দুই দু’গুণে পাঁচ-বাঙালির বিদেশ ভ্রমণ by আতাউর রহমান
জর্জ ডব্লিউ বুশ যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, তখন গল্প বেরিয়েছিল: পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ সরকারি সফরে সস্ত্রীক ওয়াশিংটন ডিসিতে গেছেন। তো প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ কথা প্রসঙ্গে পাকিস্তানি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করায় পারভেজ মোশাররফ প্রটোকলের সব আনুষ্ঠানিকতা পরিত্যাগপূর্বক তদীয় পত্নী এবং মিস্টার ও মিসেস বুশকে নিয়ে রাতের খাবার খেতে গেলেন ওয়াশিংটনের এক নামকরা পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টে।
খাওয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে, এমন সময় পাকিস্তানি ওয়েটার এসে পারভেজ মোশাররফকে উর্দুতে বলল, ‘স্যার, বিল লা দোও?’ অর্থাৎ, ওয়েটার জানতে চেয়েছিল খাবারের বিলটি সে নিয়ে আসবে কি না। কিন্তু জর্জ বুশ বুঝলেন অন্যথা; তিনি শুনলেন বিন লাদেন এবং ভাবলেন, বিল লাদেনের লোকেরা বুঝি ধারেকাছে অবস্থান নিয়েছে। অতএব, তিনি তড়িঘড়ি করে পারভেজ মোশাররফের কাছ থেকে একরকম বিদায় নিয়েই স্ত্রীসহ কেটে পড়লেন।
গল্পটা গত মাসে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর সফরে গিয়ে কেন আমার মনে পড়ে গিয়েছিল সেটাই তাহলে এ স্থলে বলি: সরকারের উচ্চপদে চাকরির সুবাদে বহুবার দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করেছি, বিদেশে দুবার পোস্টিংও করেছি। অতএব, অবসরপ্রাপ্ত জীবনেও দীর্ঘদিন ধরে বাইরে না গেলে হাত-পা নিশপিশ করতে থাকে। বহু দিন ধরে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর দেখার মনে প্রবল সাধ ছিল, কিন্তু সাধ্যে কুলাচ্ছিল না। এটাব-এর প্রেসিডেন্ট সালেহ সাহেবের সৌজন্যে দুটো ফ্রি এয়ার টিকিট পাওয়াতেই না সেই সাধ চরিতার্থ হলো। কিন্তু ট্রেনে আরামসে জার্নি করে কুয়ালালামপুর থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছাতেই ঝক্কি-ঝামেলায় পড়া গেল—পাসপোর্টে ভিসা লাগানো থাকা সত্ত্বেও আমার মুসলিম নাম আর শ্মশ্রুমণ্ডিত চেহারা দেখেই বোধকরি সিঙ্গাপুর ইমিগ্রেশনের লোকেরা ধরে নিলেন, আমি বুঝি বিন লাদেনের দলের কেউ হই; অতএব তারা আমাকে ঘণ্টা খানেক আটকিয়ে রেখে আমি কোনো ধর্মীয় সংস্থার সদস্য কি না ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং সে দেশে বসবাসরত চিকিৎসক আত্মীয়ের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে অতঃপর আমার পাঁচ আঙুলের ছাপ রেখে আমাকে রেহাই দিলেন। আমি প্রথমে খুব বিক্ষুব্ধ হলেও পরে ভবলাম, ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল পাকির জৈনুদ্দিন আবুল কালামকে যদি নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে রাখে, তাহলে আমার আর অভিযোগ করার কী-ই বা থাকতে পারে।
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ওরা আমার স্ত্রীকে না আটকিয়ে তাঁকে চলে যেতে বলল। কিন্তু তিনি পতিব্রতা নারী; বললেন, ‘আমার স্বামীকে যেতে না দিলে আমিও যাব না।’ ব্যাপারটা অনেকটা সেই টাইটানিক জাহাজডুবির সময়কার একটি ঘটনার মতো আরকি; টাইটানিক জাহাজ ১৯১২ সালে তার প্রথম সমুদ্র যাত্রায়ই মধ্য আটলান্টিকে হিমশৈলের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার কালে ইসাডোরা স্ট্রশ নামের এক নারী স্বেচ্ছায় স্বামীর সঙ্গে সহমরণ বেছে নেন—ডুবন্ত জাহাজের লাইফবোটে যখন পুরুষদের বাদ দিয়ে কেবল নারী ও শিশুদের তোলা হচ্ছিল, তখন মিসেস স্ট্রশ শেষ মুহূর্তে লাইফবোট থেকে লাফ দিয়ে পুনরায় জাহাজে চড়ে স্বামীর হাত জোরে আঁকড়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমরা দুজন বহু বছর ধরে একসঙ্গে আছি। আমরা এখন বুড়োবুড়ি, তুমি যেখানে যাও আমিও সেখানেই যাব।’
সে যা-ই হোক। ইমিগ্রেশনের লোকেরা প্রায়শই এ রকম বেয়াড়া প্রকৃতিরই হয়। তাই তাদের সঙ্গে ক্ষেত্রবিশেষে বেয়াড়া আচরণও করতে হয়। এই যেমন, আমাদের দেশের এক শিক্ষিত ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাচ্ছিল। তো, সিডনির বিমানবন্দরে সে দেশের ইমিগ্রেশন অফিসার তাকে প্রশ্ন করে বসল, তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কি না। ছেলেটি জানত, ইংলিশম্যান ক্যাপ্টেন কুক কর্তৃক ১৭৭০ সালে অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কৃত হওয়ার পর গোড়ার দিকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন শুরু হয় বিলেতের বিভিন্ন আদালতে দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের দিয়ে। তাই সে ব্যঙ্গ করে জবাব দিল, ‘আমি জানতাম না যে, তোমাদের দেশে প্রবেশের জন্য এখনো ওটা একটা পূর্বশর্ত।’
আর ইমিগ্রেশনের লোকদের সঙ্গে তাল দিয়ে বিমানবন্দরগুলোর কাস্টমসের লোকেরাও কম যান না। উনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ইংরেজ লেখক অসকার ওয়াইল্ড যখন জাহাজে করে একবার আমেরিকায় পৌঁছালেন, তখন সমুদ্রবন্দরের কাস্টমসের লোকেরা তাঁর কাছে ডিক্লেয়ারেশন তথা ঘোষণা দেওয়ার মতো কিছু আছে কি না, জিজ্ঞেস করলে তিনি চটপট জবাব দিয়েছিলেন, ‘আছে, শুধু আমার প্রতিভা (...)।’ এবং মহাত্মা গান্ধীকেও একবার এক নৌবন্দরে কাস্টমসের লোকেরা জিজ্ঞেস করেছিল তাঁর কাছে ডিক্লেয়ারেশন দেওয়ার মতো কিছু আছে কি না। প্রত্যুত্তরে গান্ধীজি নাকি বলেছিলেন, ‘ওয়েল, আমি একজন ভিখারীসুলভ মানুষ (...)। আমার পার্থিব সম্পদের মধ্যে আছে ছয়টি চরকা, একটি ছাগ-দুগ্ধ রাখার জগ, ছয়টি হাতে বোনা লেঙটি ও একটি তোয়ালে। আর আছে আমার খ্যাতি, যেটা পরিধান করা যায় না।’
শেষ করছি গরুকে নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে, পর্যটনসংক্রান্ত একটি মজার গল্প দিয়ে—আমাদের দেশের এক লোক যখন দুনিয়ার বিভিন্ন নামকরা শহরে গেছে ও থেকেছে বলে গুলতান মারছিল, তখন শ্রোতাদের মধ্য থেকে একজন ‘আপনার তাহলে দেখছি জিওগ্রাফি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে’ বলে মন্তব্য করাতে লোকটি যে বলে উঠেছিল ‘হ্যাঁ, জিওগ্রাফিতেও আমি দুই সপ্তাহ ছিলাম’, এই রসালো গল্পটি বহু পুরোনো ও বহুল পরিচিত। এবার নিন এই গল্পটির আধুনিক সংস্করণ:
‘এশিয়া মহাদেশ হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য’, জনৈক আমেরিকান নারী একটি পার্টিতে দম্ভভরে বলছিলেন, ‘এশিয়ার দেশগুলো হচ্ছে প্রহেলিকাময় ও বিস্ময়কর, অবিশ্বাস্য রকমের সৌন্দর্যে ভরপুর। আর চীন দেশ? অবশ্যই ওটা হচ্ছে এশিয়ান ঝিনুকের অভ্যন্তরস্থ মুক্তো।’
‘তা প্যাগোডা (বৌদ্ধদের প্রার্থনালয়ে) সম্পর্কে আপনার কী ধারণা? আপনি কি ওসব দেখেছেন? পাশ থেকে একজন তাঁকে প্রশ্ন করে বসলেন।
‘দেখেছি, মানে? মাই ডিয়ার, আমি ওসব প্যাগোডার সঙ্গে ডিনার খেয়েছি’, তিনি ঝটপট জবাব দিলেন।
পুনশ্চ: কৌতূহলী পাঠকদের উদ্দেশে জানিয়ে রাখি, সিঙ্গাপুরের প্রবেশমুখের ওই অপ্রীতিকর ঘটনার কথা বাদ দিলে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের সফরটা ছিল এককথায় অবিস্মরণীয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইল।
আতাউর রহমান: রম্য লেখক। ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক।
গল্পটা গত মাসে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর সফরে গিয়ে কেন আমার মনে পড়ে গিয়েছিল সেটাই তাহলে এ স্থলে বলি: সরকারের উচ্চপদে চাকরির সুবাদে বহুবার দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করেছি, বিদেশে দুবার পোস্টিংও করেছি। অতএব, অবসরপ্রাপ্ত জীবনেও দীর্ঘদিন ধরে বাইরে না গেলে হাত-পা নিশপিশ করতে থাকে। বহু দিন ধরে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর দেখার মনে প্রবল সাধ ছিল, কিন্তু সাধ্যে কুলাচ্ছিল না। এটাব-এর প্রেসিডেন্ট সালেহ সাহেবের সৌজন্যে দুটো ফ্রি এয়ার টিকিট পাওয়াতেই না সেই সাধ চরিতার্থ হলো। কিন্তু ট্রেনে আরামসে জার্নি করে কুয়ালালামপুর থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছাতেই ঝক্কি-ঝামেলায় পড়া গেল—পাসপোর্টে ভিসা লাগানো থাকা সত্ত্বেও আমার মুসলিম নাম আর শ্মশ্রুমণ্ডিত চেহারা দেখেই বোধকরি সিঙ্গাপুর ইমিগ্রেশনের লোকেরা ধরে নিলেন, আমি বুঝি বিন লাদেনের দলের কেউ হই; অতএব তারা আমাকে ঘণ্টা খানেক আটকিয়ে রেখে আমি কোনো ধর্মীয় সংস্থার সদস্য কি না ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং সে দেশে বসবাসরত চিকিৎসক আত্মীয়ের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে অতঃপর আমার পাঁচ আঙুলের ছাপ রেখে আমাকে রেহাই দিলেন। আমি প্রথমে খুব বিক্ষুব্ধ হলেও পরে ভবলাম, ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল পাকির জৈনুদ্দিন আবুল কালামকে যদি নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে রাখে, তাহলে আমার আর অভিযোগ করার কী-ই বা থাকতে পারে।
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ওরা আমার স্ত্রীকে না আটকিয়ে তাঁকে চলে যেতে বলল। কিন্তু তিনি পতিব্রতা নারী; বললেন, ‘আমার স্বামীকে যেতে না দিলে আমিও যাব না।’ ব্যাপারটা অনেকটা সেই টাইটানিক জাহাজডুবির সময়কার একটি ঘটনার মতো আরকি; টাইটানিক জাহাজ ১৯১২ সালে তার প্রথম সমুদ্র যাত্রায়ই মধ্য আটলান্টিকে হিমশৈলের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার কালে ইসাডোরা স্ট্রশ নামের এক নারী স্বেচ্ছায় স্বামীর সঙ্গে সহমরণ বেছে নেন—ডুবন্ত জাহাজের লাইফবোটে যখন পুরুষদের বাদ দিয়ে কেবল নারী ও শিশুদের তোলা হচ্ছিল, তখন মিসেস স্ট্রশ শেষ মুহূর্তে লাইফবোট থেকে লাফ দিয়ে পুনরায় জাহাজে চড়ে স্বামীর হাত জোরে আঁকড়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আমরা দুজন বহু বছর ধরে একসঙ্গে আছি। আমরা এখন বুড়োবুড়ি, তুমি যেখানে যাও আমিও সেখানেই যাব।’
সে যা-ই হোক। ইমিগ্রেশনের লোকেরা প্রায়শই এ রকম বেয়াড়া প্রকৃতিরই হয়। তাই তাদের সঙ্গে ক্ষেত্রবিশেষে বেয়াড়া আচরণও করতে হয়। এই যেমন, আমাদের দেশের এক শিক্ষিত ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাচ্ছিল। তো, সিডনির বিমানবন্দরে সে দেশের ইমিগ্রেশন অফিসার তাকে প্রশ্ন করে বসল, তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কি না। ছেলেটি জানত, ইংলিশম্যান ক্যাপ্টেন কুক কর্তৃক ১৭৭০ সালে অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কৃত হওয়ার পর গোড়ার দিকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন শুরু হয় বিলেতের বিভিন্ন আদালতে দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের দিয়ে। তাই সে ব্যঙ্গ করে জবাব দিল, ‘আমি জানতাম না যে, তোমাদের দেশে প্রবেশের জন্য এখনো ওটা একটা পূর্বশর্ত।’
আর ইমিগ্রেশনের লোকদের সঙ্গে তাল দিয়ে বিমানবন্দরগুলোর কাস্টমসের লোকেরাও কম যান না। উনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ইংরেজ লেখক অসকার ওয়াইল্ড যখন জাহাজে করে একবার আমেরিকায় পৌঁছালেন, তখন সমুদ্রবন্দরের কাস্টমসের লোকেরা তাঁর কাছে ডিক্লেয়ারেশন তথা ঘোষণা দেওয়ার মতো কিছু আছে কি না, জিজ্ঞেস করলে তিনি চটপট জবাব দিয়েছিলেন, ‘আছে, শুধু আমার প্রতিভা (...)।’ এবং মহাত্মা গান্ধীকেও একবার এক নৌবন্দরে কাস্টমসের লোকেরা জিজ্ঞেস করেছিল তাঁর কাছে ডিক্লেয়ারেশন দেওয়ার মতো কিছু আছে কি না। প্রত্যুত্তরে গান্ধীজি নাকি বলেছিলেন, ‘ওয়েল, আমি একজন ভিখারীসুলভ মানুষ (...)। আমার পার্থিব সম্পদের মধ্যে আছে ছয়টি চরকা, একটি ছাগ-দুগ্ধ রাখার জগ, ছয়টি হাতে বোনা লেঙটি ও একটি তোয়ালে। আর আছে আমার খ্যাতি, যেটা পরিধান করা যায় না।’
শেষ করছি গরুকে নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে, পর্যটনসংক্রান্ত একটি মজার গল্প দিয়ে—আমাদের দেশের এক লোক যখন দুনিয়ার বিভিন্ন নামকরা শহরে গেছে ও থেকেছে বলে গুলতান মারছিল, তখন শ্রোতাদের মধ্য থেকে একজন ‘আপনার তাহলে দেখছি জিওগ্রাফি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে’ বলে মন্তব্য করাতে লোকটি যে বলে উঠেছিল ‘হ্যাঁ, জিওগ্রাফিতেও আমি দুই সপ্তাহ ছিলাম’, এই রসালো গল্পটি বহু পুরোনো ও বহুল পরিচিত। এবার নিন এই গল্পটির আধুনিক সংস্করণ:
‘এশিয়া মহাদেশ হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য’, জনৈক আমেরিকান নারী একটি পার্টিতে দম্ভভরে বলছিলেন, ‘এশিয়ার দেশগুলো হচ্ছে প্রহেলিকাময় ও বিস্ময়কর, অবিশ্বাস্য রকমের সৌন্দর্যে ভরপুর। আর চীন দেশ? অবশ্যই ওটা হচ্ছে এশিয়ান ঝিনুকের অভ্যন্তরস্থ মুক্তো।’
‘তা প্যাগোডা (বৌদ্ধদের প্রার্থনালয়ে) সম্পর্কে আপনার কী ধারণা? আপনি কি ওসব দেখেছেন? পাশ থেকে একজন তাঁকে প্রশ্ন করে বসলেন।
‘দেখেছি, মানে? মাই ডিয়ার, আমি ওসব প্যাগোডার সঙ্গে ডিনার খেয়েছি’, তিনি ঝটপট জবাব দিলেন।
পুনশ্চ: কৌতূহলী পাঠকদের উদ্দেশে জানিয়ে রাখি, সিঙ্গাপুরের প্রবেশমুখের ওই অপ্রীতিকর ঘটনার কথা বাদ দিলে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের সফরটা ছিল এককথায় অবিস্মরণীয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইল।
আতাউর রহমান: রম্য লেখক। ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক।
No comments