আফ্রিকান ফুটবলে কে সেরা?

ইভরি কোস্ট, সেনেগাল ও মরক্কোর সঙ্গে তাঁর দেশ ঘানাও অন্যতম ফেবারিট। তার পরও মন খারাপ আবেদি পেলের। আফ্রিকার ফুটবল কিংবদন্তির মন কাঁদছে আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া, মিসর ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য।আফ্রিকার ফুটবলের এই বড় নামগুলোকে ছাড়াই যে আজ শুরু হচ্ছে আফ্রিকান কাপ অব নেশনস। আগের ২৭টি টুর্নামেন্টের ১৫টিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই দলগুলোকে ছাড়া এবারের টুর্নামেন্টকে বড্ড পানসে মনে হচ্ছে ‘আফ্রিকান পেলে’র।


বাছাইপর্ব পেরোতে না পারায় গ্যাবন ও ইকুয়েটরিয়াল গিনির যৌথ আয়োজনের প্রতিযোগিতায় নেই এই দলগুলো। আর প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছে বতসোয়ানা ও নাইজার। দুই স্বাগতিকের অন্যতম ইকুয়েটরিয়াল গিনিও আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছে এই প্রথম। গত তিনবারের টানা ও সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিসরের বাদ পড়া যদি বিস্ময় হয়, তাহলে আরও বিস্ময়ের লিবিয়ার বাছাইপর্ব পেরোনো। বাছাইপর্বের প্রায় পুরোটাই গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকায় দেশটিকে একটি বাদে সব ম্যাচই খেলতে হয়েছে দেশের বাইরে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারের আসরেই শিরোপা লড়াইটা সবচেয়ে উন্মুক্ত বলে ধরা হচ্ছে। ঘানা, আইভরি কোস্ট ও মরক্কোর সঙ্গে এবার বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে সেনেগালের নাম। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণভাগটা শিরোপার স্বাদ না পাওয়া সেনেগালের। ডেম্বা বা, মুসা সো, পেপিস ডেম্বা সিসে, মামাদু নিয়াং ও ডেইম এন’দোয়ে নিয়ে গড়া সেনেগালিজ আক্রমণভাগের কাছে দিদিয়ের দ্রগবা ও সলোমন কালুর আইভরি কোস্টকেও মলিন লাগে। নামগুলো ঠিক অতটা পরিচিত না লাগলেও মনে রাখতে হবে এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা নিউক্যাসলের ডেম্বা বা। গত মৌসুমে ফ্রেঞ্চ লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন সো, ৩১ ম্যাচে ২৫ গোল করে এন’দোয়ে এফসি কোপেনহেগেনকে জিতিয়েছেন ডেনিশ লিগ। বাছাইপর্বে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আল সাদ স্ট্রাইকার নিয়াং।
আজ প্রথম দিনেই মাঠে নামছে সেনেগাল, প্রতিপক্ষ জাম্বিয়া। তবে এর আগে উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইকুয়েটরিয়াল গিনি খেলবে লিবিয়ার বিপক্ষে। ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ফাইনাল। এএফপি, রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.