শনাক্তই হয়নি কেউ, আতঙ্কে ক্যাম্পবাসী by নজরুল ইসলাম
হামলার ক্ষতচিহ্ন এখনো রয়েছে রাজধানীর কালশীতে বিহারি ক্যাম্পের ঘরের দেয়ালে l ছবি: প্রথম আলো |
পল্লবীর
বিহারি ক্যাম্পে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও একই পরিবারের নয়জনকে পুড়িয়ে
মারাসহ ১০ হত্যার এক বছরেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কাউকে শনাক্তই করতে পারেনি
পুলিশ। উপরন্তু হামলার শিকার ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে মামলায় থাকায় তাঁরা
আতঙ্কে ভুগছেন। সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ থাকায় আসামিদের
শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কোনো আগ্রহ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ
রোববার এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। আতঙ্কের কারণ হিসেবে পল্লবীর
কালশী-সংলগ্ন কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন,
হত্যাকাণ্ড, ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হলেও তখন পুলিশ তাঁদের মামলা
নেয়নি। এসব ঘটনায় পুলিশ চারটি ও তাদের পছন্দের দুই ব্যক্তিকে দিয়ে দুটি
মামলা করায়। মামলায় মোট ৩ হাজার ৭১৪ জন ক্যাম্পবাসীকে আসামি করা হয়েছে।
সরকারদলীয় সাংসদ ইলিয়াসউদ্দিন মোল্লাহ্র মদদে জুয়েল রানার সমর্থক ও পুলিশ
যৌথভাবে হামলা চালায় বলে অভিযোগ আছে। জুয়েল রানা পল্লবী থানা যুবলীগের
সাধারণ সম্পাদক। জুয়েল রানাকে ফোন করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
অবশ্য সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। তিনি একাধিকবার প্রথম আলোকে বলেছেন, ওই হামলায় তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল না। তাঁর কোনো লোকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গতকাল তাঁর মুঠোফোন ও বাসার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
‘বিহারি’ হিসেবে পরিচিত আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ওই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে গত বছরের ১৩ জুন গভীর রাত থেকে পাশের বাউনিয়াবাদের যুবলীগের নেতা জুয়েল রানার সমর্থক ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়৷ সংঘর্ষের একপর্যায়ে পরদিন ১৪ জুন সকালে ক্যাম্পের আটটি ঘরে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ করলে ইয়াসিন আলীর পরিবারের নারী-শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর এক মেয়ে ফারজানা দগ্ধ হলেও কাটা বেড়া দিয়ে সেদিন কোনোমতে সে বেরিয়ে আসে। আর পুলিশের গুলিতে নিহত হন ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. আজাদ। ইয়াসিন সেদিন বাইরে থাকায় বেঁচে গেলেও গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে বাসের ধাক্কায় মারা যান। পরদিন তাঁর ফুফাতো ভাই মো. আলমের করা মামলার বিবরণে লেখা হয়েছে, ইয়াসিনের মৃত্যুতে ওই দুর্বৃত্তদের হাত থাকতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের পূর্ব দিকে টিনের যে ঘরটি পুড়ে ইয়াসিনের পরিবারের নয়জন মারা গেছেন, সেখানে একতলা পাকা ঘর গড়ে তুলে মাদ্রাসা করা হয়েছে। মাদ্রাসার চারদিকের দেয়ালে টিনের ছাউনি দিয়ে কয়েকটি দোকানঘর তোলা হয়েছে। ক্যাম্পের পশ্চিমে বিহারিদের সংগঠন স্ট্রান্ড্রেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপ্যাট্রিয়েশন কমিটির (এসপিজিআরসি) দপ্তরের দেয়ালে ১০ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে একটি পোস্টার ঝুলছিল।
এসপিজিআরসির কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন বলেন, ‘মামলা করতে আদালতে যাওয়ার দুই দিন আগে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ইয়াসিনকে বাসের ধাক্কায় মেরা ফেলা হলো। ইয়াসিনের মতো পরিণতির আশঙ্কায় এখন ক্যাম্পের অন্যরা ১০ হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন। হামলাকারী সরকারদলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশ। তাই পুলিশ মামলার কোনো তদন্ত করছে না। তাদের গ্রেপ্তার করা তো দূরের কথা, কাউকে শনাক্তই করতে পারেনি। আজ ১০ হত্যার বিচার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের সামনে মানববন্ধন করবে বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দারা।’ তিনি বলেন, পুলিশ তাঁদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে সেই কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডের শেল, রাবার বুলেটে সংগ্রহ করে চাদরের পোঁটলা বেঁধে রেখেছেন। সেগুলো এই প্রতিবেদকে দেখিয়ে বলেন, এসব আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
ক্যাম্পবাসী ও আশপাশের লোকজন জানান, কালশী সড়কসংলগ্ন উড়ালসড়ক নির্মাণ এবং এলাকার উন্নতি ঘটায় জমির দাম অনেক বেড়ে গেছে। এখান থেকে বিহারিদের উচ্ছেদ করে বিপণিবিতান নির্মাণ করাই লক্ষ্য ছিল সাংসদের। বস্তিতে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিয়ে সাংসদের সঙ্গে ক্যাম্পবাসীর বিরোধের বিষয়টি একটি অজুহাত মাত্র। হামলার পরদিন তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন এবং সাংসদের কুশপুত্তলিকা পোড়ান। সরকারের পক্ষ থেকে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগও নেই।
এসপিজিআরসি কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে দেওয়া হয়েছিল। অথচ অভিযোগ ওঠা যুবলীগের নেতাকে পুলিশ আটক করল না।
নিহত আজাদের কুর্মিটোলা ক্যাম্পের ছোট্ট ছাপড়া ঘরে গেলে তাঁর মা বৃদ্ধা মা সাইদা বেগম বিলাপ করে বলেন, ‘পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করতে গেলে আমাদেরও ইয়াসিনের মতো পরিণতি হবে। তাই বিচারের ভার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
ক্যাম্পের বাসিন্দারা ক্যাম্পের ওপর হামলার ছবি দেখান। এতে দেখা যায়, পুলিশের সামনেই একদল যুবক ক্যাম্পে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। বিহারিরা মুঠোফোনে ধারণ করা বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখান, যেগুলোতে পুলিশের সঙ্গে থেকে বস্তির দোকানে হামলা চালাতে, কোপাতে দেখা যায়।
যোগাযোগ করা হলে গতকাল এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত খান বলেন, গত ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ১০ হত্যার বিচার দাবি ও কুর্মিটোলা ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে ছয়টি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী ঢাকার জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
সরকারি কাজে বাধাদান, লুটপাট, ভাঙচুর ও ১০ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে হওয়া ছয়টি মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলাগুলোর তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ছয় মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তাঁরা অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। আসামি শনাক্ত হলে ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জুয়েল রানাসহ শতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে শত শত ব্যক্তিকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেলেও হামলাকারীর কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।
গত ডিসেম্বরের আগে এই কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাদান, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। শিগগিরই এসব মামলায় ক্যাম্পবাসীকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
অবশ্য সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। তিনি একাধিকবার প্রথম আলোকে বলেছেন, ওই হামলায় তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল না। তাঁর কোনো লোকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গতকাল তাঁর মুঠোফোন ও বাসার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
‘বিহারি’ হিসেবে পরিচিত আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ওই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে গত বছরের ১৩ জুন গভীর রাত থেকে পাশের বাউনিয়াবাদের যুবলীগের নেতা জুয়েল রানার সমর্থক ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়৷ সংঘর্ষের একপর্যায়ে পরদিন ১৪ জুন সকালে ক্যাম্পের আটটি ঘরে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ করলে ইয়াসিন আলীর পরিবারের নারী-শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর এক মেয়ে ফারজানা দগ্ধ হলেও কাটা বেড়া দিয়ে সেদিন কোনোমতে সে বেরিয়ে আসে। আর পুলিশের গুলিতে নিহত হন ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. আজাদ। ইয়াসিন সেদিন বাইরে থাকায় বেঁচে গেলেও গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে বাসের ধাক্কায় মারা যান। পরদিন তাঁর ফুফাতো ভাই মো. আলমের করা মামলার বিবরণে লেখা হয়েছে, ইয়াসিনের মৃত্যুতে ওই দুর্বৃত্তদের হাত থাকতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের পূর্ব দিকে টিনের যে ঘরটি পুড়ে ইয়াসিনের পরিবারের নয়জন মারা গেছেন, সেখানে একতলা পাকা ঘর গড়ে তুলে মাদ্রাসা করা হয়েছে। মাদ্রাসার চারদিকের দেয়ালে টিনের ছাউনি দিয়ে কয়েকটি দোকানঘর তোলা হয়েছে। ক্যাম্পের পশ্চিমে বিহারিদের সংগঠন স্ট্রান্ড্রেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপ্যাট্রিয়েশন কমিটির (এসপিজিআরসি) দপ্তরের দেয়ালে ১০ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে একটি পোস্টার ঝুলছিল।
এসপিজিআরসির কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন বলেন, ‘মামলা করতে আদালতে যাওয়ার দুই দিন আগে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ইয়াসিনকে বাসের ধাক্কায় মেরা ফেলা হলো। ইয়াসিনের মতো পরিণতির আশঙ্কায় এখন ক্যাম্পের অন্যরা ১০ হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন। হামলাকারী সরকারদলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশ। তাই পুলিশ মামলার কোনো তদন্ত করছে না। তাদের গ্রেপ্তার করা তো দূরের কথা, কাউকে শনাক্তই করতে পারেনি। আজ ১০ হত্যার বিচার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের সামনে মানববন্ধন করবে বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দারা।’ তিনি বলেন, পুলিশ তাঁদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে সেই কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডের শেল, রাবার বুলেটে সংগ্রহ করে চাদরের পোঁটলা বেঁধে রেখেছেন। সেগুলো এই প্রতিবেদকে দেখিয়ে বলেন, এসব আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
ক্যাম্পবাসী ও আশপাশের লোকজন জানান, কালশী সড়কসংলগ্ন উড়ালসড়ক নির্মাণ এবং এলাকার উন্নতি ঘটায় জমির দাম অনেক বেড়ে গেছে। এখান থেকে বিহারিদের উচ্ছেদ করে বিপণিবিতান নির্মাণ করাই লক্ষ্য ছিল সাংসদের। বস্তিতে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিয়ে সাংসদের সঙ্গে ক্যাম্পবাসীর বিরোধের বিষয়টি একটি অজুহাত মাত্র। হামলার পরদিন তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন এবং সাংসদের কুশপুত্তলিকা পোড়ান। সরকারের পক্ষ থেকে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগও নেই।
এসপিজিআরসি কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে দেওয়া হয়েছিল। অথচ অভিযোগ ওঠা যুবলীগের নেতাকে পুলিশ আটক করল না।
নিহত আজাদের কুর্মিটোলা ক্যাম্পের ছোট্ট ছাপড়া ঘরে গেলে তাঁর মা বৃদ্ধা মা সাইদা বেগম বিলাপ করে বলেন, ‘পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করতে গেলে আমাদেরও ইয়াসিনের মতো পরিণতি হবে। তাই বিচারের ভার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
ক্যাম্পের বাসিন্দারা ক্যাম্পের ওপর হামলার ছবি দেখান। এতে দেখা যায়, পুলিশের সামনেই একদল যুবক ক্যাম্পে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। বিহারিরা মুঠোফোনে ধারণ করা বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখান, যেগুলোতে পুলিশের সঙ্গে থেকে বস্তির দোকানে হামলা চালাতে, কোপাতে দেখা যায়।
যোগাযোগ করা হলে গতকাল এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত খান বলেন, গত ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ১০ হত্যার বিচার দাবি ও কুর্মিটোলা ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে ছয়টি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী ঢাকার জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
সরকারি কাজে বাধাদান, লুটপাট, ভাঙচুর ও ১০ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে হওয়া ছয়টি মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলাগুলোর তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ছয় মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তাঁরা অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। আসামি শনাক্ত হলে ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জুয়েল রানাসহ শতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে শত শত ব্যক্তিকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেলেও হামলাকারীর কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।
গত ডিসেম্বরের আগে এই কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাদান, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্যাম্পবাসীর বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। শিগগিরই এসব মামলায় ক্যাম্পবাসীকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
No comments