বিমানবন্দর রেলস্টেশন- দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের মুক্তি নেই by সামছুর রহমান
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাত্রীদের বসার চেয়ার ভাঙা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের l ছবি: প্রথম আলো |
সামনের
ভাঙাচোরা সড়ক, বেদখল হওয়া ফুটপাত, ময়লা-আবর্জনা, ভবঘুরে-মাদকাসক্তদের
উৎপাত, নারীদের পৃথক শৌচাগার না থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজধানীর
বিমানবন্দর রেলস্টেশন। তাই স্টেশনে প্রবেশের সময় থেকে পদে পদে যাত্রীদের
পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, বিমানবন্দর গোলচত্বর থেকে স্টেশনের সামনের প্রায় ২০০ গজ সড়ক ভাঙাচোরা, এবড়োখেবড়ো। সড়কে জমে থাকা হাঁটু পরিমাণ পানি না মাড়িয়ে স্টেশন চত্বরে ঢোকার উপায় নেই। কয়েকজন যাত্রী বেশ কসরত করে লোহার গ্রিলের ওপর দিয়ে স্টেশন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন। ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন পার হলেই জমে থাকা পানিতে ঢেউ উঠছে। তা দেখে এক পথচারীর সরস মন্তব্য, ‘পদ্মা সেতু তো আগে এখানে দরকার!’
পরিবার নিয়ে রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন খালেদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাসা উত্তরায় বলে বাধ্য হয়ে এই স্টেশন ব্যবহার করি। না হলে পরিবার নিয়ে এখানে আসতাম না।’
দেখা গেল, স্টেশনের সামনের সড়ক দিয়ে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাওয়ার সময় পানি ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে সড়কের মাঝে থেমে আছে। আর সড়কের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে গাড়ি মেরামতের দোকান, খাবারের দোকান, বিভিন্ন রুটে চলা বাসের টিকিট কাউন্টার।
স্টেশন চত্বরের আঙিনায় কয়েক জায়গায় ময়লা স্তূপ করে রাখা। ময়লার পাশে লোকজন প্রকাশ্যে মূত্র ত্যাগ করছে। ময়লা ও বৃষ্টির পানি মিলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্টেশনের ভেতরেও ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ মাথায় ময়লার স্তূপ। স্টেশনের সামনের দিকের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় নোংরা পানি জমে আছে।
মূল স্টেশনে প্রবেশের ফটকের সামনে দীর্ঘ সারি। প্রবেশমুখ প্রায় বন্ধ। কারণ, স্টেশনের বাইরেই জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টার। যাত্রীরা টিকিট কেনার জন্য এমনভাবে দাঁড়িয়েছেন, অন্য যাত্রীদের স্টেশনে ঢুকতে-বেরোতে কষ্ট করতে হচ্ছে।
রেলস্টেশনের ভেতরে শৌচাগারে জায়গা ফাঁকা নেই বলে সারিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন সাত-আটজন। তাঁদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। কারণ নারীদের জন্য পৃথক কোনো শৌচাগার নেই। চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের এক নারী যাত্রী শৌচাগারে যেতে এভাবে পুরুষদের সঙ্গে সারিতে দাঁড়াতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তিনি বলেন, ‘এ দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন তিনজন চেকার। তাঁদের একজন টিকিটবিহীন দুই যাত্রীকে টেনে নিয়ে গেলেন টিসি কার্যালয়ের সামনে। কিছুক্ষণ কথা বলে চেকারের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে চলে গেলেন দুই যাত্রী। কোনো রসিদ ছাড়া এভাবে টাকা নিলেন কেন, জানতে চাইলে তিনি উদ্ধত হয়ে ওঠেন। নাম জানতে চাইলে বলেন, ‘নাম দিয়ে কী হবে? টাকা দিছে, নিছি।’
এক প্ল্যাটফর্ম থেকে আরেকটিতে যাওয়ার জন্য পদচারী সেতু থাকলেও সীমিতসংখ্যক যাত্রীকেই তা ব্যবহার করতে দেখা যায়। সবাই ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের ওপর দিয়েই পার হচ্ছে। পদচারী সেতুতে ওঠার পথেই বিপত্তি। পদচারী সেতুর সিঁড়িতে পরে আছে মনুষ্য বর্জ্য। কোনো যাত্রী তা পা দিয়ে মাড়ানোয় ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ।
স্টেশনের এ অবস্থা নিয়ে কথা বলতে স্টেশনমাস্টার হরি গোপাল সেনের কক্ষে গেলে তিনি প্রথমে বলেন, ‘এখন কোনো কথা নেই। আপনি পরে আসেন।’ পরে কখন জানতে চাইলে তিনি কোনো সময় উল্লেখ করেননি। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর খোঁজ করলে তাঁকে আর কক্ষে পাওয়া যায়নি।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, বিমানবন্দর গোলচত্বর থেকে স্টেশনের সামনের প্রায় ২০০ গজ সড়ক ভাঙাচোরা, এবড়োখেবড়ো। সড়কে জমে থাকা হাঁটু পরিমাণ পানি না মাড়িয়ে স্টেশন চত্বরে ঢোকার উপায় নেই। কয়েকজন যাত্রী বেশ কসরত করে লোহার গ্রিলের ওপর দিয়ে স্টেশন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন। ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন পার হলেই জমে থাকা পানিতে ঢেউ উঠছে। তা দেখে এক পথচারীর সরস মন্তব্য, ‘পদ্মা সেতু তো আগে এখানে দরকার!’
পরিবার নিয়ে রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন খালেদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাসা উত্তরায় বলে বাধ্য হয়ে এই স্টেশন ব্যবহার করি। না হলে পরিবার নিয়ে এখানে আসতাম না।’
দেখা গেল, স্টেশনের সামনের সড়ক দিয়ে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাওয়ার সময় পানি ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে সড়কের মাঝে থেমে আছে। আর সড়কের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে গাড়ি মেরামতের দোকান, খাবারের দোকান, বিভিন্ন রুটে চলা বাসের টিকিট কাউন্টার।
স্টেশন চত্বরের আঙিনায় কয়েক জায়গায় ময়লা স্তূপ করে রাখা। ময়লার পাশে লোকজন প্রকাশ্যে মূত্র ত্যাগ করছে। ময়লা ও বৃষ্টির পানি মিলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্টেশনের ভেতরেও ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ মাথায় ময়লার স্তূপ। স্টেশনের সামনের দিকের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় নোংরা পানি জমে আছে।
মূল স্টেশনে প্রবেশের ফটকের সামনে দীর্ঘ সারি। প্রবেশমুখ প্রায় বন্ধ। কারণ, স্টেশনের বাইরেই জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টার। যাত্রীরা টিকিট কেনার জন্য এমনভাবে দাঁড়িয়েছেন, অন্য যাত্রীদের স্টেশনে ঢুকতে-বেরোতে কষ্ট করতে হচ্ছে।
রেলস্টেশনের ভেতরে শৌচাগারে জায়গা ফাঁকা নেই বলে সারিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন সাত-আটজন। তাঁদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। কারণ নারীদের জন্য পৃথক কোনো শৌচাগার নেই। চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের এক নারী যাত্রী শৌচাগারে যেতে এভাবে পুরুষদের সঙ্গে সারিতে দাঁড়াতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তিনি বলেন, ‘এ দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন তিনজন চেকার। তাঁদের একজন টিকিটবিহীন দুই যাত্রীকে টেনে নিয়ে গেলেন টিসি কার্যালয়ের সামনে। কিছুক্ষণ কথা বলে চেকারের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে চলে গেলেন দুই যাত্রী। কোনো রসিদ ছাড়া এভাবে টাকা নিলেন কেন, জানতে চাইলে তিনি উদ্ধত হয়ে ওঠেন। নাম জানতে চাইলে বলেন, ‘নাম দিয়ে কী হবে? টাকা দিছে, নিছি।’
এক প্ল্যাটফর্ম থেকে আরেকটিতে যাওয়ার জন্য পদচারী সেতু থাকলেও সীমিতসংখ্যক যাত্রীকেই তা ব্যবহার করতে দেখা যায়। সবাই ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের ওপর দিয়েই পার হচ্ছে। পদচারী সেতুতে ওঠার পথেই বিপত্তি। পদচারী সেতুর সিঁড়িতে পরে আছে মনুষ্য বর্জ্য। কোনো যাত্রী তা পা দিয়ে মাড়ানোয় ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ।
স্টেশনের এ অবস্থা নিয়ে কথা বলতে স্টেশনমাস্টার হরি গোপাল সেনের কক্ষে গেলে তিনি প্রথমে বলেন, ‘এখন কোনো কথা নেই। আপনি পরে আসেন।’ পরে কখন জানতে চাইলে তিনি কোনো সময় উল্লেখ করেননি। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর খোঁজ করলে তাঁকে আর কক্ষে পাওয়া যায়নি।
No comments