পেপের কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়
কেউ বলছে বর্বর, কেউ বলছে হিংস্র, লজ্জাজনক। গত এল ক্লাসিকোয় লিওনেল মেসির হাত বুট দিয়ে মাড়িয়ে দেওয়া পেপের সমালোচনায় এই বিশেষণগুলোই ব্যবহার করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম। আরও স্পষ্ট করে বললে মাদ্রিদভিত্তিক পত্রিকাগুলোই।
রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকেরা নিজেদের মাদ্রিদিস্তা বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসে। মার্কা, এল পাইস, এএস-এর মতো মাদ্রিদের পত্রিকাগুলোও রিয়ালের প্রকাশ্য সমর্থক। সেই পত্রিকাগুলোই পেপের এই ‘ঘৃণ্য’ আচরণের প্রতিবাদে মুখর। রিয়াল মাদ্রিদের ভাবমূর্তিই পেপে ক্ষুণ্ন করেছেন বলে লেখা হচ্ছে। কেউ কেউ এই পর্তুগিজ ডিফেন্ডারকে ক্লাব থেকে পত্রপাঠ বিদায় করে দেওয়ারও পক্ষে।
সমালোচনার মুখে পেপে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদের ওয়েবসাইটে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে পেপে বলেছেন, ‘এটা ইচ্ছাকৃত ছিল না। তার পরও মেসি যদি আহত বোধ করে থাকে, আমি ক্ষমা চাইছি।’ এর পরের বাক্যটি যেন মাদ্রিদ সমর্থকদের কাছে তাঁর আকুতি, ‘আমি আমার দল আর এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই লড়াই করতে চেয়েছি। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে দলের জন্য খেলি। সতীর্থ কোনো খেলোয়াড়কে আহত করা কখনোই আমার মনে আসে না।’
সেদিনের ম্যাচটির ভিডিও ফুটেজ তো বটেই, পেপের অতীত রেকর্ডও তাঁর এই কথাকে সমর্থন করে না। রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা গেছে, ক্যালিয়নের ফাউলের শিকার হয়ে মাটিতে পড়ে থাকা মেসির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ইচ্ছা করেই বুট দিয়ে হাত মাড়িয়ে দিয়েছেন। মার্কা, এএসসহ সব পত্রিকাই এই ছবি ছেপেছে। ম্যাচের শুরুর দিকে সার্জিও বুসকেটসকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। লাল কার্ডও তাঁর প্রাপ্য ছিল।
সর্বশেষ গত চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পেপের লাল কার্ড নিয়েও অনেক শোরগোল হয়েছে। ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডও তাঁর ভালো নয়। ২০০৮-০৯ মৌসুমে গেটাফের এক খেলোয়াড়কে লাথি মেরে ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। গত ম্যাচে ফ্যাব্রিগাসের দিকেও তেড়ে গিয়েছিলেন মারমুখী ভঙ্গিতে।
যা করেছেন ক্লাবের জন্য—এমন দাবি পেপে যতই করুন, মাদ্রিদের কোনো পত্রিকা ছেড়ে কথা বলছে না। সমালোচনার কশাঘাতে পেপে তাই জর্জরিত। মার্কা লিখেছে, ‘পেপের খেলা হিংস্র, অতি আগ্রাসী, ছলচাতুরিতে ভরা এবং এত উঁচু মানের একটি ম্যাচে ফুটবলারের আচরণ যা হওয়া উচিত ছিল, তার থেকে তাঁর আচরণ ছিল অনেক দূরে। এএস-এর কলামিস্ট লুইস তো লিখেছেন, পেপের এই আচরণ লজ্জাজনক। এটি মেনে নেওয়া যায় না। শাস্তি তাঁর প্রাপ্য।
এখনো অবশ্য স্পেনের ফুটবল সংস্থা পেপের কোনো শাস্তি ঘোষণা করেনি। বার্সেলোনার পক্ষ থেকেও সরাসরি শাস্তি দাবি করা হয়নি। কিন্তু বার্সার এই ঔদার্যই যেন আরও লজ্জায় ফেলে দিয়েছে রিয়ালকে। বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে বলেছেন, ‘তারা (ফুটবল ফেডারেশন) যদি মনে করে পেপের আচরণ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, ওর শাস্তি প্রাপ্য; তাহলে তারা শাস্তি দেবে। তবে আমি মনে করি না, বার্সার মতো ক্লাব খেলোয়াড়ের শাস্তি দাবি করবে।’ পিকে আরও হুল ফুটিয়েছেন এই বলে, ‘পেপের মতো কোনো সতীর্থ বার্সা ড্রেসিংরুমে নেই। আমি এমন সতীর্থ চাইও না।’
হোসে মরিনহোর মতো ছাঁচাছোলা ব্যক্তিও পেপে প্রসঙ্গে কূটনৈতিক উত্তর দিয়েছেন। তবে তাঁরও বক্তব্য, ‘পেপে যা করেছে দলের জন্য।’ সব মিলে এই পর্তুগিজ কোচের ওপরও চটেছে মাদ্রিদের পত্রিকাগুলো। বার্সেলোনার কাছে সর্বশেষ ১৩টি এল ক্লাসিকোর মাত্র একটি জিতেছে বার্সা—এদিকে ইঙ্গিত করে মার্কা লিখেছে, ‘মরিনহোর সর্বশেষ প্রদর্শনী ছিল জঘন্যতম। স্প্যানিশ ফুটবলে এর চেয়েও কম শক্তির দল নিয়ে বার্সার সঙ্গে দারুণ লড়াই করার অনেক উদাহরণ আছে এবং সেই লড়াইও হয়েছে অনেক ভদ্রোচিত।’ রয়টার্স, এএফপি।
সমালোচনার মুখে পেপে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদের ওয়েবসাইটে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে পেপে বলেছেন, ‘এটা ইচ্ছাকৃত ছিল না। তার পরও মেসি যদি আহত বোধ করে থাকে, আমি ক্ষমা চাইছি।’ এর পরের বাক্যটি যেন মাদ্রিদ সমর্থকদের কাছে তাঁর আকুতি, ‘আমি আমার দল আর এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই লড়াই করতে চেয়েছি। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে দলের জন্য খেলি। সতীর্থ কোনো খেলোয়াড়কে আহত করা কখনোই আমার মনে আসে না।’
সেদিনের ম্যাচটির ভিডিও ফুটেজ তো বটেই, পেপের অতীত রেকর্ডও তাঁর এই কথাকে সমর্থন করে না। রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা গেছে, ক্যালিয়নের ফাউলের শিকার হয়ে মাটিতে পড়ে থাকা মেসির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ইচ্ছা করেই বুট দিয়ে হাত মাড়িয়ে দিয়েছেন। মার্কা, এএসসহ সব পত্রিকাই এই ছবি ছেপেছে। ম্যাচের শুরুর দিকে সার্জিও বুসকেটসকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। লাল কার্ডও তাঁর প্রাপ্য ছিল।
সর্বশেষ গত চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পেপের লাল কার্ড নিয়েও অনেক শোরগোল হয়েছে। ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডও তাঁর ভালো নয়। ২০০৮-০৯ মৌসুমে গেটাফের এক খেলোয়াড়কে লাথি মেরে ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। গত ম্যাচে ফ্যাব্রিগাসের দিকেও তেড়ে গিয়েছিলেন মারমুখী ভঙ্গিতে।
যা করেছেন ক্লাবের জন্য—এমন দাবি পেপে যতই করুন, মাদ্রিদের কোনো পত্রিকা ছেড়ে কথা বলছে না। সমালোচনার কশাঘাতে পেপে তাই জর্জরিত। মার্কা লিখেছে, ‘পেপের খেলা হিংস্র, অতি আগ্রাসী, ছলচাতুরিতে ভরা এবং এত উঁচু মানের একটি ম্যাচে ফুটবলারের আচরণ যা হওয়া উচিত ছিল, তার থেকে তাঁর আচরণ ছিল অনেক দূরে। এএস-এর কলামিস্ট লুইস তো লিখেছেন, পেপের এই আচরণ লজ্জাজনক। এটি মেনে নেওয়া যায় না। শাস্তি তাঁর প্রাপ্য।
এখনো অবশ্য স্পেনের ফুটবল সংস্থা পেপের কোনো শাস্তি ঘোষণা করেনি। বার্সেলোনার পক্ষ থেকেও সরাসরি শাস্তি দাবি করা হয়নি। কিন্তু বার্সার এই ঔদার্যই যেন আরও লজ্জায় ফেলে দিয়েছে রিয়ালকে। বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে বলেছেন, ‘তারা (ফুটবল ফেডারেশন) যদি মনে করে পেপের আচরণ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, ওর শাস্তি প্রাপ্য; তাহলে তারা শাস্তি দেবে। তবে আমি মনে করি না, বার্সার মতো ক্লাব খেলোয়াড়ের শাস্তি দাবি করবে।’ পিকে আরও হুল ফুটিয়েছেন এই বলে, ‘পেপের মতো কোনো সতীর্থ বার্সা ড্রেসিংরুমে নেই। আমি এমন সতীর্থ চাইও না।’
হোসে মরিনহোর মতো ছাঁচাছোলা ব্যক্তিও পেপে প্রসঙ্গে কূটনৈতিক উত্তর দিয়েছেন। তবে তাঁরও বক্তব্য, ‘পেপে যা করেছে দলের জন্য।’ সব মিলে এই পর্তুগিজ কোচের ওপরও চটেছে মাদ্রিদের পত্রিকাগুলো। বার্সেলোনার কাছে সর্বশেষ ১৩টি এল ক্লাসিকোর মাত্র একটি জিতেছে বার্সা—এদিকে ইঙ্গিত করে মার্কা লিখেছে, ‘মরিনহোর সর্বশেষ প্রদর্শনী ছিল জঘন্যতম। স্প্যানিশ ফুটবলে এর চেয়েও কম শক্তির দল নিয়ে বার্সার সঙ্গে দারুণ লড়াই করার অনেক উদাহরণ আছে এবং সেই লড়াইও হয়েছে অনেক ভদ্রোচিত।’ রয়টার্স, এএফপি।
No comments