মামলা চলছে দু'টি আদালতে, হচ্ছে অধিকতর তদন্ত, নতুন গ্রেফতার ৪- ২১ আগস্ট মামলা by বিকাশ দত্ত
২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ভয়াবহ
গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী, আর্জেস গ্রেনেডের উৎস, বিতরণ এবং
অর্থদাতার সন্ধান সম্পর্কে অধিকতর তদনত্ম শুরম্ন হয়েছে।
মূল পরিকল্পনাকারীকে খুঁজে বের করতেই তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন দফা সময়
নিয়েছেন। ইতোমধ্যে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও চারজনকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও
গ্রেনেড হামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলাটি এখন দুটি আদালতে বিচারাধীন
রয়েছে। মহানগর ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ এবং বিশেষ ট্রাইবু্যনাল-১-এ এই মামলা
চলছে। তদনত্মকারী কর্মকর্তা এবং আইনজীবীদের ধারণা অচিরেই গ্রেনেড হামলার
প্রকৃত তদনত্ম রিপোর্ট জমা দেয়া হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়
রাজনৈতিক কারণে তদনত্মের নামে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে প্রবাহিত করা হয়।
সে সময় প্রকৃত খুনীদের আড়াল করতেই জজ মিয়া নাটকের অবতারণা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার
মামলাটি অধিকতর তদনত্মের পর্যায়ে আছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ
সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্যেশ্য গ্রেনেড হামলা
চালানো হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও হামলায় রাষ্ট্রপাতি মোঃ জিলস্নুর
রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ১৯ জনের মৃতু্য হয়। আহত হয়
কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ। জোট সরকারের আমলে প্রথম থেকেই মামলাটি ভিন্নখাতে
প্রবাহিত করে। প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে আবিষ্কার করা হয় জজ মিয়া নামে এক
ব্যক্তিকে। দীর্ঘদিন পর মামলাটি আবার তদনত্ম করা হচ্ছে। অধিকতর তদনত্মে
আর্জেস গ্রেনেডের উৎস, সংগ্রহ, বিতরণ এবং অর্থে যোগানদাতাদের সম্পর্কে
খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তদনত্মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সঙ্গে জঙ্গীদের
সম্পৃক্ততার বিষয়টি বেরিয়ে আসছে।
ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গ্রেনেড হামলার গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার সরকারপৰের প্রধান কেঁৗসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেছেন, দতনত্ম রিপোর্ট আসার পর পরবতর্ী পদক্সেপ নেয়া হবে। আমাদের তরফ থেকে মামলা বিলম্ব হবার সম্ভাবনা নেই। অধিকতর তদনত্মে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসছে। অভিযোগপত্রে ৪০৮ জনের নাম থাকলেও এর মধ্যে ৬১ জনের সাৰ্য নেয়া হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে বাবর জড়িত ॥ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১০ দিন রিমান্ড চাওয়ার পর আদালত বাবরকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তদনত্মকারী কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ রিমান্ডে বাবরের কাছ থেকে গুরম্নত্বপ্থর্ণ তথ্য পেয়েছেন। এর ভিত্তিতেই মোঃ আব্দুস সালাম, আব্দুল মজিদ ওরফে আবু ইউসুফ বাট এবং ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আব্দুল মজিদ ওরফে আবু ইউসুফ বাট কাশ্মীরি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের একজন সক্রিয় সদস্য। সে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। এছাড়া হরকত-উল জিহাদের বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর মোঃ আব্দুস সালাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকতর তদনত্মের স্বার্থে সময় নেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রপৰের প্রধান কেঁৗসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, অধিকতর তদনত্মের ফলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেন। কয়েক দফায় তদনত্মকারী কর্মকর্তারা তদনত্ম করেও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে পারেনি। তখন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য জজ মিঞা নাটকের অবতারণা করা হয়।
মামলায় যারা গ্রেফতার হয়েছে ॥ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২২ আসামির মধ্যে ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। এখনও ৮ আসামি পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে, মুফতি আব্দুল হান্নান, মহিবুলস্নাহ ওভি, শরীফ শহিদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবুল সাঈদ, আবুল কালাম আজাদ ও অন্যান্য
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর ২২ আগস্ট ২০০৪ সালে মতিঝিল থানায় মামলা হয়। এরপর ৭ তদনত্ম কর্মকর্তা ঘটনাটি তদনত্ম করেন। কেউই আসল ঘটনা বের করতে পারে নি। তৎকালীন সরকারকে খুশি করতে তদনত্ম কর্মকর্তারা একের পর এক নাটকের অবতারণা করেন। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে অন্যদের সামনে আনা হয়। প্রথমে মামলাটির তদনত্ম করেন মতিঝিল থানার এসআই আমির হোসেন। তিনি ২০০৪ সালের ২২ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যনত্ম। এরপর ডিবির ইন্সপেক্টর সামসুল ইসলাম ২৩ আগস্ট থেকে ২০০৪ সালের ২৫ আগষ্ট পর্যনত্ম। সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রশীদ ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যনত্ম। তিনিই মহানাটক সৃষ্টি করেন। কাল্পনিক চরিত্র জজ মিয়াকে আবিষ্কার করেন। তিনি প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে দেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা কি না পারেন তা তিনি দেখিয়েছেন। তারপর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান ২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ২২ আগস্ট পর্যনত্ম তদনত্ম করেন। এরপর তদনত্মকর্মকর্তা মোঃ রম্নহুল আমিন ও মোঃ ফজলুল কবির ২০০৭ সালের ২২ আগস্ট থেকে ২০০৮ সালের ৬ জুন পর্যনত্ম তদনত্ম করেন। এরপর চার্জশীট দেয়া হয়। বর্তমান সরকার ৰমতায় এসে অধিকতর তদনত্মের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সর্বশেষ তদনত্মের জন্য তিন মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। তদনত্ম কর্মকর্তা ৪ মাস সময় চাওয়ার পর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ এএনএম বশির উলস্নাহ ৬ জুন পর্যনত্ম তিন মাস সময় দেন।
অর্থের যোগানদাতা কারা : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের পেছনে কারা অর্থ যোগান দিয়েছে এটি এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। আর্জেস গ্রেনেডের উৎসইবা কোথায়? কারা সংগ্রহ করেছে? রাষ্ট্রপৰের প্রধান কেঁৗসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, অধিকতর তদনত্মে এ বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবে। তদনত্ম রিপোর্ট দেয়ার পরই বিচার প্রক্রিয়া শুরম্ন হবে।
দুটি আদালতে মামলা চলছে : গ্রেনেড হামলা মামলাটি এখন দুটি আদালতে বিচারাধীন। মহানগর ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ ফজিলা বেগমের আদালতে ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭ ৩০২ ও ৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েচে। অন্যদিকে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ৩, ৪, ৬ ধারায় বিশেষ ট্রাইবু্যনাল ১ এএনএম বশিরউলস্নাহর আদালতে মামলা চলছে। বর্তমান তদনত্মকারী কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অধিকতর তদনত্মের জন্য দুবার সময় নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আরও সময় নেবেন। এ প্রসঙ্গে এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, প্রকৃত ঘটনা বের করতে অধিকতর তদনত্মের প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণেই তিনি সময় নিচ্ছেন। যদি সময় নিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যায় তাতে সময় দেয়া উচিত।
ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গ্রেনেড হামলার গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার সরকারপৰের প্রধান কেঁৗসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেছেন, দতনত্ম রিপোর্ট আসার পর পরবতর্ী পদক্সেপ নেয়া হবে। আমাদের তরফ থেকে মামলা বিলম্ব হবার সম্ভাবনা নেই। অধিকতর তদনত্মে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসছে। অভিযোগপত্রে ৪০৮ জনের নাম থাকলেও এর মধ্যে ৬১ জনের সাৰ্য নেয়া হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে বাবর জড়িত ॥ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১০ দিন রিমান্ড চাওয়ার পর আদালত বাবরকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তদনত্মকারী কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ রিমান্ডে বাবরের কাছ থেকে গুরম্নত্বপ্থর্ণ তথ্য পেয়েছেন। এর ভিত্তিতেই মোঃ আব্দুস সালাম, আব্দুল মজিদ ওরফে আবু ইউসুফ বাট এবং ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আব্দুল মজিদ ওরফে আবু ইউসুফ বাট কাশ্মীরি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের একজন সক্রিয় সদস্য। সে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। এছাড়া হরকত-উল জিহাদের বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর মোঃ আব্দুস সালাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকতর তদনত্মের স্বার্থে সময় নেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রপৰের প্রধান কেঁৗসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, অধিকতর তদনত্মের ফলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেন। কয়েক দফায় তদনত্মকারী কর্মকর্তারা তদনত্ম করেও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে পারেনি। তখন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য জজ মিঞা নাটকের অবতারণা করা হয়।
মামলায় যারা গ্রেফতার হয়েছে ॥ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২২ আসামির মধ্যে ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। এখনও ৮ আসামি পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে, মুফতি আব্দুল হান্নান, মহিবুলস্নাহ ওভি, শরীফ শহিদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবুল সাঈদ, আবুল কালাম আজাদ ও অন্যান্য
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর ২২ আগস্ট ২০০৪ সালে মতিঝিল থানায় মামলা হয়। এরপর ৭ তদনত্ম কর্মকর্তা ঘটনাটি তদনত্ম করেন। কেউই আসল ঘটনা বের করতে পারে নি। তৎকালীন সরকারকে খুশি করতে তদনত্ম কর্মকর্তারা একের পর এক নাটকের অবতারণা করেন। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে অন্যদের সামনে আনা হয়। প্রথমে মামলাটির তদনত্ম করেন মতিঝিল থানার এসআই আমির হোসেন। তিনি ২০০৪ সালের ২২ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যনত্ম। এরপর ডিবির ইন্সপেক্টর সামসুল ইসলাম ২৩ আগস্ট থেকে ২০০৪ সালের ২৫ আগষ্ট পর্যনত্ম। সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রশীদ ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যনত্ম। তিনিই মহানাটক সৃষ্টি করেন। কাল্পনিক চরিত্র জজ মিয়াকে আবিষ্কার করেন। তিনি প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে দেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা কি না পারেন তা তিনি দেখিয়েছেন। তারপর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান ২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ২২ আগস্ট পর্যনত্ম তদনত্ম করেন। এরপর তদনত্মকর্মকর্তা মোঃ রম্নহুল আমিন ও মোঃ ফজলুল কবির ২০০৭ সালের ২২ আগস্ট থেকে ২০০৮ সালের ৬ জুন পর্যনত্ম তদনত্ম করেন। এরপর চার্জশীট দেয়া হয়। বর্তমান সরকার ৰমতায় এসে অধিকতর তদনত্মের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সর্বশেষ তদনত্মের জন্য তিন মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। তদনত্ম কর্মকর্তা ৪ মাস সময় চাওয়ার পর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ এএনএম বশির উলস্নাহ ৬ জুন পর্যনত্ম তিন মাস সময় দেন।
অর্থের যোগানদাতা কারা : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের পেছনে কারা অর্থ যোগান দিয়েছে এটি এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। আর্জেস গ্রেনেডের উৎসইবা কোথায়? কারা সংগ্রহ করেছে? রাষ্ট্রপৰের প্রধান কেঁৗসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, অধিকতর তদনত্মে এ বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবে। তদনত্ম রিপোর্ট দেয়ার পরই বিচার প্রক্রিয়া শুরম্ন হবে।
দুটি আদালতে মামলা চলছে : গ্রেনেড হামলা মামলাটি এখন দুটি আদালতে বিচারাধীন। মহানগর ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ ফজিলা বেগমের আদালতে ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭ ৩০২ ও ৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েচে। অন্যদিকে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ৩, ৪, ৬ ধারায় বিশেষ ট্রাইবু্যনাল ১ এএনএম বশিরউলস্নাহর আদালতে মামলা চলছে। বর্তমান তদনত্মকারী কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অধিকতর তদনত্মের জন্য দুবার সময় নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আরও সময় নেবেন। এ প্রসঙ্গে এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, প্রকৃত ঘটনা বের করতে অধিকতর তদনত্মের প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণেই তিনি সময় নিচ্ছেন। যদি সময় নিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যায় তাতে সময় দেয়া উচিত।
No comments