ঢাকা-রাজশাহীর দূরত্ব ১৩! by আরিফুল ইসলাম
কিলোমিটারে দূরত্ব যা-ই হোক, বিপিএলের মাঠে ঢাকা-রাজশাহীর দূরত্ব ১৩ রান! দুই দলের আগের ম্যাচের নায়ক কাল মাঠে নেই। টিভি ক্যামেরা তাঁকে খুঁজে পেল ডাগ-আউটে।
হ্যামস্ট্রিংয়ে টান শেষ পর্যন্ত কাল মাঠে নামতে দেয়নি সাকিব আল হাসানকে।
আগের ম্যাচে ফিফটি করা ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের আরেক অলরাউন্ডার লুক রাইট ফিরে
গেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে। দুরন্ত রাজশাহী আবার শক্তি বাড়িয়েছে নতুন
আসা দুই লঙ্কান দিলশান মুনাবীরা ও চামারা কাপুগেদেরাকে নামিয়ে। কাগজে-কলমে
যোগ-বিয়োগের এই ফলাফল ম্যাচ শেষে একদম শূন্য। খুলনার সেই ম্যাচের মতো কাল
চট্টগ্রামেও রাজশাহীকে ঠিক ১৩ রানে হারাল ঢাকা।
১৫৭ রান তাড়ায় সেদিন রাজশাহীকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল (৪১ বলে ৫৭)। কাল ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমেও ঝোড়ো শুরু এনে দিলেন তামিম। ইনিংসের প্রথম বলেই মাশরাফিকে দারুণ এক স্ট্রেট ড্রাইভে চার, পরের বলেই ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছয়। মাশরাফির পরের ওভারে আরও উন্মত্ত তামিম, মারলেন চারটি চার। মাঝে কভেন্ট্রি শূন্যতে ফিরলেও ৩ ওভার শেষে রান ৩৪। কভেন্ট্রির পর তামিমকেও (১৮ বলে ৩৩) তুলে নিলেন আলফনসো টমাস। ক্রিস লিডলকে এক ওভারকে তিনটি চার মেরেও মুনাবীরা ফিরলেন মাত্র ১৫ রানে।
কাপুগেদেরার ব্যাটে (২৯ বলে ৩১) তার পরও রাজশাহী ছিল কক্ষপথেই। শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৩ রান। কিন্তু এই পথটুকু পাড়ি দিতে পারেননি কাপুগেদেরা-জহুরুলরা। আর রাজশাহীর লোয়ার-অর্ডার তো এমনিতেই যাচ্ছেতাই। টানা ব্যর্থতায় ব্যাটিং-অর্ডারে নিচে নেমেও দুঃসময়কে পেছনে ফেলতে পারেননি জহুরুল। ম্যাচ শেষে স্বীকার করলেন, অধিনায়কত্ব কিছুটা চাপ হয়ে যাচ্ছে। দুই ওপেনারকে ফেরানোর পাশাপাশি কিপটে বোলিংয়ে ম্যাচসেরা টমাস, দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকলাইন সজীব ও মোশাররফ হোসেনও। ঢাকার দুই বাঁহাতি স্পিনারেরই বোলিং বিশ্লেষণ: ৪-০-১৭-২!
সাকিব নেই, একজন ব্যাটসম্যান কম থাকায় সৌম্য সরকারকে নিজের আসল জায়গায় ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছিল ঢাকা। ২৪ বলে ৩০ করেছেন সৌম্য, এনামুলের (১৮ বলে ২৫) সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন ৫১ রানের জুটি। কিন্তু রাজশাহীর স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ে ঢাকার ইনিংসটা সেভাবে গতি পায়নি কখনোই। ৪৩ করতে ৪০ বল লাগিয়ে ফেলেন ওয়াইস শাহ। ঢাকা আটকে যায় ১৩৭ রানেই। তখন মনে হচ্ছিল রানটা যথেষ্ট নয়, ওয়াইস আরেকটু চালিয়ে খেললে হয়তো ১৫০ ছুঁতে পারত ঢাকা। কে জানত, ওয়াইসের ইনিংসটাই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেবে ব্যবধান!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস: ২০ ওভারে ১৩৭/৫ (সৌম্য ৩০, আশরাফুল ১, এনামুল ২৫, ওয়াইস ৪৩*, স্টিভেন্স ১০, কব ১৪, মাশরাফি ৭*; তাইজুল ২/২৪, নাঈম জুনিয়র ২/৩৭, মুনাবীরা ১/১৮)। দুরন্ত রাজশাহী: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (তামিম ৩৩, কভেন্ট্রি ০, ক্যাটিচ ৫, মুনাবীরা ১৫, কাপুগেদেরা ৩১, আরভিন ১৫, জহুরুল ৯, হাসান ৭, নাঈম জুনিয়র ০, তাইজুল ২*, মনির ১*; টমাস ২/১৫, সাকলাইন ২/১৭, মোশাররফ ২/১৭, লিডল ২/২৭)।
ফল: ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ১৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আলফনসো টমাস।
১৫৭ রান তাড়ায় সেদিন রাজশাহীকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল (৪১ বলে ৫৭)। কাল ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমেও ঝোড়ো শুরু এনে দিলেন তামিম। ইনিংসের প্রথম বলেই মাশরাফিকে দারুণ এক স্ট্রেট ড্রাইভে চার, পরের বলেই ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছয়। মাশরাফির পরের ওভারে আরও উন্মত্ত তামিম, মারলেন চারটি চার। মাঝে কভেন্ট্রি শূন্যতে ফিরলেও ৩ ওভার শেষে রান ৩৪। কভেন্ট্রির পর তামিমকেও (১৮ বলে ৩৩) তুলে নিলেন আলফনসো টমাস। ক্রিস লিডলকে এক ওভারকে তিনটি চার মেরেও মুনাবীরা ফিরলেন মাত্র ১৫ রানে।
কাপুগেদেরার ব্যাটে (২৯ বলে ৩১) তার পরও রাজশাহী ছিল কক্ষপথেই। শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৩ রান। কিন্তু এই পথটুকু পাড়ি দিতে পারেননি কাপুগেদেরা-জহুরুলরা। আর রাজশাহীর লোয়ার-অর্ডার তো এমনিতেই যাচ্ছেতাই। টানা ব্যর্থতায় ব্যাটিং-অর্ডারে নিচে নেমেও দুঃসময়কে পেছনে ফেলতে পারেননি জহুরুল। ম্যাচ শেষে স্বীকার করলেন, অধিনায়কত্ব কিছুটা চাপ হয়ে যাচ্ছে। দুই ওপেনারকে ফেরানোর পাশাপাশি কিপটে বোলিংয়ে ম্যাচসেরা টমাস, দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকলাইন সজীব ও মোশাররফ হোসেনও। ঢাকার দুই বাঁহাতি স্পিনারেরই বোলিং বিশ্লেষণ: ৪-০-১৭-২!
সাকিব নেই, একজন ব্যাটসম্যান কম থাকায় সৌম্য সরকারকে নিজের আসল জায়গায় ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছিল ঢাকা। ২৪ বলে ৩০ করেছেন সৌম্য, এনামুলের (১৮ বলে ২৫) সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন ৫১ রানের জুটি। কিন্তু রাজশাহীর স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ে ঢাকার ইনিংসটা সেভাবে গতি পায়নি কখনোই। ৪৩ করতে ৪০ বল লাগিয়ে ফেলেন ওয়াইস শাহ। ঢাকা আটকে যায় ১৩৭ রানেই। তখন মনে হচ্ছিল রানটা যথেষ্ট নয়, ওয়াইস আরেকটু চালিয়ে খেললে হয়তো ১৫০ ছুঁতে পারত ঢাকা। কে জানত, ওয়াইসের ইনিংসটাই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেবে ব্যবধান!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস: ২০ ওভারে ১৩৭/৫ (সৌম্য ৩০, আশরাফুল ১, এনামুল ২৫, ওয়াইস ৪৩*, স্টিভেন্স ১০, কব ১৪, মাশরাফি ৭*; তাইজুল ২/২৪, নাঈম জুনিয়র ২/৩৭, মুনাবীরা ১/১৮)। দুরন্ত রাজশাহী: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (তামিম ৩৩, কভেন্ট্রি ০, ক্যাটিচ ৫, মুনাবীরা ১৫, কাপুগেদেরা ৩১, আরভিন ১৫, জহুরুল ৯, হাসান ৭, নাঈম জুনিয়র ০, তাইজুল ২*, মনির ১*; টমাস ২/১৫, সাকলাইন ২/১৭, মোশাররফ ২/১৭, লিডল ২/২৭)।
ফল: ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ১৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আলফনসো টমাস।
No comments