শিক্ষাঙ্গন-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছু চিন্তা by মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ছাত্ররাজনীতি’ নিয়ে পত্রপত্রিকায় আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। অনুমান করি, বিভিন্ন আড্ডায় ও পরিবারেও একই রকম আলোচনা চলছে। তবে এই আলোচনা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কিছুদিন পরই থেমে যায়। তখন পরিস্থিতি বা পরিবেশ সবই আগের অবস্থায় ফিরে আসে। নতুন আরেকটি ছাত্র খুন না হওয়া পর্যন্ত এই আলোচনা স্থগিত থাকে।


কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে পত্রপত্রিকার বেশির ভাগ আলোচনাই ‘পরিস্থিতির বিবরণ’ বা মন্তব্যের নামে চর্বিতচর্বন বলে মনে হয়েছে।
প্রথমে একটা কথা মোটা দাগে বলতে চাই তা হলো, দেশের মেইন স্ট্রিম রাজনীতি যত দিন দূষিত ও দুর্বৃত্তায়িত থাকবে, তত দিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ আশা করা বৃথা। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরাজনীতি দেশের মূলধারার রাজনীতির বাইপ্রডাক্ট। কাজেই মূলধারার রাজনীতি ঠিক না হলে বাইপ্রডাক্ট ঠিক হবে, এটা আশা করা বাতুলতা মাত্র।
মূলধারার রাজনীতি কবে সুস্থ হবে, কবে গণতান্ত্রিক হবে, তত দিন কি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বসে থাকবে? এ রকম খুনোখুনি চলতেই থাকবে? আবাসিক হলে ক্ষমতাসীন দলের (দুই প্রধান দল) সন্ত্রাস ও আধিপত্য চলতেই থাকবে? মূলধারার রাজনীতি কলুষিত রেখে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শান্তির’ লক্ষ্যে সরকার বড় কোনো পদক্ষেপ নেবে, এমনটা কেউ আশা করে না। তবু ক্ষীণ আশা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর বাণী নিয়ে যুবলীগের নেতাদের পাঠাচ্ছেন। তাই মনে আশা জাগে, তিনি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘শান্তি’ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ হয়তো নেবেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, এ ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারে অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তদুপরি একজন মন্ত্রী ও একজন উপদেষ্টাও রয়েছেন। রয়েছেন বহু আওয়ামী সমর্থক কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী। আমার সন্দেহ, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে যথাযথ পরামর্শ দিচ্ছেন না বা দিলেও প্রধানমন্ত্রী তা শুনছেন না। আমার মতো অভাজনের কথা শুনবেন, তেমন ভরসা পাই না। তবু লিখছি, এই অসিলায় জনগণকে আমার চিন্তা জানানোর জন্য, যাতে এ ব্যাপারে জনমত তৈরি হয়।
গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। সামরিক শাসনামলে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছিল। বর্তমানে ছাত্রলীগের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রশ্রয়ে কীভাবে দিনের পর দিন টেন্ডার ও অন্যান্য সন্ত্রাস চালাচ্ছেন, তার সচিত্র বিস্তারিত বিবরণ প্রায় প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলো বিএনপি বা জামায়াতের অপপ্রচার নয়।
এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় কী? কয়েকটি প্রস্তাব—এক. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক থাকতে পারবে না। ছাত্ররা নিজেরা সংগঠন করবেন ও নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের কমিটি গঠন করবেন। অনির্বাচিত কোনো কমিটি ক্যাম্পাসে কাজ করতে পারবে না। দুই. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনের ভেতরে কোনো সভা বা মিছিল করা যাবে না। তিন. প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের প্রত্যক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য থাকবে। নির্বাচন হতে পারে দ্বিবার্ষিক। কোনো অজুহাতেই নির্বাচন বাদ দেওয়া যাবে না। চার. ছাত্রদের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আন্দোলনের পাশাপাশি প্রত্যেক ছাত্রসংসদ বছরে একবার শিক্ষা-সপ্তাহ, সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, নাট্য-সপ্তাহ, ক্রীড়া-সপ্তাহ ও বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করতে বাধ্য থাকবে (শুধু নেতা হওয়ার জন্য ‘নির্বাচিত’ হলে চলবে না)। এসব ‘সপ্তাহ’ যাতে বাধ্যতামূলকভাবে পালিত হয়, কর্তৃপক্ষ তার একটা ক্যালেন্ডার তৈরি করে দেবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে ও প্রতিটি আবাসিক হল ছাত্রসংসদকে একটি ‘বার্ষিকী’ প্রকাশ করতে হবে। পাঁচ. আগ্রহী ছাত্ররা পাস করার পর রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের মাধ্যমে মেইনস্ট্রিম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। ছাত্রজীবনে যাতে জাতীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত হতে না পারেন, তা দেখা সরকারের নীতিনির্ধারকদের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইন, নীতিমালা ইত্যাদি তৈরি করতে হবে। আমি মনে করি, আগ্রহী তরুণেরা অন্তত পাঁচ বছর যুব সংগঠন (ছাত্রসংগঠন নয়) না করলে তাঁকে মূল রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ দেওয়া উচিত নয়। মেইনস্ট্রিম রাজনীতি করার জন্য তার সারা জীবন পড়ে রয়েছে। ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত যুব সংগঠনে ‘ইন্টার্নি’ হিসেবে তাঁর কাজ করা উচিত। ছয়. বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগুলো পর্যালোচনা ও যুগোপযোগী করার জন্য ‘ইউজিসি’ একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করতে পারে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু আইন শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তির সুযোগ করে দিয়েছে। গণতন্ত্রচর্চার নামে লেজুড়বৃত্তি ও দলাদলিই প্রাধান্য পেয়েছে। প্রকৃত গণতন্ত্রচর্চা হয়েছে সামান্য। অবশ্য এসব আইনে লাভ হয়েছে অনেক দলবাজ শিক্ষকের। যাঁদের পেছনের সারিতে থাকার কথা, তাঁদের অনেকে উপাচার্য, ডিন, সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য হয়েছেন। ‘দলকানা’ হওয়ার নানা সুবিধা। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু মধ্যম মানের শিক্ষক আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। অতীতেও অনেকে ছিলেন। জ্ঞানী ও পণ্ডিত শিক্ষকেরা অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণে মতামত দেওয়ারও সুযোগ পান না। তাঁরা কোণঠাসা। সে জন্যই ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ সংশোধন ও পরিমার্জনা করার প্রস্তাব দিয়েছি। দেশের সংবিধান কয়েকবার পরিমার্জনা হয়ে গেছে কিন্তু ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইনে’ হাত দেওয়ার সাহস কোনো সরকারের হয়নি। সাত. রাজনৈতিক দলের ক্যাডার শিক্ষকদের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়ার বিধান বাদ দিতে হবে। এসব নিয়োগেই যত গোলমাল। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনটি ঘটেছে অতীতে।
পৃথিবীর অন্যান্য সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে ক্যাডারদের কি উপাচার্য করা হয়? কেউ কি বলতে পারবেন অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ বা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানরা ওই দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক? (‘কোন বনেগা ক্রোড়পতি’তে এ প্রশ্নটি অনায়াসে দেওয়া যেত।)। আট. বর্তমান আইনে উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটি প্যানেল নির্বাচনের বিধান রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বছর যাবর‌্যা তা আর অনুসরণ করা হচ্ছে না। কোনো শিক্ষামন্ত্রী এ প্রশ্নটি তোলেননি। বিনা নির্বাচনে কি এমপি হওয়া যাবে? যাবে না। কিন্তু উপাচার্য হওয়া যায়। ক্যাডার শিক্ষকের অনেক ক্ষমতা। আইনকে তাঁরা বুড়ো আঙুল দেখাতে পারেন। দেশের নানা অনাচার নিয়ে শিক্ষকেরা প্রায়ই কথা বলেন। কিন্তু নিজেদের উপাচার্য কীভাবে নিযুক্ত হলেন, ছাত্রসংসদের কেন নির্বাচন হচ্ছে না, এসব প্রশ্ন তাঁরা তোলেন না। ব্যতিক্রম খুব কম। প্যানেলের মাধ্যমে উপাচার্য নির্বাচনের যে বিধান রয়েছে, তা-ও ত্রুটিপূর্ণ। এটা আপাত সেমি গণতান্ত্রিক মনে হলেও এই প্যানেলের মাধ্যমেও সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিই উপাচার্য হতে পারেন। কে কত দলবাজ ও অনুগত, সেটাই বিবেচনা করা হয়। এটা কোনো উপাচার্যের যোগ্যতা হতে পারে না, কিন্তু বাংলাদেশে তা-ই হচ্ছে।
নয়. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে অনেক আলোচনা ও বিতর্ক করা দরকার। এই পদের নিয়োগ থেকেই যত অশান্তির সূচনা। এ ব্যাপারে এমন একটি পদ্ধতি বের করতে হবে, যাতে কোনো শিক্ষক-ক্যাডার এই নিয়োগ না পান, উপাচার্য যেন কোনোভাবেই দলকানা না হন, তিনি যেন সরকার, মন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের লেজুড়বৃত্তি করতে না পারেন। উপাচার্য তাঁর প্রশাসন চালাবেন আইন ও নীতি অনুযায়ী। আইন প্রয়োগে তিনি যেন অন্ধ হন। ১০. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে নিয়োগে এখন যা হচ্ছে তা কোনো সভ্য দেশে কল্পনাও করা যায় না। বলা হয়, ‘লেকচারার নয়, ভোটার নিয়োগ দেওয়া হয়।’ অন্যান্য পদেও নিয়োগ নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়। তাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্ট্রি পয়েন্টে নিয়োগবিধি পুনর্বিন্যাস করতে হবে। ১১. সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কোনো ছাত্র দোষী প্রমাণিত হলে তাকে শুধু বহিষ্কার নয়, অনেক বড়মাপের শাস্তি দেওয়ার বিধান থাকতে হবে (জাহাঙ্গীরনগরে জুবায়ের হত্যায় যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তারা শাস্তি পেয়েছে সেটাই আমরা দেখতে চাই)। সন্ত্রাসীদের সহযোগীদেরও উপযুক্ত শাস্তির বিধান থাকতে হবে। কোনো ছাত্র ‘সন্ত্রাসী’ দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরও গুরু দণ্ড না পেলে বুঝতে হবে, সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা বজায় রাখতে চায়। কোনো প্রতিষ্ঠানের সন্ত্রাসী গুরু দণ্ড না পেলে সেই প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস দূর হতে পারে না। দুঃখের ও ক্ষোভের বিষয়, গত কুড়ি বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন ও নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বড় দুই দলের আমলে কেউ-ই তেমন বড়মাপের শাস্তি পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার কোনো বড় শাস্তি নয়। বহিষ্কার করার অর্থ ওই ছাত্রকে রক্ষা করা। এসব ভোজবাজি যেন আর করা না হয়। এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে সে জীবনে আর বড় কোনো অন্যায় করতে না পারে। মনে রাখবেন, সে একজন ছাত্রকে খুন করে এসেছে। খুন। শুধু এটা মনে রাখলেই হবে। খুন হওয়া ছাত্রটিরও একটি সুন্দর ভবিষ্যর‌্যা ছিল।
১২. এ দেশের দুর্ভাগ্য, দেশের দূষিত রাজনীতির শিকার হয়েছেন কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার নির্দোষ ছাত্রছাত্রী। এসব ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক আনন্দ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। সন্ত্রাসী ছাত্রদের হাতে খুন হয়েছেন অনেক নিরীহ ছাত্র। আবার একই দলের সন্ত্রাসীর হাতে দলের অপর সন্ত্রাসীও খুন হয়েছে বখরা নিয়ে মতবিরোধে। ১৩. দেশের মেইনস্ট্রিম রাজনীতি কবে ও কীভাবে সুস্থ হবে, তা আমরা জানি না বা আদৌ এ দেশের রাজনীতি কখনো সুস্থ হবে কি না, তা-ও জানি না। তবে বর্তমান সরকার চেষ্টা করলে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারে। সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিবর্তন করতে হবে। ‘ছাত্ররাজনীতি’ সম্পর্কে আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত দৃষ্টিভঙ্গিরও কিছুটা পরিবর্তন করতে হবে। এ রকম নানা কিছুর সম্মিলন ঘটাতে পারলে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নত হবে। ফিরে আসবে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ। শুধু বক্তৃতা দিয়ে এই পরিবর্তন সম্ভব হবে না।
১৪. আমাদের সামনে এখন দুটি চয়েস—ক. আমরা কি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক মাস পর পর নিরীহ ছাত্রের করুণ মৃত্যু, টেন্ডারসন্ত্রাস, আবাসিক হল দখল, রাজনৈতিক সন্ত্রাস ইত্যাদি দেখতে থাকব? খ. নাকি নানা আইন পরিবর্তন করে ও নতুন কিছু আইন তৈরি করে এবং তা প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শিক্ষাবান্ধব করে তুলব?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়েরের লাশ সামনে রেখে আসুন, আমরা এই আলোচনা শুরু করি।
 মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: উন্নয়ন ও মিডিয়াকর্মী।

No comments

Powered by Blogger.