যন্ত্রণাকাতর শিশুটির দিকে কেউ তাকায়নি
প্রথমে একটি সাদা ছোট যান এসে ধাক্কা দিল দুই বছরের মেয়ে শিশু ইউ ইউকে। এরপর একটি ট্রাক এসে আঘাত করল। গত বৃহস্পতিবার চীনের গুয়াংদং প্রদেশের শিল্পনগর ফশানের একটি পাইকারি বাজারে, শিশুটির পারিবারিক দোকানের অদূরে এক রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ কথা জানায়।
না, এর পরও মারা যায়নি শিশুটি। রাস্তার পাশে তার রক্তাক্ত এইটুকুন শরীরটা ছটফট করছিল নরক-যন্ত্রণায়। কণ্ঠ চিরে বেরোচ্ছিল যন্ত্রণাকাতর ধ্বনি। তার পাশ দিয়ে তখন একের পর এক যাতায়াত করছে পথচারী। কিন্তু কেউ তার দিকে ফিরে তাকায়নি। কারও মন গলেনি কচিকণ্ঠের আর্তনাদে।
পর্যবেক্ষণ ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্যে দেখা যায়, কমপক্ষে ১৮ জন পথচারী আহত শিশুটির পাশ দিয়ে গেছে, কিন্তু কেউ ফিরে তাকায়নি। শেষে যিনি শিশুটিকে উদ্ধার করলেন, তিনি ৫৮ বছর বয়সী এক ছিন্নমূল, এখানে-সেখানে আবর্জনা ঘাঁটাই যাঁর কাজ।
তাঁর নাম চেন জিয়ানমেই। শিশুটিকে দেখামাত্র হাতের ব্যাগ ফেলে তিনি ছুটে যান শিশুটির কাছে। তার প্রাণ তখন যায় যায়। পরে তিনি শিশুটির মাকে খুঁজে বের করেন। মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শিশুটি এখন গুয়াংঝু শহরের একটি সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, কোনো অস্ত্রোপচারেই তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হবে না। সে কোমায় আছে। ভেন্টিলেটরের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে সে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চীনা মাইক্রো ব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে অনেক মন্তব্য এসেছে। তাঁরা বলেছেন, এই সমাজ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কুকুর বা বিড়ালকেও এভাবে হূদয়হীনভাবে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। ঘটনাটি বিবেকবান মানুষকে নাড়া দেওয়া উচিত।
না, এর পরও মারা যায়নি শিশুটি। রাস্তার পাশে তার রক্তাক্ত এইটুকুন শরীরটা ছটফট করছিল নরক-যন্ত্রণায়। কণ্ঠ চিরে বেরোচ্ছিল যন্ত্রণাকাতর ধ্বনি। তার পাশ দিয়ে তখন একের পর এক যাতায়াত করছে পথচারী। কিন্তু কেউ তার দিকে ফিরে তাকায়নি। কারও মন গলেনি কচিকণ্ঠের আর্তনাদে।
পর্যবেক্ষণ ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্যে দেখা যায়, কমপক্ষে ১৮ জন পথচারী আহত শিশুটির পাশ দিয়ে গেছে, কিন্তু কেউ ফিরে তাকায়নি। শেষে যিনি শিশুটিকে উদ্ধার করলেন, তিনি ৫৮ বছর বয়সী এক ছিন্নমূল, এখানে-সেখানে আবর্জনা ঘাঁটাই যাঁর কাজ।
তাঁর নাম চেন জিয়ানমেই। শিশুটিকে দেখামাত্র হাতের ব্যাগ ফেলে তিনি ছুটে যান শিশুটির কাছে। তার প্রাণ তখন যায় যায়। পরে তিনি শিশুটির মাকে খুঁজে বের করেন। মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শিশুটি এখন গুয়াংঝু শহরের একটি সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, কোনো অস্ত্রোপচারেই তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হবে না। সে কোমায় আছে। ভেন্টিলেটরের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে সে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চীনা মাইক্রো ব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে অনেক মন্তব্য এসেছে। তাঁরা বলেছেন, এই সমাজ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কুকুর বা বিড়ালকেও এভাবে হূদয়হীনভাবে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। ঘটনাটি বিবেকবান মানুষকে নাড়া দেওয়া উচিত।
No comments