শেকড়ের ডাক-এই নিষ্ঠুরতার শেষ কোথায় by ফরহাদ মাহমুদ
'হোনলাম লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলারে মারধর করতাছে। আমার সন্দেহ অইলো, আমার বাসায় থাকা পাগলি না তো! গিয়া দেখলাম পাগলিটারেই মারতাছে। আমি বাধা দিয়া কইলাম, ওরে ছাইড়া দেন, ও পাগল।
কয়েকজন আমারে জিগাইল, ও আমার কি অয়? আমি কইলাম, আমার দূর সম্পর্কের চাচাতো বোন। অমনি কয়েকজন আমারে গলা কাটার বোন কইয়া চুল ধইরা মারতে শুরু করল। একজন লোক আমারে আর আমার বইনেরে টাইন্যা একটা ঘরে নিয়া তুলল। ছেলেগুলারে কইল, তোমরা যাও, মেম্বার-চেয়ারম্যানরে লইয়া আমরা হেগর বিচার করমু। কিন্তু ছেলেগুলা শুনল না। দরজা ভাইঙ্গা আমগরে বাইরে আইনা আবার মারতে শুরু করল। হেরপর আর কিছু কইতে পারমু না।' হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একটি এনজিওর প্রতিনিধিদের কাছে অনেক কষ্টে কথাগুলো বলেছিলেন জ্যোৎস্না বেগম, যাঁর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বোন মর্জিনাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে মানুষরূপী কিছু অমানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবাহ গ্রামে। বোনকে বাঁচাতে গিয়ে অমানুষগুলোর মারধরে জ্যোৎস্না বেগম নিজেও গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি এখন কালিয়াকৈর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। মাঝেমধ্যেই শিউরে ওঠেন সেই বীভৎস স্মৃতি মনে করে।
জানা গেছে, এলাকায় কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে দেয় যে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নাকি অনেক মাথা লাগবে। সে জন্য এলাকায় 'ছেলেধরা' এসেছে এবং তারা মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ কারো কাছেই এমন কোনো ঘটনার কোনো প্রমাণ নেই, একজন আরেকজনের কাছ থেকে শুনেছে মাত্র। এ যেন সেই প্রাচীন গল্পের মতো। ঠক ধরনের এক লোক রাস্তায় আরেক লোককে ঠকানোর জন্য বলল, আরে কি করছ মিয়া, চিলে তো তোমার কান নিয়ে গেছে।' অমনি সেই লোক মাথার বোঝাটা নামিয়ে রেখে চিলের পেছনে দিল দৌড়। নিজের কানে হাত দিয়ে দেখারও প্রয়োজন মনে করল না, চিলে সত্যি সত্যি কান নিয়েছে কি না। কাজেই গুজবের ছেলেধরা বা গলাকাটা প্রতিরোধের দায়িত্ব নিল এলাকায় বসবাসকারী কিছু বীরপুঙ্গব। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মহিলাটির অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে তারা রায় দিয়ে দিল এই মহিলাটি গলাকাটা দলের সদস্য এবং নিষ্ঠুরতার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটাল। পেটাতে পেটাতে মহিলাটিকে মেরেই ফেলল। এমন বীরপুঙ্গব শুধু যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরেই আছে তা নয়, সদর উপজেলায়ও এ রকম অনেক বীরপুঙ্গব আছে। হয়তো সারা দেশেই আছে। কালিয়াকৈরের ঘটনার মাত্র দুই দিন পর সদর উপজেলার কোনাবাড়ীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক যুবককে তারা পিটিয়ে ও শ্বাসনালি কেটে হত্যা বা জবাই করল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করেছে। সেই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পাওয়া গেল, ঘটনাস্থলের অদূরে আরেক দল বীরপুঙ্গব অন্য এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীর ওপর চড়াও হয়েছে। তারা মহিলাকে পিটিয়ে শুধু হত্যাই করেনি, তার গায়ে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছিল। আর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, কিছু 'মানুষ' নাকি গোল হয়ে দাঁড়িয়ে এসব নিষ্ঠুরতা বেশ উপভোগ করেছে। আনন্দে হাততালিও দিয়েছে কেউ কেউ। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এই মানুষগুলোর আর্তনাদ, মৃত্যুচিৎকার তাদের হৃদয় স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের মনে সামান্য দয়ামায়ারও উদ্রেক করতে পারেনি। পাঠকের কাছে প্রশ্ন, যারা এসব পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছিল, হিংস্রতা যাদের এতটা উন্মত্ত করে তুলেছিল, তাদের কি আমরা মানুষ বলে মনে করতে পারি?
ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশে আজও এমন অনেক মানুষ আছে, যারা ভিত্তিহীন সব গুজবে মেতে উঠতে পারে। শুধু মেতে ওঠা নয়, ওরা সহজেই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যেতে পারে। এর আগে আমরা দেখেছি, সাভারের আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে মেরেছিল একটি গ্রামের মানুষ। জানা যায়, এলাকার কিছু ষড়যন্ত্রকারী এই ছাত্রদের ডাকাত বলে চিত্রায়িত করে এবং গ্রামবাসীকে উস্কে দেয়। গ্রামের কিছু লোক সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলে। এ ধরনের ঘটনা দু-একটি নয়, অসংখ্য এবং অহরহ ঘটেই চলেছে। আর আমরা সেসবের নীরব সাক্ষী হিসেবেই থেকে যাচ্ছি। সম্ভবত, সব ঘটনারই উৎস এক। মানুষের মনে যুক্তি, ধৈর্য বা সহনশীলতা কমে যাচ্ছে, উল্টো দিকে পাশবিক ক্রোধ বাড়ছে। হিংস্রতার কাছে মানুষের মনুষত্ববোধ মার খাচ্ছে। মানুষের নৈতিক মানদণ্ড ও মানবতাবোধ কমে যাচ্ছে। আমরা এই একই অমানুষদের দেখা পাই নিরীহ বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে, বাসে বা গাড়িতে আগুন দিয়ে চালক বা যাত্রীকে পুড়িয়ে মারার, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের সশস্ত্র সংঘাতে শত শত মানুষ হতাহত হওয়ার মধ্যে। এমনকি তুচ্ছ ঘটনায় ব্যক্তিগত খুনাখুনিও অনেক বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপের মতো জঘন্য অপরাধও। অপরাধ বৃদ্ধির এই চিত্র কোনো সমাজের জন্যই সুখকর নয়, আমাদের জন্যও নয়। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে দেখতে পারেন। তবে আমাদের সাধারণ দৃষ্টিতে যেটি মনে হয়, এর জন্য দায়ী অপরাধের যথাযথ শাস্তি না হওয়া। আর এই শাস্তি না হওয়ার অন্যতম কারণ, অপরাধীদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং রাজনৈতিকভাবে অপরাধীদের রক্ষা করা। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে গণহারে মামলা প্রত্যাহার করা তার অন্যতম উদাহরণ। পুলিশের অদক্ষতা, অবহেলা ও নৈতিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয়ও অপরাধীদের নানাভাবে উৎসাহিত করছে। অর্থের বিনিময়ে ছাড় পেয়ে যাওয়ার ঘটনা দিন দিনই বাড়ছে। আর সমাজের অপরাধ নিরসনকল্পে বিচার বিভাগেরও যথাযথ ভূমিকা আমরা দেখতে পাই না। যেমন- গত ১০ বছরে এসিড নিক্ষেপের দেড় সহস্রাধিক ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ বা ৭০ শতাংশের বেশি মামলার আসামিরা খালাস পেয়ে গেছে। কিছু মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। এসিড নিক্ষেপের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও যত দূর জানা যায়, গত ১০ বছরে একজনেরও মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর হয়নি।
এ সমাজেই আমাদের বসবাস করতে হবে। যাঁরা আজ পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, তাঁদেরও এখানে বসবাস করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দুর্ভোগ থেকে কেউই রক্ষা পাবেন না। কাজেই এই সমাজের বসবাসযোগ্যতা রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব। আর এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা তা করছি না, বরং উল্টো পথে হাঁটছি। আর সে কারণে ক্রমেই সমাজের নানাবিধ অনুশাসন, স্থিতি ও শান্তি ক্রমে ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে। সমাজ ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে আমাদের এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক
জানা গেছে, এলাকায় কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে দেয় যে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নাকি অনেক মাথা লাগবে। সে জন্য এলাকায় 'ছেলেধরা' এসেছে এবং তারা মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ কারো কাছেই এমন কোনো ঘটনার কোনো প্রমাণ নেই, একজন আরেকজনের কাছ থেকে শুনেছে মাত্র। এ যেন সেই প্রাচীন গল্পের মতো। ঠক ধরনের এক লোক রাস্তায় আরেক লোককে ঠকানোর জন্য বলল, আরে কি করছ মিয়া, চিলে তো তোমার কান নিয়ে গেছে।' অমনি সেই লোক মাথার বোঝাটা নামিয়ে রেখে চিলের পেছনে দিল দৌড়। নিজের কানে হাত দিয়ে দেখারও প্রয়োজন মনে করল না, চিলে সত্যি সত্যি কান নিয়েছে কি না। কাজেই গুজবের ছেলেধরা বা গলাকাটা প্রতিরোধের দায়িত্ব নিল এলাকায় বসবাসকারী কিছু বীরপুঙ্গব। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মহিলাটির অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে তারা রায় দিয়ে দিল এই মহিলাটি গলাকাটা দলের সদস্য এবং নিষ্ঠুরতার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটাল। পেটাতে পেটাতে মহিলাটিকে মেরেই ফেলল। এমন বীরপুঙ্গব শুধু যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরেই আছে তা নয়, সদর উপজেলায়ও এ রকম অনেক বীরপুঙ্গব আছে। হয়তো সারা দেশেই আছে। কালিয়াকৈরের ঘটনার মাত্র দুই দিন পর সদর উপজেলার কোনাবাড়ীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক যুবককে তারা পিটিয়ে ও শ্বাসনালি কেটে হত্যা বা জবাই করল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করেছে। সেই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পাওয়া গেল, ঘটনাস্থলের অদূরে আরেক দল বীরপুঙ্গব অন্য এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীর ওপর চড়াও হয়েছে। তারা মহিলাকে পিটিয়ে শুধু হত্যাই করেনি, তার গায়ে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছিল। আর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, কিছু 'মানুষ' নাকি গোল হয়ে দাঁড়িয়ে এসব নিষ্ঠুরতা বেশ উপভোগ করেছে। আনন্দে হাততালিও দিয়েছে কেউ কেউ। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এই মানুষগুলোর আর্তনাদ, মৃত্যুচিৎকার তাদের হৃদয় স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের মনে সামান্য দয়ামায়ারও উদ্রেক করতে পারেনি। পাঠকের কাছে প্রশ্ন, যারা এসব পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছিল, হিংস্রতা যাদের এতটা উন্মত্ত করে তুলেছিল, তাদের কি আমরা মানুষ বলে মনে করতে পারি?
ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশে আজও এমন অনেক মানুষ আছে, যারা ভিত্তিহীন সব গুজবে মেতে উঠতে পারে। শুধু মেতে ওঠা নয়, ওরা সহজেই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যেতে পারে। এর আগে আমরা দেখেছি, সাভারের আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে মেরেছিল একটি গ্রামের মানুষ। জানা যায়, এলাকার কিছু ষড়যন্ত্রকারী এই ছাত্রদের ডাকাত বলে চিত্রায়িত করে এবং গ্রামবাসীকে উস্কে দেয়। গ্রামের কিছু লোক সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলে। এ ধরনের ঘটনা দু-একটি নয়, অসংখ্য এবং অহরহ ঘটেই চলেছে। আর আমরা সেসবের নীরব সাক্ষী হিসেবেই থেকে যাচ্ছি। সম্ভবত, সব ঘটনারই উৎস এক। মানুষের মনে যুক্তি, ধৈর্য বা সহনশীলতা কমে যাচ্ছে, উল্টো দিকে পাশবিক ক্রোধ বাড়ছে। হিংস্রতার কাছে মানুষের মনুষত্ববোধ মার খাচ্ছে। মানুষের নৈতিক মানদণ্ড ও মানবতাবোধ কমে যাচ্ছে। আমরা এই একই অমানুষদের দেখা পাই নিরীহ বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে, বাসে বা গাড়িতে আগুন দিয়ে চালক বা যাত্রীকে পুড়িয়ে মারার, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের সশস্ত্র সংঘাতে শত শত মানুষ হতাহত হওয়ার মধ্যে। এমনকি তুচ্ছ ঘটনায় ব্যক্তিগত খুনাখুনিও অনেক বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপের মতো জঘন্য অপরাধও। অপরাধ বৃদ্ধির এই চিত্র কোনো সমাজের জন্যই সুখকর নয়, আমাদের জন্যও নয়। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে দেখতে পারেন। তবে আমাদের সাধারণ দৃষ্টিতে যেটি মনে হয়, এর জন্য দায়ী অপরাধের যথাযথ শাস্তি না হওয়া। আর এই শাস্তি না হওয়ার অন্যতম কারণ, অপরাধীদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং রাজনৈতিকভাবে অপরাধীদের রক্ষা করা। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে গণহারে মামলা প্রত্যাহার করা তার অন্যতম উদাহরণ। পুলিশের অদক্ষতা, অবহেলা ও নৈতিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয়ও অপরাধীদের নানাভাবে উৎসাহিত করছে। অর্থের বিনিময়ে ছাড় পেয়ে যাওয়ার ঘটনা দিন দিনই বাড়ছে। আর সমাজের অপরাধ নিরসনকল্পে বিচার বিভাগেরও যথাযথ ভূমিকা আমরা দেখতে পাই না। যেমন- গত ১০ বছরে এসিড নিক্ষেপের দেড় সহস্রাধিক ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ বা ৭০ শতাংশের বেশি মামলার আসামিরা খালাস পেয়ে গেছে। কিছু মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। এসিড নিক্ষেপের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও যত দূর জানা যায়, গত ১০ বছরে একজনেরও মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর হয়নি।
এ সমাজেই আমাদের বসবাস করতে হবে। যাঁরা আজ পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, তাঁদেরও এখানে বসবাস করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দুর্ভোগ থেকে কেউই রক্ষা পাবেন না। কাজেই এই সমাজের বসবাসযোগ্যতা রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব। আর এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা তা করছি না, বরং উল্টো পথে হাঁটছি। আর সে কারণে ক্রমেই সমাজের নানাবিধ অনুশাসন, স্থিতি ও শান্তি ক্রমে ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে। সমাজ ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে আমাদের এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক
No comments