মাতৃভাষা বাংলা নয়, তাঁর অবস্থানও বাংলাভাষীদের কাছাকাছি নয়, কিন্তু বাংলায় সাবলীল বক্তব্য আমন্ত্রিত অতিথিদের তারিফের কারণ ছিল।
অনুষ্ঠানে আগত মানুষের মধ্যে গভীর আগ্রহ ছিল উদ্বোধনের দিনই হাটে উভয় দেশের উৎপাদিত পণ্যের পসরা দেখতে পারার। অতিথিদের প্রবল প্রত্যাশা ছিল, কিছু একটা স্যুভেনির বা স্মৃতিস্মারক তাঁরা পরিবারের জন্য নিয়ে যেতে পারবেন। সে গুড়ে বালি। প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কারণ সেদিন নির্ধারিত হাটের দিন না হওয়ায় তালিকাভুক্ত বিক্রেতারা পণ্যের পসরা নিয়ে বসেনি। যখন এ নিবন্ধটি লিখছি, তখন হাট চালুর তিন মাস পূর্ণ হয়েছে। যাঁরা অতি উৎসাহী হয়ে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আগ্রহের বেশ ভাটা। শুধু এলাকার মানুষজনেরই নয়, সমগ্র এলাকাবাসীর আগ্রহ ছিল, তারা উভয় দেশের উৎপাদিত কৃষি ও শিল্পপণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। যারা ব্যবসায়ী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই হাটে যায় না। যারা যায় তারা অলস সময় কাটায়। আবার যেসব পণ্য নিয়ে যায় তা বিক্রি না হলে ফিরিয়ে আনা আরো অনেক অর্থের ব্যাপার। হাটের দায়িত্বে নিয়োজিত রাজিবপুর থানার সমবায় অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মজিবর রহমান জানান, প্রতি হাটে বাংলাদেশের ২০০ ব্যাগের মতো সুপারি এবং ভারতের ৩০০-৪০০ ব্যাগ আদা বিক্রি হয়। গত তিন মাসের চিত্র পর্যালোচনা করলে পরিষ্কার বোঝা যায়, জনগণের সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। গত বর্ষায় হাটে যাওয়ার জন্য জিঞ্জিরাম নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি ভেসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে হাটে যেতে হলে নৌকার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এমনকি বর্ষার সময় উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে কিছুদিনের জন্য হাট কার্যক্রম বন্ধও ছিল। এখন চলছে দীনহীন অবস্থায়।
বর্ডার হাটের যে পণ্যতালিকা দেওয়া হয়েছে, তা জনগণের চাহিদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। একসময় গারো পাহাড়ের বাঙ্গিফল বা কাঁঠাল আমাদের কাছে আর্কষণীয় ছিল। দীর্ঘদিন না পেতে পেতে রাজিবপুর-রৌমারীর মানুষ নিজেরাই তা উৎপাদন করতে শুরু করেছে। ফলে প্রায় একই প্রকৃতির মাটিতে উৎপাদিত ফসল দু-চার দিনের জন্য আর্কষণীয় হলেও সব সময়ের জন্য চাহিদামূলক নয়। তা ছাড়া মুদ্রার মানের পার্থক্যের কারণে যে কাঁঠাল আমাদের মুদ্রায় ৫০ টাকা, তা বর্ডার হাট থেকে কিনতে হলে ১০০ টাকারও বেশি পড়ে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী স্থানীয় উৎপাদিত কৃষি ও শিল্পপণ্য বাজারজাত হবে। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশের যেসব শিল্পপণ্য ভারতীয় নাগরিকরা কিনতে চায় এবং তাদের যেসব পণ্য বাংলাদেশিরা কিনতে চায়, তা চুক্তির আওতাভুক্ত না হওয়ায় মানুষের মাঝে বর্ডার হাটের উৎসাহ মিলিয়ে যেতে বসেছে। আর যা-ই হোক, মানুষ শুধু কাঁঠাল, আখ ও বাঙ্গি কেনার জন্য বর্ডার হাটে যাবে না। বর্ডার হাট কার্যকর করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন উভয় দেশের নমনীয় মনোভাব। দ্বিতীয়ত, স্থানীয় পণ্যের পাশাপাশি জাতীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের প্রবেশাধিকার ও যোগাযোগের সহজীকরণ, হাটে স্থানীয় কৃষিপণ্য এবং কুটির শিল্প যেমন থাকবে, তেমনি যেসব পণ্য আইনানুগভাবে উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির আওতাভুক্ত, তার মধ্যে ভারী পণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার সুযোগ দিলে বর্ডার হাট প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কার্যকর হবে। উভয় দেশের কোনো পণ্য ঢাকা, কলকাতা, দিলি্লতে বেআইনি না হলে বর্ডার হাটে নিষিদ্ধ হবে কেন? স্থানীয় পণ্যের যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বিবেচনায় নিলে ভারতীয় পক্ষ লাভ করলেও বাংলাদেশের জন্য সুখকর নয়। আমাদের রাজিবপুর, রৌমারীতে পুরনো উলের তৈরি শীতের শাল ও তাঁতবস্ত্র ছাড়া কোনো পণ্যই নেই। সেই পণ্য বিক্রিরও সমস্যা হচ্ছে, কারণ পণ্যের গায়ে বা মোড়কে গধফব ওহ জধুরনঢ়ঁৎ বা জড়ঁসধৎর লেখা নেই। পণ্যের গায়ে বা মোড়কে স্থানীয় নাম লেখা না থাকার কারণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা বর্ডার হাট থেকে কেনার পরও ভারতে ঢুকতে দেয় না। সংস্কৃতিগত পার্থক্যের কারণে আবার গারোদের তৈরি পাহাড়ি পোশাক আমাদের এলাকায় সেভাবে সমাদৃত নয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সুপারি এবং মেঘালয়ের আদা বিক্রি ছাড়া বর্ডার হাট কোনোভাবেই সফল নয়। তবে এ হাট চালু হওয়ার ফলে উভয় দেশের আত্মীয়স্বজনের দেখা-সাক্ষাতের একটি সুযোগ হয়েছে, স্থানীয় নাগরিকরা সেটি গ্রহণও করছে। মনে রাখতে হবে, বর্ডার হাটের উদ্দেশ্য সফল হলে সীমান্ত এলাকার অনেক অপরাধ কমবে। নাগরিকরা বৈধ উপায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়ার ঠিকানা হিসেবে বর্ডার হাটকে বিবেচনা করবে।
লেখক : সাবেক ছাত্রনেতা ও আইনজীবী
ধনৎধযধসষরহপড়ষহ৬৬@মসধরষ.পড়স
অনুষ্ঠানে আগত মানুষের মধ্যে গভীর আগ্রহ ছিল উদ্বোধনের দিনই হাটে উভয় দেশের উৎপাদিত পণ্যের পসরা দেখতে পারার। অতিথিদের প্রবল প্রত্যাশা ছিল, কিছু একটা স্যুভেনির বা স্মৃতিস্মারক তাঁরা পরিবারের জন্য নিয়ে যেতে পারবেন। সে গুড়ে বালি। প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কারণ সেদিন নির্ধারিত হাটের দিন না হওয়ায় তালিকাভুক্ত বিক্রেতারা পণ্যের পসরা নিয়ে বসেনি। যখন এ নিবন্ধটি লিখছি, তখন হাট চালুর তিন মাস পূর্ণ হয়েছে। যাঁরা অতি উৎসাহী হয়ে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আগ্রহের বেশ ভাটা। শুধু এলাকার মানুষজনেরই নয়, সমগ্র এলাকাবাসীর আগ্রহ ছিল, তারা উভয় দেশের উৎপাদিত কৃষি ও শিল্পপণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। যারা ব্যবসায়ী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই হাটে যায় না। যারা যায় তারা অলস সময় কাটায়। আবার যেসব পণ্য নিয়ে যায় তা বিক্রি না হলে ফিরিয়ে আনা আরো অনেক অর্থের ব্যাপার। হাটের দায়িত্বে নিয়োজিত রাজিবপুর থানার সমবায় অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মজিবর রহমান জানান, প্রতি হাটে বাংলাদেশের ২০০ ব্যাগের মতো সুপারি এবং ভারতের ৩০০-৪০০ ব্যাগ আদা বিক্রি হয়। গত তিন মাসের চিত্র পর্যালোচনা করলে পরিষ্কার বোঝা যায়, জনগণের সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। গত বর্ষায় হাটে যাওয়ার জন্য জিঞ্জিরাম নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি ভেসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে হাটে যেতে হলে নৌকার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এমনকি বর্ষার সময় উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে কিছুদিনের জন্য হাট কার্যক্রম বন্ধও ছিল। এখন চলছে দীনহীন অবস্থায়।
বর্ডার হাটের যে পণ্যতালিকা দেওয়া হয়েছে, তা জনগণের চাহিদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। একসময় গারো পাহাড়ের বাঙ্গিফল বা কাঁঠাল আমাদের কাছে আর্কষণীয় ছিল। দীর্ঘদিন না পেতে পেতে রাজিবপুর-রৌমারীর মানুষ নিজেরাই তা উৎপাদন করতে শুরু করেছে। ফলে প্রায় একই প্রকৃতির মাটিতে উৎপাদিত ফসল দু-চার দিনের জন্য আর্কষণীয় হলেও সব সময়ের জন্য চাহিদামূলক নয়। তা ছাড়া মুদ্রার মানের পার্থক্যের কারণে যে কাঁঠাল আমাদের মুদ্রায় ৫০ টাকা, তা বর্ডার হাট থেকে কিনতে হলে ১০০ টাকারও বেশি পড়ে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী স্থানীয় উৎপাদিত কৃষি ও শিল্পপণ্য বাজারজাত হবে। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশের যেসব শিল্পপণ্য ভারতীয় নাগরিকরা কিনতে চায় এবং তাদের যেসব পণ্য বাংলাদেশিরা কিনতে চায়, তা চুক্তির আওতাভুক্ত না হওয়ায় মানুষের মাঝে বর্ডার হাটের উৎসাহ মিলিয়ে যেতে বসেছে। আর যা-ই হোক, মানুষ শুধু কাঁঠাল, আখ ও বাঙ্গি কেনার জন্য বর্ডার হাটে যাবে না। বর্ডার হাট কার্যকর করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন উভয় দেশের নমনীয় মনোভাব। দ্বিতীয়ত, স্থানীয় পণ্যের পাশাপাশি জাতীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের প্রবেশাধিকার ও যোগাযোগের সহজীকরণ, হাটে স্থানীয় কৃষিপণ্য এবং কুটির শিল্প যেমন থাকবে, তেমনি যেসব পণ্য আইনানুগভাবে উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির আওতাভুক্ত, তার মধ্যে ভারী পণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার সুযোগ দিলে বর্ডার হাট প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কার্যকর হবে। উভয় দেশের কোনো পণ্য ঢাকা, কলকাতা, দিলি্লতে বেআইনি না হলে বর্ডার হাটে নিষিদ্ধ হবে কেন? স্থানীয় পণ্যের যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বিবেচনায় নিলে ভারতীয় পক্ষ লাভ করলেও বাংলাদেশের জন্য সুখকর নয়। আমাদের রাজিবপুর, রৌমারীতে পুরনো উলের তৈরি শীতের শাল ও তাঁতবস্ত্র ছাড়া কোনো পণ্যই নেই। সেই পণ্য বিক্রিরও সমস্যা হচ্ছে, কারণ পণ্যের গায়ে বা মোড়কে গধফব ওহ জধুরনঢ়ঁৎ বা জড়ঁসধৎর লেখা নেই। পণ্যের গায়ে বা মোড়কে স্থানীয় নাম লেখা না থাকার কারণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা বর্ডার হাট থেকে কেনার পরও ভারতে ঢুকতে দেয় না। সংস্কৃতিগত পার্থক্যের কারণে আবার গারোদের তৈরি পাহাড়ি পোশাক আমাদের এলাকায় সেভাবে সমাদৃত নয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সুপারি এবং মেঘালয়ের আদা বিক্রি ছাড়া বর্ডার হাট কোনোভাবেই সফল নয়। তবে এ হাট চালু হওয়ার ফলে উভয় দেশের আত্মীয়স্বজনের দেখা-সাক্ষাতের একটি সুযোগ হয়েছে, স্থানীয় নাগরিকরা সেটি গ্রহণও করছে। মনে রাখতে হবে, বর্ডার হাটের উদ্দেশ্য সফল হলে সীমান্ত এলাকার অনেক অপরাধ কমবে। নাগরিকরা বৈধ উপায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়ার ঠিকানা হিসেবে বর্ডার হাটকে বিবেচনা করবে।
লেখক : সাবেক ছাত্রনেতা ও আইনজীবী
ধনৎধযধসষরহপড়ষহ৬৬@মসধরষ.পড়স
No comments