স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কীসের বন্ধুত্ব? প্রশ্ন খালেদা জিয়া
বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটের বিষয়টি ইঙ্গিত করে
বলেছেন, বন্ধুত্ব ভালো। কিন্তু নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব? এ
রকম বন্ধুত্ব কেউ চায় না। সমানে সমান হলে সেটাকে বন্ধুত্ব বলে। না হলে
সেটা হয় দাসত্ব।
আজ রোববার রাতে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ময়মনসিংহ জেলা বার ইউনিটের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। তবে এসব কথা বলার সময় তিনি একবারও ভারতের নাম উল্লেখ করেননি।
খালেদা জিয়া কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘যমুনা সেতু দিয়ে যেতে বাংলাদেশের জনগণকে টোল দিতে হয়। কিন্তু অন্য অনেক দেশ সেতু ব্যবহার করে টাকা-পয়সা দেবে না, কিছু দেবে না। হেভি হেভি গাড়ি যাবে, টোল দেবে না। এ রাস্তা কি লোড নিতে পারবে? তিনি আরও বলেন, যাতায়াতে বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু টাকা দিয়ে যাবে।’
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার বিরোধিতা করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হলে সুন্দরবন শেষ হয়ে যাবে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি অন্য কোনো জায়গায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করার আহ্বান জানান।
গত ২৫ মে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের ১৯টি বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেদিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘দেশে এখন রাজতন্ত্র চলছে। একটা পরিবারের শাসন। সব করবে, সব পাবে। মানুষ পাক, না পাক; এই পরিবারের সব সুবিধা থাকবে।’
পুলিশের সমালোচনা করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, পুলিশ এখন সরকারের চেয়েও বড় হয়ে গেছে। তারা এখন বড় সরকার। পুলিশ বলে, তারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। তাই গুম-খুন অত্যাচার করছে। কিন্তু পুলিশ র্যাব দিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় যায় না।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার অন্যায়ভাবে বিএনপি-সমর্থিত নির্বাচিত মেয়রদের বরখাস্ত করছে। কিন্তু তারা এটা করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে আসার কথা। কিন্তু কোর্টও নিরপেক্ষতা রাখছে না। আমরা চাচ্ছি সুবিচার, তা পাচ্ছি না।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিধা ছিল। কিন্তু সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে, এ সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, তারা তদন্ত করছে না। তদন্ত করলে চোর ধরা পড়বে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আজ রোববার রাতে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ময়মনসিংহ জেলা বার ইউনিটের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। তবে এসব কথা বলার সময় তিনি একবারও ভারতের নাম উল্লেখ করেননি।
খালেদা জিয়া কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘যমুনা সেতু দিয়ে যেতে বাংলাদেশের জনগণকে টোল দিতে হয়। কিন্তু অন্য অনেক দেশ সেতু ব্যবহার করে টাকা-পয়সা দেবে না, কিছু দেবে না। হেভি হেভি গাড়ি যাবে, টোল দেবে না। এ রাস্তা কি লোড নিতে পারবে? তিনি আরও বলেন, যাতায়াতে বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু টাকা দিয়ে যাবে।’
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার বিরোধিতা করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হলে সুন্দরবন শেষ হয়ে যাবে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি অন্য কোনো জায়গায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করার আহ্বান জানান।
গত ২৫ মে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের ১৯টি বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেদিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘দেশে এখন রাজতন্ত্র চলছে। একটা পরিবারের শাসন। সব করবে, সব পাবে। মানুষ পাক, না পাক; এই পরিবারের সব সুবিধা থাকবে।’
পুলিশের সমালোচনা করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, পুলিশ এখন সরকারের চেয়েও বড় হয়ে গেছে। তারা এখন বড় সরকার। পুলিশ বলে, তারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। তাই গুম-খুন অত্যাচার করছে। কিন্তু পুলিশ র্যাব দিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় যায় না।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার অন্যায়ভাবে বিএনপি-সমর্থিত নির্বাচিত মেয়রদের বরখাস্ত করছে। কিন্তু তারা এটা করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে আসার কথা। কিন্তু কোর্টও নিরপেক্ষতা রাখছে না। আমরা চাচ্ছি সুবিচার, তা পাচ্ছি না।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিধা ছিল। কিন্তু সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে, এ সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, তারা তদন্ত করছে না। তদন্ত করলে চোর ধরা পড়বে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments