‘ভারত সফরে যাওয়ার চেষ্টা চলছে’
দুবাইয়ে আইসিসির নির্বাহী সভায় ছিল বেশ
কিছু বিষয়, কিছু বিষয় উঠে এসেছে দেশেও। পাকিস্তান সফর স্থগিত, আবার
নিরাপত্তা দল পাঠানো, পিএসএল, বিপিএলের পাওনা বিতর্ক—আইসিসির সভা থেকে ফিরে
কাল এম এ আজিজের প্রেসবক্সে সব প্রসঙ্গ নিয়েই কথা বললেন বিসিবির প্রধান
নাজমুল হাসান পাকিস্তান সফর বাতিল নিয়ে কী হলো আইসিসির সভায়?
নাজমুল
হাসান: আমি সভায় ব্যাখ্যা করেছি, কেন প্রতিশ্রুতি দিয়েও আমরা ওই সময় গেলাম
না। আমার মনে হয়েছে, ওখানে উপস্থিত সবাই বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের না
যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু যৌক্তিক কারণ ছিল। আমার বক্তব্যের পর প্রশ্ন করার
জন্য ওপেন ফ্লোর ছিল। কিন্তু কেউ কোনো প্রশ্ন করেননি।
পাকিস্তানের বোর্ড-প্রধানও কিছু বলেননি!
নাজমুল: কোনো প্রশ্ন করেননি। পাকিস্তান শুধু একটা কথাই আমাকে বলেছে, আমি যে বলেছিলাম (সফর স্থগিত করার সময়) পাকিস্তান ইজ নট সেফ টু ট্রাভেল, এই ব্যাপারটায় উনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। এটুকুই।
পাকিস্তানে আবার নিরাপত্তা পরিদর্শক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত কি এখনো বহাল আছে?
নাজমুল: পাকিস্তান সফর নিয়ে তখন দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন ছিল। সে জন্য মনে করেছি আরেকটি সিকিউরিটি দল না পাঠানো পর্যন্ত, তাদের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। যেহেতু আইসিসি ম্যাচ অফিশিয়াল পাঠানো নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি, সেহেতু আরেকটু চিন্তাভাবনা করে যাওয়া উচিত। এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।
পিএসএলে (পাকিস্তান সুপার লিগ) বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের খেলার অনুমতি দেওয়া হবে?
নাজমুল: ভাবনার বিষয় হচ্ছে, কোনো খেলোয়াড় যদি নিজে ঝুঁকি নিয়ে ওখানে খেলতে যেতে চায়, তাহলে বিসিবি ছাড়পত্র দেবে কি না। আমার একার পক্ষে এই ব্যাপারটা বলা কঠিন। বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পত্রিকায় দেখলাম...ভারতে পাকিস্তানের রাষ্টদূত নিজেই বলছেন যে এই মুহূর্তে ওখানে নিরাপদ না। এমনকি পিএসএল করাও ঠিক না।
বিপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড় না আসতে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি?
নাজমুল: না। সত্যি কথাটা বলি, আমরাই তো একটু ব্যাকফুটে ছিলাম। দু-তিনবার সময় দেওয়ার পরও যাইনি। এখন যেহেতু ওরা বিপিএলে খেলোয়াড় দেয়নি, পাকিস্তান সফরের বিষয়টি আমি মাথায়ই আনতে চাই না। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আবার একটা কমিটমেন্ট দিতে হবে। আমি আসলে এর মধ্যে যেতে চাইছি না। আমাদের এখন বিপিএল চলছে, এরপর শ্রীলঙ্কায় যাব, জিম্বাবুয়ে সফর আছে। ভারত সফরে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
ভারতের সঙ্গে কি আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে?
নাজমুল: ব্যক্তিগতভাবে ভারতের বোর্ড-প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। উনি আমাকে কথা দিয়েছেন দেশে গিয়ে অবশ্যই দেখবেন, কীভাবে এই বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতে নেওয়া যায়।
বিপিএলে টাকা-পয়সা নিয়ে এবারও ঝামেলা হচ্ছে...
নাজমুল: আমি দুবাই থেকে শুনেছি, বিদেশি খেলোয়াড়ের পাওনা নিয়ে কথা উঠেছে। আমি বলেছি, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বসতে চাই, জানতে চাই গ্যাপটা কোথায়। যে সমস্ত খেলোয়াড়ের চুক্তিপত্র দেওয়া হয়নি, তাদের টাকা আমরা দিতে পারিনি। যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদের আমরা দিয়ে দিয়েছি। ওয়াইস শাহ অভিযোগ করেছিল, কিন্তু কাল সে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে ভুলটা আসলে তারই। ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিল, এখন ক্ষমা চেয়েছে।
গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা কিন্তু এবারও সবাইকে সংশয়ে ফেলছে!
নাজমুল: গতবারের বিপিএলের সমস্ত টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে আমরা বোর্ডে আসার পরে। এবারও কোনো সন্দেহ নেই, খেলোয়াড়েরা টাকা পাবে। আমাদের তো একটু সময় দিতে হবে। প্রথম কিস্তির টাকার জন্য ৩১ তারিখ পর্যন্ত সময় ছিল, এখন মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদি কেউ না দেয়, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে তারা ভুল করবে। এবার ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পাকিস্তানের বোর্ড-প্রধানও কিছু বলেননি!
নাজমুল: কোনো প্রশ্ন করেননি। পাকিস্তান শুধু একটা কথাই আমাকে বলেছে, আমি যে বলেছিলাম (সফর স্থগিত করার সময়) পাকিস্তান ইজ নট সেফ টু ট্রাভেল, এই ব্যাপারটায় উনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। এটুকুই।
পাকিস্তানে আবার নিরাপত্তা পরিদর্শক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত কি এখনো বহাল আছে?
নাজমুল: পাকিস্তান সফর নিয়ে তখন দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন ছিল। সে জন্য মনে করেছি আরেকটি সিকিউরিটি দল না পাঠানো পর্যন্ত, তাদের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। যেহেতু আইসিসি ম্যাচ অফিশিয়াল পাঠানো নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি, সেহেতু আরেকটু চিন্তাভাবনা করে যাওয়া উচিত। এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।
পিএসএলে (পাকিস্তান সুপার লিগ) বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের খেলার অনুমতি দেওয়া হবে?
নাজমুল: ভাবনার বিষয় হচ্ছে, কোনো খেলোয়াড় যদি নিজে ঝুঁকি নিয়ে ওখানে খেলতে যেতে চায়, তাহলে বিসিবি ছাড়পত্র দেবে কি না। আমার একার পক্ষে এই ব্যাপারটা বলা কঠিন। বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পত্রিকায় দেখলাম...ভারতে পাকিস্তানের রাষ্টদূত নিজেই বলছেন যে এই মুহূর্তে ওখানে নিরাপদ না। এমনকি পিএসএল করাও ঠিক না।
বিপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড় না আসতে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি?
নাজমুল: না। সত্যি কথাটা বলি, আমরাই তো একটু ব্যাকফুটে ছিলাম। দু-তিনবার সময় দেওয়ার পরও যাইনি। এখন যেহেতু ওরা বিপিএলে খেলোয়াড় দেয়নি, পাকিস্তান সফরের বিষয়টি আমি মাথায়ই আনতে চাই না। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আবার একটা কমিটমেন্ট দিতে হবে। আমি আসলে এর মধ্যে যেতে চাইছি না। আমাদের এখন বিপিএল চলছে, এরপর শ্রীলঙ্কায় যাব, জিম্বাবুয়ে সফর আছে। ভারত সফরে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
ভারতের সঙ্গে কি আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে?
নাজমুল: ব্যক্তিগতভাবে ভারতের বোর্ড-প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। উনি আমাকে কথা দিয়েছেন দেশে গিয়ে অবশ্যই দেখবেন, কীভাবে এই বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতে নেওয়া যায়।
বিপিএলে টাকা-পয়সা নিয়ে এবারও ঝামেলা হচ্ছে...
নাজমুল: আমি দুবাই থেকে শুনেছি, বিদেশি খেলোয়াড়ের পাওনা নিয়ে কথা উঠেছে। আমি বলেছি, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বসতে চাই, জানতে চাই গ্যাপটা কোথায়। যে সমস্ত খেলোয়াড়ের চুক্তিপত্র দেওয়া হয়নি, তাদের টাকা আমরা দিতে পারিনি। যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদের আমরা দিয়ে দিয়েছি। ওয়াইস শাহ অভিযোগ করেছিল, কিন্তু কাল সে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে ভুলটা আসলে তারই। ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিল, এখন ক্ষমা চেয়েছে।
গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা কিন্তু এবারও সবাইকে সংশয়ে ফেলছে!
নাজমুল: গতবারের বিপিএলের সমস্ত টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে আমরা বোর্ডে আসার পরে। এবারও কোনো সন্দেহ নেই, খেলোয়াড়েরা টাকা পাবে। আমাদের তো একটু সময় দিতে হবে। প্রথম কিস্তির টাকার জন্য ৩১ তারিখ পর্যন্ত সময় ছিল, এখন মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদি কেউ না দেয়, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে তারা ভুল করবে। এবার ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
No comments