থাকসিন সিনাওয়াত্রা এখনও জনপ্রিয়- ঝুমা রায়
থাইল্যান্ডের জাতীয় দৈনিকগুলো শিরোনাম
করেছিল 'জাজমেন্ট ডে'। রাজধানী ব্যাংককে নেয়া হয়েছিল অতিরিক্ত নিরাপত্তা।
হাই এলার্ট জারি করা হয়েছিল সরকারী ভবন ও আদালতপাড়ায়।
শুক্রবার এমনই টানটান উত্তেজনার মধ্যে থাই সুপ্রীমকোর্ট সাবেক
প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ১৪০ কোটি ডলার জব্দের রায় দিয়েছে। রায়
ঘোষণার সময় আদালত বলেছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আয় করেছেন। থাকসিনের ২৩০ কোটি ডলারের জমাকৃত
অর্থের মধ্যে ৬০ শতাংশ জব্দ করার কারণ হলো এর একটা অংশ তিনি প্রধানমন্ত্রী
হওয়ার আগেই আয় করেছিলেন। থাকসিন সরকারের গৃহীত মোবাইল ফোন এবং স্যাটেলাইট
যোগাযোগ নীতি তার নিজের টেলিকম কোম্পানি 'শিন কর্প'কে অবৈধ উপায়ে দিয়ে
বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের পথ করে দিয়েছেন বলে আদালত মনত্মব্য করেছে।
যদিও এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করে দুবাই থেকে তার সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভাষণে
থাকসিন বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধি। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে
তিনি আবার সামরিকবাহিনী ও আমলাদের সমন্বয়ে গঠিত বর্তমান সরকারের বিরম্নদ্ধে
রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
থাই নেতা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে ৬০ বছর বয়সে যখন সামরিক অভু্যত্থানের ফলে ৰমতাচু্যত হন, তখন তার ব্যাংকে অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৬০ কোটি বাথ বা ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার। থাই টেলিযোগাযোগ শিল্প বিকাশে অন্যতম অবদানকারী থাকসিন এ অর্থ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দুনর্ীতির মাধ্যমে উপার্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকেই তিনি দেশছাড়া। গত চার বছর ধরে দুবাই থেকে টেলিফোন, ভিডিওলিংক এবং টুইটারের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রৰা করে যাচ্ছেন এবং দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করছেন। সম্প্রতি থাই বেতারে এক ভাষণে থাকসিন বলেছেন, আমি মাতৃভূমির বাইরে মারা যেতে চাই না। আমার মৃতু্য হবে থাইল্যান্ডের মাটিতে, আমি দেহ-ভস্ম হয়ে সেখানে ফিরতে চাই না।
দুনর্ীতির ব্যাপক অভিযোগ থাকার পরও থাকসিনের জনপ্রিয়তা নিজ দেশে এখনও কমেনি। বিশেষত গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে এখনও তিনি সমান জনপ্রিয়। তার আমলে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা, দরিদ্রদের অর্থনৈতিক সাহায্য ও রাজনৈতিক ৰমতায়ন প্রভৃতির কারণে তিনি গ্রামীণ এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। সিয়াটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰক চার্লস কেইস থাকসিনের জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে এগুলোকেই উলেস্নখ করেছেন। এমনকি ২০১২ সালের নির্বাচনে থাকসিনের দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এজন্য থাকসিন সমর্থকদের শুধু অপেৰা করতে হবে বলে তাদের ধারণা।
থাকসিন ১৯৯৪ সালে রাজনীতি শুরম্ন করেন এবং ১৯৯৮ সালে থাই র্যাক থাই (টিআরটি) দলে যোগ দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব পান। গ্রামীণ দারিদ্র্যমুক্ত করতে তার গৃহীত পদৰেপগুলো অত্যনত্ম কার্যকর ছিল, যার ফলে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছেন। থাকসিনের সময় দেশে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি প্রথম সর্বজনীন স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন, সামাজিক বিধি-বিধানের উন্নয়ন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে সাফল্য অর্জন করেন। এ সময় থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়তে থাকে। ২০০৩ সালে থাইল্যান্ডের প্রকৃত জিডিপি হয় ৫.২ শতাংশ, তার পরের বছরই এ হার ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হয়। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে এ সময় থাইল্যান্ড ছিল বিশ্বের ৩১তম দেশ। কিন্তু এ সময়ই থাকসিন সরকার দুনর্ীতি, স্বৈরাচারী মনোভাব, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণসহ নানান অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
তবে ২০০৬ সালে সামরিক জানত্মার ৰমতা দখলের পরই থাইল্যান্ডের উন্নয়ন বাধাগ্রসত্ম হয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নামতে থাকে। ২০০৭ ও ২০০৮ সাল ৪.৮ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ২.৬ শতাংশে নেমে আসে। ফলে বিশালসংখ্যক গ্রামীণ জনগণের সমর্থন এখনও থাকসিনের পেছনে আছে। যদিও শহুরে মধ্যবিত্ত ও ধনী এলিটরা থাকসিনের বিরম্নদ্ধেই অবস্থান করছে। আদালতের রায়ে ২০০৬ সালের নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত হওয়ার পর থাকসিনের দলের ১১০জন নেতার রাজনৈতিক কর্মকা-ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে নিজ দেশে রাজনৈতিক অবস্থানের দিক থেকেও থাকসিনের অবস্থান এখন দুর্বর্র্ল। তবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও বিশালসংখ্যক ভোটারের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকায় ফের থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে থাকসিন নিজ অবস্থান পুনরম্নদ্ধার করতে পারবেন বলে অনেকেই মনে করেন।
থাই নেতা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে ৬০ বছর বয়সে যখন সামরিক অভু্যত্থানের ফলে ৰমতাচু্যত হন, তখন তার ব্যাংকে অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৬০ কোটি বাথ বা ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার। থাই টেলিযোগাযোগ শিল্প বিকাশে অন্যতম অবদানকারী থাকসিন এ অর্থ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দুনর্ীতির মাধ্যমে উপার্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকেই তিনি দেশছাড়া। গত চার বছর ধরে দুবাই থেকে টেলিফোন, ভিডিওলিংক এবং টুইটারের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রৰা করে যাচ্ছেন এবং দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করছেন। সম্প্রতি থাই বেতারে এক ভাষণে থাকসিন বলেছেন, আমি মাতৃভূমির বাইরে মারা যেতে চাই না। আমার মৃতু্য হবে থাইল্যান্ডের মাটিতে, আমি দেহ-ভস্ম হয়ে সেখানে ফিরতে চাই না।
দুনর্ীতির ব্যাপক অভিযোগ থাকার পরও থাকসিনের জনপ্রিয়তা নিজ দেশে এখনও কমেনি। বিশেষত গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে এখনও তিনি সমান জনপ্রিয়। তার আমলে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা, দরিদ্রদের অর্থনৈতিক সাহায্য ও রাজনৈতিক ৰমতায়ন প্রভৃতির কারণে তিনি গ্রামীণ এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। সিয়াটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰক চার্লস কেইস থাকসিনের জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে এগুলোকেই উলেস্নখ করেছেন। এমনকি ২০১২ সালের নির্বাচনে থাকসিনের দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এজন্য থাকসিন সমর্থকদের শুধু অপেৰা করতে হবে বলে তাদের ধারণা।
থাকসিন ১৯৯৪ সালে রাজনীতি শুরম্ন করেন এবং ১৯৯৮ সালে থাই র্যাক থাই (টিআরটি) দলে যোগ দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব পান। গ্রামীণ দারিদ্র্যমুক্ত করতে তার গৃহীত পদৰেপগুলো অত্যনত্ম কার্যকর ছিল, যার ফলে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছেন। থাকসিনের সময় দেশে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি প্রথম সর্বজনীন স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন, সামাজিক বিধি-বিধানের উন্নয়ন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে সাফল্য অর্জন করেন। এ সময় থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়তে থাকে। ২০০৩ সালে থাইল্যান্ডের প্রকৃত জিডিপি হয় ৫.২ শতাংশ, তার পরের বছরই এ হার ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হয়। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে এ সময় থাইল্যান্ড ছিল বিশ্বের ৩১তম দেশ। কিন্তু এ সময়ই থাকসিন সরকার দুনর্ীতি, স্বৈরাচারী মনোভাব, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণসহ নানান অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
তবে ২০০৬ সালে সামরিক জানত্মার ৰমতা দখলের পরই থাইল্যান্ডের উন্নয়ন বাধাগ্রসত্ম হয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নামতে থাকে। ২০০৭ ও ২০০৮ সাল ৪.৮ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ২.৬ শতাংশে নেমে আসে। ফলে বিশালসংখ্যক গ্রামীণ জনগণের সমর্থন এখনও থাকসিনের পেছনে আছে। যদিও শহুরে মধ্যবিত্ত ও ধনী এলিটরা থাকসিনের বিরম্নদ্ধেই অবস্থান করছে। আদালতের রায়ে ২০০৬ সালের নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত হওয়ার পর থাকসিনের দলের ১১০জন নেতার রাজনৈতিক কর্মকা-ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে নিজ দেশে রাজনৈতিক অবস্থানের দিক থেকেও থাকসিনের অবস্থান এখন দুর্বর্র্ল। তবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও বিশালসংখ্যক ভোটারের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকায় ফের থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে থাকসিন নিজ অবস্থান পুনরম্নদ্ধার করতে পারবেন বলে অনেকেই মনে করেন।
No comments