নিজ থেকে জোট ছাড়বে না জামায়াত by আহমেদ জামাল
রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দল হিসেবে টিকে থাকাই এই মুহূর্তে জামায়াতের চাওয়া। এজন্য আপাতত কোন আন্দোলন নয়, কেবল সংগঠন নিয়েই ভাবছে দলটি। দলটির দায়িত্বশীল সূত্রে বিষয়টি স্বীকার করে বলা হয়, কারাবন্দি শীর্ষ নেতারাও এমন বার্তা দিয়েছেন সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের। দলের বড় কোন বিপর্যয়েও কঠিন সিদ্ধান্তে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। জামায়াতের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, নানা কারণে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আক্ষরিক অর্থেই সংকটময়। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা, কারাগারে আটক দলের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতাসহ তৃণমূলের প্রায় আট হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকের মুক্তি এবং সাংগঠনিক ভিত মজবুত করাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। এ জন্য বড় কোন ইস্যু সৃষ্টি না হলে নিকট ভবিষ্যতে মঞ্চ-ময়দানের কোন কর্মসূচি দিতে রাজি নয় দলটির নীতিনির্ধারকরা। জামায়াত নেতাদের মতে, চলমান পরিস্থিতিতে একাকী আন্দোলন করে কোন ফল পাওয়া যাবে না। তাই একক আন্দোলনের কোন চিন্তা আপাতত জামায়াতের মাথায় নেই। ওদিকে জোটে থাকা না থাকা নিয়েও জামায়াতের তেমন ভাবনা নেই। তারা বলেন, নিজ থেকে জামায়াত জোট ভাঙবে না বা জোট ছেড়ে যাবে না। জোট ভাঙার বদনাম মাথায় নিতে চায় না তারা। তবে জোটের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাদের বাদ দেয়া হলে আপত্তি করবে না। এ নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনার প্রেক্ষাপটে তারা মনে করেন, কৌশলগত কারণে বিএনপিও জোট ভাঙার ঝুঁকি নিতে চায় না। তারা চায় সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দিলে দলটি আপনা আপনি জোটছাড়া হবে। সেক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা থাকবে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বরাবর কৌশলী ভূমিকায় আছে সরকার। জামায়াত নেতাদের মতে, সরকার চায় প্রায় একই মতাদর্শের এই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে কেবল ভাঙন সৃষ্টি নয়, রাজনৈতিক বৈরিতাও তৈরি করার। যা ভোটের রাজনীতিতে কাজে লাগবে। তাই বিএনপি ঘোষণা দিয়ে জামায়াতকে জোট থেকে বাদ দিলে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে দুই দলের সাধারণ কর্মী সমর্থক এমনকি ভোটারদের মাঝেও। আগামী নির্বাচনে যার সুবিধা ভোগ করবে আওয়ামী লীগ। তাই নানা মহলের দোহাই দিয়ে সরকার জামায়াতকে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় এমন ধারণা তাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সংলাপ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে তিন মাসব্যাপী লাগাতার আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর যতোটা সম্ভব গা বাঁচিয়ে থাকার চেষ্টা করছে জামায়াত। এ জন্য এই মুহূর্তে আন্দোলনের নামে আর শক্তি ক্ষয় করতে চাচ্ছে না তারা। আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে সাংগঠনিক তৎপরতা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিবৃতির মাধ্যমেই সময় পার করছে শীর্ষ নেতারা। দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে এই কৌশল নেয়া হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রের অভিমত। সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালের আন্দোলনে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সীমাহীন। বিশেষ করে দলটির নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা এবং ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হরতাল-অবরোধে রাজধানী ছাড়াও দেশের অন্তত ২৬টি জেলায় জামায়াত-শিবিরের সর্বাত্মক আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। সম্পদের ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। জামায়াতের হিসাবে বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে এই ছয় বছরে প্রায় পাঁচ শ’ জামায়াত-শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ হাজার। পঙ্গু হয়েছেন ২০০০। মামলা হয়েছে ৩০ হাজার। এর মধ্যে কেবল ঢাকা মহানগরীতে চার হাজার মামলা হয়েছে। রাজধানীর রমনা থানায় জামায়াত- শিবিরের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৮৬টি। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন পাঁচ লাখের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক। ভবিষ্যৎ নির্বাচন কিংবা যে কোন আন্দোলনের আগে এসব নেতাকর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে চায় জামায়াত। দলটির মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় একাধিক নেতা জানান, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নেই প্রথম সারির এমন বেশকিছু নেতা দীর্ঘদিন বিনা বিচারে আটক আছেন। তাদের মধ্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর আমীর শামসুল ইসলাম, সিলেট সিটি আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, রাজশাহীর সাবেক আমীর আতাউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমীর মাওলানা মাইনুদ্দীন আহমাদ, সাতক্ষীরা জেলা আমীর আবদুল খালেক, মুন্সীগঞ্জ জেলা আমীর এবিএম ফজলুল করিম, যশোরের আমীর আবদুর রশিদ, গাইবান্ধার আমীর ডা. আবদুর রহিম সরকার, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, শিবিরের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দল পরিচালনার জন্য এসব নেতার বিশেষ প্রয়োজন। তাই আগে এদের মুক্ত করতে চায় জামায়াত। তাই বড় কোন ইস্যু ছাড়া এ মুহূর্তে নীরব থাকতে চায় তারা। এদিকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিকভাবে দলটি নিষিদ্ধ হওয়ার দাবি আবারও সামনে চলে এসেছে। আলোচনায় আছে জোট ভেঙে যাওয়ার বিষয়টিও। এ পর্যায়ে জামায়াত অনেকটা সাবধানী ভূমিকায় আছে। দলটির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনাও তাই। যার কারণে সম্প্রতি দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পরও বেশ নির্বিকার থাকে নেতাকর্মী সমর্থকরা। আগামী ১৬ই জুন সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা দেয়া হবে। ওই রায় বিরুদ্ধে গেলেও কঠোর কোন প্রতিক্রিয়া না দেখানোর সিদ্ধান্ত আছে দলের ভেতর। নিজ থেকে জোট ছেড়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তো আছেই। এসব বিবেচনায় সাম্প্রতিক সিটি নির্বাচনে শিথিলতা দেখা যায় জামায়াতের। এই নির্বাচনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। দেখা দেয় বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি, ব্যাপক অনিয়ম এবং ভোট ডাকাতির অভিযোগে ২০দলীয় জোট এই নির্বাচন বর্জন করে। জামায়াত ২০ দলের অন্যতম শরিক। তাহলে নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে জামায়াতকে আলাদা ঘোষণা দিতে হবে কেন? জোটের প্রধান শরিকের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর অন্য কোন শরিক আলাদা ঘোষণা দেয়নি। তাহলে জামায়াতের একক ঘোষণার দাবি অযৌক্তিক। এদিকে সম্প্রতি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সংসদে জামায়াত নিষিদ্ধের বিল উত্থাপনের ঘোষণা দেন। এতে ২০ দলের শরিক দলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের এক তরুণ সদস্য বলেন, অঘোষিতভাবে জামায়াত এখনও নিষিদ্ধের মতোই। তিন বছর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সব অফিস বন্ধ। প্রকাশ্য গোপনে কোথাও কোন সভা- সমাবেশ করতে পারে না জামায়াত। নীরবে বাসা-বাড়িতে থাকতে পারছে না নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। হোটেলে খেতে গেলে সেখান থেকেও নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। তবে এসব করেও জামায়াতের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায়নি। তিনি বলেন, জামায়াত কোন ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল নয়। আদর্শকেন্দ্রিক দল। যার কারণে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গণহারে বন্দি করেও কাবু করা যায়নি। নিষিদ্ধ করে আর কি করবে। তার মতে, প্রায় এক কোটি লোক নানাভাবে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিষিদ্ধ করে এই এক কোটি লোককে দেশ থেকে বের করে দেয়া যাবে না। মেরে ফেলাও যাবে না। রাখা যাবে না কারাগারে। সুতরাং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে জোট থেকে বিচ্ছিন্ন করে সরকার বা তৃতীয় কোন পক্ষ সুফল পাবে না। পেতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সংলাপ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে তিন মাসব্যাপী লাগাতার আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর যতোটা সম্ভব গা বাঁচিয়ে থাকার চেষ্টা করছে জামায়াত। এ জন্য এই মুহূর্তে আন্দোলনের নামে আর শক্তি ক্ষয় করতে চাচ্ছে না তারা। আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে সাংগঠনিক তৎপরতা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিবৃতির মাধ্যমেই সময় পার করছে শীর্ষ নেতারা। দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে এই কৌশল নেয়া হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রের অভিমত। সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালের আন্দোলনে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সীমাহীন। বিশেষ করে দলটির নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা এবং ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হরতাল-অবরোধে রাজধানী ছাড়াও দেশের অন্তত ২৬টি জেলায় জামায়াত-শিবিরের সর্বাত্মক আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। সম্পদের ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। জামায়াতের হিসাবে বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে এই ছয় বছরে প্রায় পাঁচ শ’ জামায়াত-শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ হাজার। পঙ্গু হয়েছেন ২০০০। মামলা হয়েছে ৩০ হাজার। এর মধ্যে কেবল ঢাকা মহানগরীতে চার হাজার মামলা হয়েছে। রাজধানীর রমনা থানায় জামায়াত- শিবিরের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৮৬টি। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন পাঁচ লাখের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক। ভবিষ্যৎ নির্বাচন কিংবা যে কোন আন্দোলনের আগে এসব নেতাকর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে চায় জামায়াত। দলটির মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় একাধিক নেতা জানান, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নেই প্রথম সারির এমন বেশকিছু নেতা দীর্ঘদিন বিনা বিচারে আটক আছেন। তাদের মধ্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর আমীর শামসুল ইসলাম, সিলেট সিটি আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, রাজশাহীর সাবেক আমীর আতাউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমীর মাওলানা মাইনুদ্দীন আহমাদ, সাতক্ষীরা জেলা আমীর আবদুল খালেক, মুন্সীগঞ্জ জেলা আমীর এবিএম ফজলুল করিম, যশোরের আমীর আবদুর রশিদ, গাইবান্ধার আমীর ডা. আবদুর রহিম সরকার, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, শিবিরের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দল পরিচালনার জন্য এসব নেতার বিশেষ প্রয়োজন। তাই আগে এদের মুক্ত করতে চায় জামায়াত। তাই বড় কোন ইস্যু ছাড়া এ মুহূর্তে নীরব থাকতে চায় তারা। এদিকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিকভাবে দলটি নিষিদ্ধ হওয়ার দাবি আবারও সামনে চলে এসেছে। আলোচনায় আছে জোট ভেঙে যাওয়ার বিষয়টিও। এ পর্যায়ে জামায়াত অনেকটা সাবধানী ভূমিকায় আছে। দলটির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনাও তাই। যার কারণে সম্প্রতি দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পরও বেশ নির্বিকার থাকে নেতাকর্মী সমর্থকরা। আগামী ১৬ই জুন সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা দেয়া হবে। ওই রায় বিরুদ্ধে গেলেও কঠোর কোন প্রতিক্রিয়া না দেখানোর সিদ্ধান্ত আছে দলের ভেতর। নিজ থেকে জোট ছেড়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তো আছেই। এসব বিবেচনায় সাম্প্রতিক সিটি নির্বাচনে শিথিলতা দেখা যায় জামায়াতের। এই নির্বাচনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। দেখা দেয় বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি, ব্যাপক অনিয়ম এবং ভোট ডাকাতির অভিযোগে ২০দলীয় জোট এই নির্বাচন বর্জন করে। জামায়াত ২০ দলের অন্যতম শরিক। তাহলে নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে জামায়াতকে আলাদা ঘোষণা দিতে হবে কেন? জোটের প্রধান শরিকের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর অন্য কোন শরিক আলাদা ঘোষণা দেয়নি। তাহলে জামায়াতের একক ঘোষণার দাবি অযৌক্তিক। এদিকে সম্প্রতি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সংসদে জামায়াত নিষিদ্ধের বিল উত্থাপনের ঘোষণা দেন। এতে ২০ দলের শরিক দলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের এক তরুণ সদস্য বলেন, অঘোষিতভাবে জামায়াত এখনও নিষিদ্ধের মতোই। তিন বছর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সব অফিস বন্ধ। প্রকাশ্য গোপনে কোথাও কোন সভা- সমাবেশ করতে পারে না জামায়াত। নীরবে বাসা-বাড়িতে থাকতে পারছে না নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। হোটেলে খেতে গেলে সেখান থেকেও নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। তবে এসব করেও জামায়াতের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায়নি। তিনি বলেন, জামায়াত কোন ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল নয়। আদর্শকেন্দ্রিক দল। যার কারণে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গণহারে বন্দি করেও কাবু করা যায়নি। নিষিদ্ধ করে আর কি করবে। তার মতে, প্রায় এক কোটি লোক নানাভাবে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিষিদ্ধ করে এই এক কোটি লোককে দেশ থেকে বের করে দেয়া যাবে না। মেরে ফেলাও যাবে না। রাখা যাবে না কারাগারে। সুতরাং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে জোট থেকে বিচ্ছিন্ন করে সরকার বা তৃতীয় কোন পক্ষ সুফল পাবে না। পেতে পারে না।
No comments