পণ্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী-বাজার স্থিতিশীল হবে কবে?
১৬ জানুয়ারি কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমবর্ধমান। কিছুদিন পরপর দাম বাড়ানোর অপপ্রবণতার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার। বিগত এক সপ্তাহে গুঁড়োদুধ, তেল, ডিম, আদা, রসুনসহ বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে। শিশুখাদ্যের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে একই ধরনের প্রবণতা।
কিছুদিন আগে সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, ভোজ্য তেলের দাম আপাতত আর বাড়বে না। কিন্তু বাজারের চিত্র এর উল্টো। পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাঁড় করাচ্ছেন একেক রকম অজুহাত আর খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর দায় চাপিয়ে মুক্তি পেতে চাইছেন। সাধারণ মানুষের কথা কেউ বিবেচনায় রাখছেন না এবং এ ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট।
বাজার দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল। ইতিমধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফে অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি কম ব্যক্ত হয়নি; কিন্তু কার্যত ফল শূন্য। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে; কিন্তু এরও কোনো সুফল মেলেনি। এ ব্যাপারে নানা মহলের উদ্যোগ-আয়োজন দৃশ্যত অহরহ চোখে পড়লেও সব কিছুই যেন প্রহসনে রূপ নিয়েছে। বাজারে চলছে এক ধরনের তুঘলকি কাণ্ড। অসাধু আর স্বেচ্ছাচারী ব্যবসায়ীদের মুঠোবন্দি হয়ে আছে বাজার। সরকারের তরফে ইতিমধ্যে বহুবার বাজার পরিস্থিতি মনিটর করার ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও শোনানো হয়েছে; কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এর কোনো ছাপ নেই। প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন সুযোগে কিংবা অজুহাত দাঁড় করিয়ে পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানোর এ অপপ্রবণতা রোধের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন সফল হতে পারছে না_এটি খুব জরুরি প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে এ দেশের একটি অপচক্র দফায় দফায় বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোজ্য তেলসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তার পরও তারা কেন এমন করছে এরও কোনো সদুত্তর মিলছে না। সরকারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যাঁরা বাজারে যাচ্ছেতাই কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন, তাঁদের ক্ষমতার উৎস কোথায়_বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ প্রশ্ন দাঁড়াতেই পারে। মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও বিশ্বমন্দা মোকাবিলা করে সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। দুঃখজনক হলেও সত্য, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পারেনি সরকার, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে পারেনি। যে দেশের বেশির ভাগ মানুষের এখনো 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়' সে দেশের অর্থনীতি-সংশ্লিষ্ট সার্বিক চিত্র যদি এই হয়, তাহলে সব ক্ষেত্রেই অস্থিতিশীলতা পুষ্ট হতে বাধ্য। এমনটি কারোর জন্যই মঙ্গলজনক নয়। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এযাবৎ কথাবার্তা কম হয়নি; কিন্তু কাজের কাজটা হবে কবে_এটিই এখন মূল কথা। বাজারে যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং যারা তুঘলকি কাণ্ডকীর্তি চালাচ্ছে_এ সব কিছুরই দায় বর্তায় সরকারের ওপর। এ ক্ষেত্রে কারোরই কোনো রকম অজুহাত দাঁড় করানোর অবকাশ নেই।
বাজার দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল। ইতিমধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফে অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি কম ব্যক্ত হয়নি; কিন্তু কার্যত ফল শূন্য। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে; কিন্তু এরও কোনো সুফল মেলেনি। এ ব্যাপারে নানা মহলের উদ্যোগ-আয়োজন দৃশ্যত অহরহ চোখে পড়লেও সব কিছুই যেন প্রহসনে রূপ নিয়েছে। বাজারে চলছে এক ধরনের তুঘলকি কাণ্ড। অসাধু আর স্বেচ্ছাচারী ব্যবসায়ীদের মুঠোবন্দি হয়ে আছে বাজার। সরকারের তরফে ইতিমধ্যে বহুবার বাজার পরিস্থিতি মনিটর করার ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও শোনানো হয়েছে; কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এর কোনো ছাপ নেই। প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন সুযোগে কিংবা অজুহাত দাঁড় করিয়ে পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানোর এ অপপ্রবণতা রোধের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন সফল হতে পারছে না_এটি খুব জরুরি প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে এ দেশের একটি অপচক্র দফায় দফায় বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোজ্য তেলসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তার পরও তারা কেন এমন করছে এরও কোনো সদুত্তর মিলছে না। সরকারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যাঁরা বাজারে যাচ্ছেতাই কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন, তাঁদের ক্ষমতার উৎস কোথায়_বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ প্রশ্ন দাঁড়াতেই পারে। মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও বিশ্বমন্দা মোকাবিলা করে সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। দুঃখজনক হলেও সত্য, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পারেনি সরকার, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে পারেনি। যে দেশের বেশির ভাগ মানুষের এখনো 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়' সে দেশের অর্থনীতি-সংশ্লিষ্ট সার্বিক চিত্র যদি এই হয়, তাহলে সব ক্ষেত্রেই অস্থিতিশীলতা পুষ্ট হতে বাধ্য। এমনটি কারোর জন্যই মঙ্গলজনক নয়। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এযাবৎ কথাবার্তা কম হয়নি; কিন্তু কাজের কাজটা হবে কবে_এটিই এখন মূল কথা। বাজারে যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং যারা তুঘলকি কাণ্ডকীর্তি চালাচ্ছে_এ সব কিছুরই দায় বর্তায় সরকারের ওপর। এ ক্ষেত্রে কারোরই কোনো রকম অজুহাত দাঁড় করানোর অবকাশ নেই।
No comments