আর কোনো জুবায়েরকে হারাতে চাই না by রিফাত রহমান শাকিল
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে গেল আরও একটি রাজনৈতিক মৃত্যু। এতে ইংরেজি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র জুবায়েরকে প্রাণ হারাতে হলো। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মা-বাবার ভীষণ আদরের ছোট সন্তানটিকে ঘিরে পরিবারের মানুষের মধ্যে অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটেছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে অধ্যয়নের দ্বারপ্রান্তে এসে। এ ধরনের মৃত্যু আমাদের কারোরই কাম্য নয়।
জাতীয় রাজনীতিতে মিছিল-সমাবেশে বা দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে কোনো সাধারণ মানুষ মৃত্যুবরণ করলে বিভিন্ন দল তাকে নিয়ে শুরু করে দলীয় রাজনীতি। ঠিক এভাবে আমরা জুবায়েরের মৃত্যুকেও চিহ্নিত করতে পারি। জুবায়ের হয়তো কোনো এক সময় একটি নির্দিষ্ট দলের রাজনীতি করেছেন তার রাজনীতি করার স্বাধীনতা থেকে। মৃত্যুবরণ করার পরে তার মৃতদেহ তো কোনো রাজনীতি করছে না। তাহলে রাজনীতির বিষয়গুলো কেন তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে? এটা কি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার একটি ভয়ানক অপচেষ্টা নয়?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা যদি প্রশাসনিক অবকাঠামো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তার জন্য সচেতন শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে সমালোচনা করা নৈতিক দায়িত্বের একটি অংশ। কিন্তু একই সঙ্গে কোনো ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতিও কাম্য নয়।
বিশৃঙ্খলা আর নৈরাজ্য নতুন নতুন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয়। বাংলাদেশের বাইরে এমন উদাহরণ কমই রয়েছে যে ক্যাম্পাসের কোনো অঘটনের কারণে ক্লাস ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোকে এড়িয়ে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীদের একে অন্যের কাঁধে হাত রেখে সেই কাজ করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হবে জুবায়েরের মতো যেন আর একটি লাশও না পড়ে আমাদের পবিত্র সবুজ ক্যাম্পাসটিতে। আমরা কি আদৌ সেই বিষয়টিকে মুখ্য করে তুলতে পেরেছি? সবার প্রতি অনুরোধ, মূল বিষয় থেকে সরে না এসে একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টিকে মাথায় রাখুন। মূল বিষয়, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি যেন অন্যদিকে চলে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের অনেক অভিযোগ থাকতে পারে, এই প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে, তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে; কিন্তু সবার আগে নিহত শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ খুঁজতে হবে, এর স্থায়ী প্রতিকার করতে হবে। জুবায়েরের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের নিশ্চিত শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আর যেন কোনো জুবায়েরকে রাজনৈতিক কারণে মৃত্যুবরণ করতে না হয় আমাদের জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে।
য় স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন
সাবেক শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা যদি প্রশাসনিক অবকাঠামো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তার জন্য সচেতন শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে সমালোচনা করা নৈতিক দায়িত্বের একটি অংশ। কিন্তু একই সঙ্গে কোনো ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতিও কাম্য নয়।
বিশৃঙ্খলা আর নৈরাজ্য নতুন নতুন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয়। বাংলাদেশের বাইরে এমন উদাহরণ কমই রয়েছে যে ক্যাম্পাসের কোনো অঘটনের কারণে ক্লাস ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোকে এড়িয়ে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীদের একে অন্যের কাঁধে হাত রেখে সেই কাজ করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হবে জুবায়েরের মতো যেন আর একটি লাশও না পড়ে আমাদের পবিত্র সবুজ ক্যাম্পাসটিতে। আমরা কি আদৌ সেই বিষয়টিকে মুখ্য করে তুলতে পেরেছি? সবার প্রতি অনুরোধ, মূল বিষয় থেকে সরে না এসে একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টিকে মাথায় রাখুন। মূল বিষয়, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি যেন অন্যদিকে চলে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের অনেক অভিযোগ থাকতে পারে, এই প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে, তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে; কিন্তু সবার আগে নিহত শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ খুঁজতে হবে, এর স্থায়ী প্রতিকার করতে হবে। জুবায়েরের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের নিশ্চিত শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আর যেন কোনো জুবায়েরকে রাজনৈতিক কারণে মৃত্যুবরণ করতে না হয় আমাদের জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে।
য় স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন
সাবেক শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments