পুঁজিবাজারে চাই সমন্বিত পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের অনশন
অর্থনীতির বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হওয়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পুলিশ গতকাল অনশনকারীদের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে থেকে তুলে দিলে তাঁরা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। পুঁজিবাজার নিয়ে এ রকম আন্দোলন বাংলাদেশে নতুন।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বাজার স্থিতিশীল করার অর্থবহ আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। তবে তাঁরা এও জানেন যে পুঁজিবাজার এমনই এক বিচিত্র জায়গা, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে একে ঠিক করার সূত্র থাকতে পারে না। সরকার বা কোনো সংস্থার হুকুমে নয়, বরং পুঁজিবাজারের বাড়া বা কমার বিষয়টি নির্ভর করে সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহের ওপর। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারও তার ব্যতিক্রম নয়।
তবে বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার আশা ছিল, সরকার শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে মনোযোগী হবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু কার্যত দু-একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলার মধ্যেই আইনগত কার্যক্রম সীমিত রয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে এমন সব রাঘব বোয়ালের নাম শোনা গেছে, যারা দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেএসব নিয়ে হতাশাই অনশন কর্মসূচিতে প্রতিফলিত হয়েছে। এর আগে তাঁরা দফায় দফায় রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে, এমনটা প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু বাজার স্থিতিশীল করার জন্য দফায় দফায় আশ্বাস দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে না কেন? তাহলে আশ্বাস দেওয়ার দরকার কী?
এদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে। বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মঈন খান তাঁর দল ক্ষমতায় এলে শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠন করে বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ না করা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও সংহতি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু মহাজোটের শরিক হিসেবে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। শেয়ারবাজারের বিষয়টি অর্থনৈতিক, এ নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়।
শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন-অনশনের মুখে সরকার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু কর রেয়াত প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। এই সিদ্ধান্তের পর গতকাল বাজার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে, বাজার চাঙা করার তাৎক্ষণিক ও বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে মধ্য মেয়াদে একটি সুপরিকল্পিত নীতি-কাঠামোর আওতায় পুঁজিবাজারের সংস্কার ও উন্নয়ন ঘটানোর দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। এরই অংশ হিসেবে শেয়ার কেলেঙ্কারির প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান ও তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বাজার স্থিতিশীল করার অর্থবহ আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। তবে তাঁরা এও জানেন যে পুঁজিবাজার এমনই এক বিচিত্র জায়গা, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে একে ঠিক করার সূত্র থাকতে পারে না। সরকার বা কোনো সংস্থার হুকুমে নয়, বরং পুঁজিবাজারের বাড়া বা কমার বিষয়টি নির্ভর করে সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহের ওপর। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারও তার ব্যতিক্রম নয়।
তবে বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার আশা ছিল, সরকার শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে মনোযোগী হবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু কার্যত দু-একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলার মধ্যেই আইনগত কার্যক্রম সীমিত রয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে এমন সব রাঘব বোয়ালের নাম শোনা গেছে, যারা দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেএসব নিয়ে হতাশাই অনশন কর্মসূচিতে প্রতিফলিত হয়েছে। এর আগে তাঁরা দফায় দফায় রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে, এমনটা প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু বাজার স্থিতিশীল করার জন্য দফায় দফায় আশ্বাস দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে না কেন? তাহলে আশ্বাস দেওয়ার দরকার কী?
এদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে। বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মঈন খান তাঁর দল ক্ষমতায় এলে শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠন করে বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ না করা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও সংহতি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু মহাজোটের শরিক হিসেবে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। শেয়ারবাজারের বিষয়টি অর্থনৈতিক, এ নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়।
শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন-অনশনের মুখে সরকার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু কর রেয়াত প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। এই সিদ্ধান্তের পর গতকাল বাজার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে, বাজার চাঙা করার তাৎক্ষণিক ও বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে মধ্য মেয়াদে একটি সুপরিকল্পিত নীতি-কাঠামোর আওতায় পুঁজিবাজারের সংস্কার ও উন্নয়ন ঘটানোর দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। এরই অংশ হিসেবে শেয়ার কেলেঙ্কারির প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান ও তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য।
No comments